ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচন : স্বতন্ত্র মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই প্রার্থী

সফিকুল ইসলাম রানা

আসন্ন ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই। গত ৩১ মে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ১৯ জুন যাচাই -বাঁচাই শেষে ৯ জনের মনোনয়নপ্রত্র বৈধ ঘোষণা করা হয় এরা হলেন আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত নৌকা প্রতিকের আরিফ উল্লাহ সরকার, জাতীয় পাটির মনোনয়ন প্রাপ্ত লাঙ্গল প্রতিকের সেলিম মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র আমেনা বেগম, নুরুল হক সরকার, মাহবুবুর রহমান সেলিম, মিজানুর রহমান, আলাউদ্দিন প্রধান, নাছির উদ্দীন মিয়া, ওয়াদুদ মাস্টার।

এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক সরকার (স্বামী) এবং আমেনা বেগম (স্ত্রী) দুজনেই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নুরুল হক সরকার এবারই পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্ত্রী আমেনা বেগম এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ১৯৯৮ সালে ৫ এপ্রিল প্রথম ছেংগারচর পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে প্রথম নির্বাচনে আমেনা বেগম প্রথম – পৌর-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৪ সালে নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো পৌর-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার ২০২৩ সালে পঞ্চম বারের মতো অংশ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ছেংগারচর পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আমেনা বেগম বলেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে কেউ কাউকে ছাড় দেয়না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমার জয়ের জন্য।

এ বিষয়ে নুরুল হক সরকার বলেন, আমি এবার প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অংশ গ্রহণ করছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবেই। নির্বাচনে কে স্বামী কে স্ত্রী তার হিসাব নাই। জনগন যাকে চাইবে সেই মেয়র হবে।

১৯৯৮ সালে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি এ পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট এ (গ) শ্রেণী থেকে (খ) শ্রেণীতে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারী অপর এক প্রজ্ঞাপনে এ পৌরসভাকে (ক) শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ জুন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ জুন প্রতিক বরাদ্দ এবং ১৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Loading

শেয়ার করুন