ফরিদগঞ্জে বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন, মেয়ের দাবি নির্যাতন করে হত্যা

স্টাডি রিপোর্টার :

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সাজেদা বেগম (৫০)নামে বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছে মেয়ের দাবী নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

জানা গেছে উপজেলা বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সরখার গ্রামের খান বাড়ীর মুখলেছুর রহমান খানের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ঐ এলাকার জনগণ ও পরিবারের বাহিরের সদস্যদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে।

মোখলেছুর রহমানের দুই ছেলে দুই মেয়ের নিয়েই ভালোভাবে  চলছে তার সংসার।

গত কয়েকদিনের পারিবারিক ঝড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে মোখলেছুর রহমানের সংসার। মোখলেছুর রহমান জীবনের ১৮ বছর কাটিয়েছেন প্রবাসে দেশে ফিরে এসে বাড়ির পাশে বড় ছেলে মহন খানকে নিয়ে একটি মুদি দোকান করছে সে এরই ফাকে ছোট ছেলে কে পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।

ভালোই চলছে তাদের পারিবারিক জীবন  দুই বছর পূর্বে দেশে এসে বিয়ে করে মোঃ মফিজ।

 বিয়ের পর থেকে ছোট ভাই মফিজ ও তার স্ত্রী কে সহ্য করতে পারত না বড় ভাই মহন খান ও তার স্ত্রী বিয়ের পরের দিন থেকে শুরু হয় পারিবারিক কলহ মফিজ স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রাখতে বাধ্য হয়।

পরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে রেখে মালয়েশিয়া চলে যায় প্রবাসী মফিজ। স্থানীয় সুলতানা আহমেদ জানান, অনেক দিন দরে আমার চাচার পরিবারে পারিবারিক কলহ চলছে।

আমার চাচী মারা যাওয়ার দিন মানে ৮ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ঘরে আমাদের সাথে খাওয়ার খেয়েছে। রাত ১২টার দিকে চাচি অসুস্থ হয়েছে রাত ২টার দিকে খিজিরের  সিএনজি করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভোরে শুনেছি চাচির মৃত্যু হয়েছে।

মৃত সাজেদা বেগমের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মফিজ মোবাইল ফোনে জানান,

গত কয়েকদিন পূর্বে আমার  বড় ভাই মোহন খাঁন কে আমার বাবা কিছু জমি লিখে দিয়েছে সেই জন্য মায়ের সাথে বাবার একাধিকবার ঝড়গা হয়েছে।

এই ঘটনার রেশ ধরে গত ১৯ রমজান আমার বাবা মাকে ব্যাপক মাইরধর করেছে। মৃত সাজেদা বেগমের বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার

বলেন,আমি ঢাকায় থেকে ৯ জুন ভোরে শুনেছি রাতে ব্রেন স্টক করে  মা মৃত্যুবরণ করেছে খবর শুনে আমরা সাথে সাথে বাবার বাড়িতে আসি।

তিনি আরো বলেন, আমার বাবা বড় ওভাই মা কে ব্যাপক মারধর করেছে এ জন্য মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শেষ গোসলের সময় দেখা গেছে মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে মাথার দুই পাশে এক দেড় ইঞ্চি করে ফুলে আছে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় কালো দাগ রয়েছে। শেষ গোসল কারানো হনুফা বেগম বলেন, মৃত সাজেদা বেগমের মাথার সামনে  পিছনে ফুলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 মৃতের সাজেদা বেগমের স্বামী মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রবাসী ছেলে মফিজ তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে খারাপ আচরণ করেছে এজন্য চিন্তা করে তার মা সাজেদা বেগম স্টক করেছে।

 সাথে সাথেই রাত দুইটার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ২টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের গ্রামের কিছু অসাধু চক্র রয়েছে তারা আমার প্রবাসী ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করছে।

আমার পরিবার নিয়ে আমি শোকাহত। বড় ছেলে  জানান বাবার সাথে মায়ের কি হয়েছে আমি জানিনা মা অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে রফিক ডাক্তারের কাছে পরে  চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়েছি কিন্তু মাকে বাঁচাতে পারি নাই। সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হারিছ খান জানান মহনের মা অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়েছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তার প্রবাসী ভাই মফিজ ও ঢাকা বসবাসকারী বোনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

বালিথুবাপূর্ব ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আক্তার হোসেন জানান, মহন খানের মা ব্রেইন স্টোক করে মারা গেছে শুনেছি এছাড়া আর কিছুই জানিনা। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমেদ জানান এলাকার দোকানপাটে এসব কথা বলাবলি হচ্ছে ও বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তার প্রবাসী ছেলে অথবা মেয়ে এসে যদি আদালতে অভিযোগ করে তখন আইন অনুযায়ী কব্যবস্থা গ্রহণ করবে পারবে প্রশাসন।

Loading

শেয়ার করুন