মতলব উত্তরে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর আটক, আরওয়ানফাইভ মোটরসাইকেল উদ্ধার

সফিকুল ইসলাম রানা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের বদরপুর লেংটার মাজারের গেইটের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর আব্দুল হামিদ (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ৮ টার সময় পূর্ব পুটিয়ার পাড় বেপারী বাড়ির মাহাবুব আলম (২৩) তার ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো ল- ২৯-৭৭১১ একটি ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ (R15) মোটরসাইকেল রেখে চটপটি খেতে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তিনি দেখতে পান, তার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে।
পরে খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয় লোকজন গালিম খাঁ বাংলা বাজারে সুজন স্টোরের সামনে মোটরসাইকেলসহ চোর আব্দুল হামিদকে আটক করে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস ও এএসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গী ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে এবং চোরকে হেফাজতে নেয়। আহত অবস্থায় চোরকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত আব্দুল হামিদ ব্রাহ্মণচক গ্রামের ঢালী বাড়ির মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মাহবুব আলম মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চোরকে মোটরসাইকেলসহ দেখে চিনতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করি। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। এলাকার মানুষকে কষ্ট দিয়ে যারা চুরি করে, তাদের আমরা আর প্রশ্রয় দেব না।
অন্য এক স্থানীয় আনোয়ার হোসেন বলেন, চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা চাই পুলিশ এমন চক্রের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনুক।
মোটর সাইকেল মালিক মাহাবুব আলম বলেন, আমি বদরপুর শাহ সোলাইমান লেংটার মাজারে গিয়ে গাড়িটি রেখে চটপটি খেতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি আমার মোটরসাইকেল নেই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চোরকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের কাছে আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলসহ চোরকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে (মামলা নং- ২৯, তাং- ১২/০৯/২০২৫ইং, ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড)। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

