মতলব উত্তরে দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার 

সফিকুল ইসলাম রানা :

মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চরপাথালিয়া অতুল বেপারী বাড়ি দুর্গাপূজা মন্ডপ ও দূর্গাপুর ধীরেন্দ্র মাস্টার বাড়ি দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। এসময় পূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এই দুই কর্মকর্তা। ২১ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় ডিসি ও এসপি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নইম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সভাস চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান তমাল ঘোষ, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিনয় ভুষন মজুমদার, মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল এমরান খান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার ঝন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বাড়ৈ, অতুল বেপারী বাড়ি দুর্গাপূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি প্রগতি মল্লিক, ধীরেন্দ্র মাস্টার বাড়ি দুর্গাপূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি পঙ্কজ সহ কর্মকর্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। উপস্থাপনা করেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল চন্দ্র দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, এই যে দূর্গাপূজা উৎসব এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হচ্ছে সেই বাংলাদেশ যেখানে মুসলিমরা নামাজ পড়বে, হিন্দুরা তাদের মন্দিরে পূজা করবে খৃস্টানরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করবে। যার যার ধর্ম সে সে সর্বোচ্চ মাত্রায় পালন করবেন। কিন্তু কেউ কাউকে বাধা দিবেন না। কিন্তু এর মধ্যে আবার অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যাই কিছু দুষ্টু লোকজন আমাদের ঝামেলায় ফেলে দেয়। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। তাদেরকে রোধ করতে হবে এর জন্য আমরা ও আমাদের নেতৃবৃন্দ আছি আপনাদের সাথে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। আমাদের যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে দিয়ে থাকি তার মধ্যে দুর্গাপূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। আমরা জেলা পুলিশের গত পরশুদিন ব্রিফিং অনুষ্ঠানটি করেছিলাম। সেখানে যারা সনাতন ধর্মীয় পুলিশ ছুটি চেয়েছে তাদের সবার ছুটি মঞ্জুর করেছি এবং সকল মুসলিম পুলিশ সদস্যদের ছুটি বাতিল করেছি। তারা কিন্তু এই ত্যাগ স্বীকারটি করেছেন পুরো জেলা সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এবং আমরা এ বছর প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। পুরো জেলায় প্রতিটি মন্দিরে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি।

Loading

শেয়ার করুন