মতলব উত্তরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত কামাররা
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/2.gif)
সফিকুল ইসলাম রানা :
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/diabeties.jpg)
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে নতুন-পুরাতন দা-বটি ছুরি, চাপাতি তৈরি বা শাণ দেয়ার কাজ। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের মতো চাঁদপরের মতলব উত্তরে কয়েক দিন ধরে তাদের এ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
যারা পশু কোরবানি দেন তাদের মাংস প্রস্তুত করতে এসব দা-বটি ছুরি, চাপাতি প্রয়োজন।তাই অনেকে এ উপলক্ষে নতুন করে দা-বটি ছুরি, চাপাতি কিনছেন আবার কেউ কেউ পুরাতনগুলোতে শাণ দিয়ে নিচ্ছেন।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। বাড়তি কিছু রোজগারের জন্য বছরের এ সময়গুলোর প্রতীক্ষায় থাকেন কামারেরা। দোকানগুলোতে এখন প্রতিক্ষণই চলছে ওই সব সামগ্রী আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া, হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করে শান দেয়ার কাজ।
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের কামার বিপ্লব জানান, বছরের অন্য সময়গুলোতে টুকিটাকি কাজ থাকে। গত কয়েকদিন যাবত কাজের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
অন্যান্য কোরবানির ঈদের চেয়ে এখনো কাজ কম জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাকি দিনগুলোতে কাজ আরও বাড়বে। অন্য হাট বাজারগুলোতেও কামারের দোকানে ব্যস্ততা দেখা গেছে।
পুরাতন দা-বটি ছুরি, চাপাতি শান দেওয়ার পাশাপাশি বিক্রির জন্য এসব সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন। এ প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, বটি আকার ভেদে শান দিতে নেন ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, আর বিক্রি করেন ৩৫০ টাকা। একইভাবে চাপাতি (কোপা) শান দিতে নেন ১০০ টাকা, বিক্রি করেন ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, ছোট ছুরি শানে ৪০ টাকা বিক্রি ১০০ টাকা, বড় ছুরি শানে ৭০ থেকে ১২০ টাকা ও বিক্রি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন,অন্য সময় সাধারণত কসাইয়ের দোকান থেকে আমরা মাংস নেই। সে ক্ষেত্রে আমাদের ছুরি, চাপাতি ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু কোরবানির ঈদে নিজেরাই পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করি। যার কারণে এগুলোর প্রয়োজন হয়। ঈদ উপলক্ষে কামারের দোকানে বেশ ভিড় রয়েছে।শান দেওয়ার দামও তুলনামূলক বেশি।
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/hakim-mizanur-rahman.jpg)
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/3.gif)