হাইমচরে চাঁদা না পেয়ে বাড়ি নির্মান কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

হাইমচরে চাঁদা না পেয়ে বাড়ি নির্মান কাজে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী লোকের বিরুদ্ধে। দুষ্ট প্রকৃতির ঐ লোকগুলোর প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা হামলাসহ প্রাননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ি নির্মান কাজের শ্রমিকদের উপর হামলা করে কাজ থেকে বিতাড়িত করে দেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী প্রবাসী গিয়াসউদ্দিন প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

ঘটনার বিবরনের জানাযায়, আলগী দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের গন্ডামারা মৌজায় সিএস খতিয়ান ১৫৩, বিএস ৩১ দাগ নং ১৫২০ দাগে বাড়ি ভিটা ০৪৫০( সাড়ে চার শতাংশ) জমিন আব্দুল খলিল মিজির কাছ থেকে ক্রয় করেন রুহুল আমিন গাজির ছেলে গিয়াস উদ্দিন। তিনি গত ৪ এপ্রিল ২০২২ সালে হাইমচর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সাব কাওলা করেন। ঐসময় জমির চারপাশ বাউন্ডারি করে জমিতে সবজি চাষ করেন জমির ক্রয়কৃত মালিকের পরিবারের লোকজন। জমির মালিক প্রবাসী গিয়াসউদ্দিন দেশে এসে গত ১০ ডিসেম্বর বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন। কাজ চলার কিছুদিন পর কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির লোক জহির আহমেদ, তার সহদয় ভাই টিপু স্থানীয় কিছু লোককে সাথে নিয়ে বাড়ির নির্মান কাজে বাধা প্রদান করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির কাজে বাধা দেয়ার পর প্রবাসী গিয়াসউদ্দিন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা দাবিকৃত টাকা না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্মান কাজ শুরু করার জন্য বলেন। ঐ চাঁদাবাজরা দাবীকৃত টাকা না পেয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪৮১/২০২৩। আাদালত নির্মাণাধীন কাজের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞার পর গিয়াস উদ্দিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মামলা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে এসিল্যান্ড হাইমচর এর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার পর আদালতের নির্দেশে গিয়াস উদ্দিন প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আাদালতে হাজির করেন। পরবর্তী সময়ে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেষ্ট্রেট চাঁদপুর মামলাটি খারিজ করে দিয়ে বাড়ি নির্মান করতে কোন বাধা নেই বলে জানান। আদালতের রায় পেয়ে গিয়াসউদ্দিন পুনরায় বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বাড়ির কাজ শুরু করার পর পুনরায় আলি মিয়ার ছেলে জহির আহমেদ রাড়ী ও আলি আহমেদের ছেলে টিপু সহ কতিপয় লোক নিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁধা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের ধারধোর করে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন প্রথমে ২ লাখ টাকা চেয়েছি দেও না, এখন আমাদের মামলা করতে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের খরচের টাকা না পেলে আমরা এখানে কাজ করতে দিব না বলে কাজের সাইড কন্ট্রাক্টর বাবুল পাটোয়ারীকে কাজের সাইড থেকে বের করে দিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত জহির আহমেদের চাচাতো ভাই বাবুল মিজি জানান, গিয়াসউদ্দিনের ক্রয়কৃত জমিনের উপর তাদের বাড়ি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়াটা অমানবিক। তিনি তার ভাই চাঁদা দাবীকৃত টাকা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী গিয়াসউদ্দিন জানান, আমি প্রবাসে থেকে অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করে জমিন ক্রয় করে জমির উপর বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করি। স্থানীয় কিছু লোক প্রথমে ২ লাখ টাকা দাবী করে। টাকা না দেয়ায় চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করে। ঐ মামলা খারিজ হওয়ার পর এখন আবার ৪ লাখ টাকা দাবী করতেছেন। তাদের টাকা না দেয়ায় তারা আমার বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা এখন নতুন করে আমাকে হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে বিদেশে যেতে দিবে না বলেও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে আমাকে হত্যা করে লাস গুম করার হুমকি দেন। আমি এখন এ সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে এক প্রকারের জিম্মি হয়ে আছি। আমি কি করবো কোথায় যাব কিছুই বুজতে পারছি না। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

Loading

শেয়ার করুন