করোনায় করণীয় : ঘরোয়া পদ্ধতিতে সফল চিকিৎসা

 

হাকীম মিজানুর রহমান :

আপনার হাতের কাছে যখন চিকিৎসা খুঁজে পাবেন না, অথচ আপনার বাঁচার দরকার। তখন আপনি খড়কুটো ধরেও বাঁচতে চাইবেন।

ধীরে ধীরে যখন আপনার আপনজনেরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে যেতে থাকবে, আর আপনি তাদের জন্য কিছুই করতে পারবেন না। বরং আপনিও হয়তো আক্রান্ত হয়ে গেছেন, যখন কোনো হাসপাতাল আপনার চিকিৎসার ভার নিবে না তখন কী করবেন?

মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য অপেক্ষা করবেন? না। আপনি অবশ্যই বেঁচে থাকতে চাইবেন, এবং এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এই রোগের কোনো সফল চিকিৎসা নেই, তবে আপনি চাইলে নিম্নোক্ত পদ্ধতি একশতভাগ সফল হতে পারেবেন। শুধু প্রয়োজন আপনার বেঁচে থাকার প্রেরণা আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।

এ পৃথিবীতে এখন করোনা থেকে বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ বিনা চিকিৎসায় হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমরা চেষ্টা করবো সফল হতে। বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা।

শুরু করে দিন আপনার চিকিৎসা আপনি নিজেই।

১) আদা, লেবু, তেজপাতা, এলাচি, লং, দাড়চিনি একটি পরিস্কার পাত্রে পানিতে ১৫ মিনিট ফুটাতে থাকুন। সাথে আস্তা লেবু ২টা।

২) ফুটানো চলাকালে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কমপক্ষে ৫ মিনিট গরম বাষ্পনাক দিয়ে লম্বা টেনে মুখ দিয়ে বের করতে হবে। দৈনিক এভাবে ৪ থেকে ৫ বার গ্রহন করুন।

৩) তারপর এই ফুটন্ত আদা, লেবু, তেজপাতা ইত্যাদির মিক্স গরম পানি চায়ের মতো করে ১ ঘন্টা পরপর পান করতে থাকুন।
৪) সাথে খেতে পারেন নাপা এক্সটেন্ড জাতীয় ঔষধ।

৫) ফুসফুসকে ভাল রাখার জন্য বাসায় বা বাসার বারান্দায় বসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করুন কমপক্ষে দৈনিক দুবার। নাক দিয়ে লম্বা নিশ্বাস গ্রহন করুন যতোবেশী নিতে পারেন নিন তারপর যতোক্ষণ আটকিয়ে রাখতে পারেন রাখুন। তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।

৬) প্লেটে আদা কেটে সামান্য লবন দিয়ে রাখুন। মুখে দিন একটু পরপর।

৭) আধা ঘন্টা পর পর গরম চা, গরম দুধ, কফি, গ্রিন টি পান করুন। গলা কোনভাবেই শুষ্ক রাখা যাবেনা।


আপনি বাঁচবেন কি বাঁচবেননা, আপনার ‘কী রোগ হলো’ ভুলেও এসব ভাবনা মাথায় প্রশ্রয় দিবেন না। মনে রাখবেন, আসল কথা হচ্ছে মনোবল। বনের বাঘে খায়না মনের বাঘে খায়। মনোবল হারালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই আপনার যা ভালো লাগে তাই করবেন মনোবল চাংগা রাখার জন্যে।

উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপনি ২ দিন চিকিৎসা নিলে এটা পরীক্ষিত সত্য যে তৃতীয় দিনের দিন আপনার করোনাভাইরাস নেগেটিভ হতে বাধ্য। ইনশাআল্লাহ। আপনি সুস্থ হয়ে অবশ্যই এটি শেয়ার করে অন্যকে সুস্থ হতে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ আপনার আমার সবার সহায় হোন। আমিন।

শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন। নিজ টাইমলাইনে রেখে দিন। প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে।

Loading

শেয়ার করুন