তিল ও কালোজিরার ৫০টি আশ্চর্য ঔষধি গুণাবলী

আমাদের পরিচিত একটি শস্য। নাড়ু, মোয়া ইত্যাদি মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তিল। এছাড়া তিলের তেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তিলের তেল ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার ক্ষেত্রেও। চলুন জেনে নেই তিল ও তিলের তেলের আরো কিছু উপকারিতা-

শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে, তার সাথে পানিতে ধোয়া ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তিলের তেল গরম করে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়ে যাবে। যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেবে।

শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকি গাল বা ঠোঁটেও তিলের তেল লাগালে উপকার হয়। রসুন দিয়ে গরম করা তিল তেলের ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়। এই তেল বাতের ব্যথাও অর্থাৎ বাত সারিয়ে দেয়।

 

অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়। স্বাদের দিক থেকে বরং অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলই বেশি ভালো। তিলের তেল মুখে দশ পনেরো মিনিট রেখে কুলকুচো করে ফেলে দিলে নড়ে যাওয়া দাঁত মজবুত হয়ে যায় এবং পাইয়োরিয়া সেরে যায়।

শিশুদের জন্য তিল অনেক উপকারী। বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেজন্য শিশুদের জন্য উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়ু বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়।

দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে তেল গরম করে কুলকুচো করলে আরাম পাওয়া যায়। এই তেল তুলোয় লাগিয়ে মুখে রাখাও যেতে পারে। হিং, কালো নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল পেটে মালিশ করলে বা সেঁক দিলে পেটের ব্যথা সারে এবং গ্যাস কমে যায়।

তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, চুলকুনি সেরে যায়। তিলের তেলে রসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

চুনের পানি থিতিয়ে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে লাগালে আগুনে পোড়া ঘা সেরে যায়। পুড়ে যাওয়া অংশে শুধু গরম করা তিলের তেল মিশিয়ে লাগালেও চমৎকার ফল পাওয়া যায়।

অসুখ সারাতে কালোজিরার তেল

কালোজিরার রয়েছে অনেক গুণ। রান্নায় কিংবা আচার তৈরিতেই শুধু নয় বিভিন্ন অসুখ সারাতেও রয়েছে এর ব্যবহার। কালোজিরার তেল মাথাব্যথা, ব্লাড প্রেশার, বহুমূত্র, বাতের ব্যথা, সর্দিসহ অনেক রোগেরই উপশম করে। চলুন জেনে নেই অসুখ সারাতে কালোজিরার তেলের ব্যবহার-

মাথাব্যথা হলে ১/২ চা চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে খেতে হবে। এটা ২/৩ সপ্তাহ খেলে ভালো হবে। এছাড়া মাথা ব্যথায় কপালের উভয় চিবুকে ও কানের চারিপাশে প্রতিদিন ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।

কালোজিরার তেল হার্টে রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এক চা চামচ কালোজিরার তেল এবং এককাপ দুধ প্রতিদিন ২বার করে খেতে থাকলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। সাথে কালোজিরার তেল দিয়ে বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।

 

এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমূত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।

সর্দি সারাতে এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এবং রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মাথায় ও ঘাড়ে মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হবে।

 

বাতের ব্যথা হলে সেখানে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এটা ২/৩সপ্তাহ খেতে হবে। তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

কালোজিরার ১২টি ঔষধি গুণ

কালোজিরাকে আমরা কে না জানি? নামে জিরা হলেও আসলে কিন্তু স্বাদে গন্ধে জিরার সাথে এর কোনও মিল নেই। আর ব্যবহারও জিরার মতন নয়। ইংরেজিতে কালো জিরা “Nijella seed” নামে পরিচিত। বাঙালির পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে সিঙ্গারা আর নানান রকম ভর্তায় কালোজিরা না হলে কি চলে?

 

আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালো জিরার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। মসলা হিসেবেও এর চাহিদা অনেক। কালো জিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে আছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন , বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক।

আসুন জেনে নেয়া যাক কালো জিরার ঔষধি গুনগুলো –

১) কালো জিরার তেল মাথা ব্যাথা সারাতে দারুন উপকারী । কালো জিরার তেল কপালে মালিশ করলে এবং তিন দিন খালি পেটে ১ চা চামচ তেল খেলে আরোগ্য লাভ করা যায় ।

২) চুল শ্যাম্পু করার পর শুকিয়ে নিন। এবার পুরো মাথায় কালো জিরার তেল ভাল মতো লাগান । এক সপ্তাহ নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।

৩) যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা বুকে ও পিঠে কালো জিরার তেল মালিশ করতে পারেন,উপকার পাবেন।

৪) কালো জিরার তেল ও চূর্ণ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

৫) চা বা গরম পানির সাথে কালো জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি শরীরের বাড়তি মেদও কমে ।

৬) এক কাপ দুধ ও ১ চা চামচ কালো জিরা তেল একসাথে মিশিয়ে দৈনিক পান করুন। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে ।

৭) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা দৈনিক কোন না কোন ভাবে কালো জিরা সেবনের চেষ্টা করুন, কারন কালো জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সাথেও কালো জিরার ভর্তা খেতে পারেন ।

৮) জ্বর হলে সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে কালো জিরার তেল পান করুন । জ্বর দ্রুত সেরে যাবে ।

৯) হাঁটুর ব্যাথা সারাতে রোজ রাতে কালো জিরার তেল হাঁটুতে মালিশ করুন ,হাঁটুর ব্যাথা কমে যাবে ।

১০) ছুলি বা শ্বেতী হলে আক্রান্ত স্থানে আপেলের টুকরো দিয়ে ঘষে নিন, তারপর কালো জিরার তেল লাগান । এভাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত লাগান।

১১) কালো জিরা নারী ও পুরুষে উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারি । নিয়মিত কালো জিরা সেবনে পুরুষত্ব হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

১২) বাতের ব্যাথা সারাতে কালো জিরার তেল নিয়মিত মালিশ করুন ।

তিলের তেলের মালিশের ১০ টি উপকারিতা
আপনার আর আপনার কাঙ্খিত সৌন্দর্য্যের মাঝে শুধু তিলের তেলের মালিশের অপেক্ষা। আজকের লেখাটি চটপট পড়ে নিন আর দেখুন ম্যাজিক। প্যান্ডেলে আপনাকে দেখতে তিল ধারণের জায়গা হবে না

তিলের তেলের আয়ুর্বেদিক গুনের কথা আপনার জানা আছে কি? এই তেল বহু প্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু আমাদের দেহের নানা রকম সমস্যার উপশম করে আসছে| শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্যই কিন্তু এই তেলের মালিশ অত্যন্ত লাভদায়ক| তিলের তেলের মালিশের ১০ টি আশ্চর্য জনক ফায়দার কথা আজ জেনে নিন|

১. ব্যাথার উপশম
তিলের তেল বহু প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়| এই তেলে জিঙ্ক, কালসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি বর্তমান| এই তেলের নিয়মিত মালিশ আমাদের বোন ডেনসিটি কমতে দেয়না| যাদের হাতে পায়ে বাতের ব্যথা হয় তারা নিয়মিত এই তেলের মালিশ করলে হাতে পায়ে বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ব্যাথায় আরাম পেতে পারেন|

২. শিশুদের জন্য উপকারী
ছোটো শিশুদের তেল মালিশ অত্যন্ত জরুরি| তিলের তেল যদি ছোট শিশুদের দেহের মালিশের জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে তা অত্যন্ত উপকারী| এই তেল আপনার ছোটো শিশুর হাড় শক্ত করে এবং আপনার শিশুর তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠাতে সাহায্য করে| এছাড়া এই তেল আপনার শিশুর ত্বক নরম ও মসৃন করে এছাড়া ঠান্ডা লেগে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে|

৩. বয়সের ছাপ পরা থেকে রক্ষা
আজকাল কার ব্যাস্ত জীবন যাত্রা কিন্তু অনেকে সময়ই আমাদের চেহারায় অকালেই বয়সের ছাপ ফেলে দিছে| যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কিন্তু তিলের তেলের মালিশ বেশ উপকারী| এতে বর্তমান আন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও সেসামল আমাদের ত্বকের বয়স বাড়ার স্বাভাবিক পদ্ধতিকে বা গতি কে কমিয়ে দেয় ফলত আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না|

৪. আন্টি ট্রেস হিসেবে কাজ করে
সারা দিনের কাজ, নানা ধরনের চিন্তা, অকারণ স্ট্রেস আপনার শরীর খারাপের কারণ হয়ে দাড়ায়| নিয়মিত তিলের তেলের মালিশ আপনার শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে, মাংসপেশী গুলি কে শিথীল করে এছাড়া এর স্বাভাবিক কুলিং এফেক্ট আপনার দেহকে ঠান্ডা করে সমস্ত কাল্ন্তি দূর করে দেয়| অল্প তিলের তেল সার্কুলার মোশনে দেহে মালিশ করুন এই মালিশ আপনার দেহে আন্টি ট্রেস হিসেবে কাজ করে|

৫. আন্টি ট্যান হিসেবে কাজ করে
নিয়মিত তিলের তেলের মালিশ আপনার শরীরের সান এক্সপোসড অংশ গুলিকে সূর্যের ট্যান হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে| নিয়মিত আপনার দেহে তিলের তেলের মালিশ একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে।

৬. কনস্টিপেষণের উপশম
তলপেটে মালিশ করুন

আপনি যদি কনস্টিপেষণের রুগী হন তাহলে এই তেলের মালিশ আপনার জন্য উপকারী হতে পারে| প্রতিদিন একবার করে তিলের তেল ও ঠান্ডা জল আপনার তলপেটে মালিশ করুন| এর ফলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে আপনি কনস্টিপেষণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন| এছাড়া এই তেলের মালিশ গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে|

৭. সুগঠিত স্তন পেতে
আপনার স্তনের আকার ছোটো বা স্তনের গঠন ঠিক না হলে তা অনেক সময় আপনার অশান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে, এক্ষেত্রে আপনার স্তনে নিয়মত তিলের তেলের মালিশ করলে আপনার স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় ও স্তন সুগঠিত হয়।

৮. চুলের নানা সমস্যার সমাধান
চুল পড়ে যাওয়া, খুশকি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, অকালে চুল পেকে যাওয়া, ড্রাই স্কাল্প ইত্যাদি নানা সমস্যার কোনো না কোনোটি নিশ্চই আপনার অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে| এর হাত থেকে রক্ষা পেতে তিলের তেলের মালিশ অত্যন্ত কার্যকরী| তিলের তেল চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে| মাথায় নিয়মিত তিলের তেলের মালিশ স্কাল্পের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তোলে। ফলত আপনার চুল পড়া কম করে, খুশকির প্রকোপ কম করে, অকালে চুল পেকে যাওয়া কম করে আপনার চুল জেল্লাদার, মজবুত ঘন ও কালো করে তোলে|

৯. ত্বকের সুরক্ষা
তিলের তেলে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে| যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী| শীত কালে গোড়ালি ফেটে যাওয়া প্রায় সকলের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ সমস্যা| শীতকালে রাতে শুতে যাবার আগে গোড়ালি তে এই তেলের মালিশ করলে শীত কালেও আপনার গোড়ালি সুন্দর এবং মসৃন থাকে| এছাড়া রুক্ষ ত্বক, কনুই, হাটু ইত্যাদি রুক্ষ হয়ে গেলে তিলের তেলের মালিশ করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ত্বক সুন্দর, নরম ও মসৃন হয়ে যায়|

১০. হাড়ের সন্ধির ব্যাথার উপশম
হাড়ের সন্ধি স্থানে ব্যাথা সাধারনত বয়স জনিত রোগ| আজকাল একটু বয়স হলেই সকলেই এই কষ্টের শিকার| বয়সের সাথে সাথেগোড়ালি হয়ে পড়ে ফলত হাড়ের সন্ধিস্থল ক্ষয়ে যেতে থাকে| যার ফলে অত্যন্ত ব্যাথা হয় এবং চলাফেরা করা দুস্কর হয়ে পরে| এক্ষেত্রে এই তেল নিয়মিত মালিশ হাড় শক্ত করে| হাড়ের ক্ষয় রোধ করে|

তিলের তেলের এত রকম উপকারিতার কথা আগে জানা ছিল কি? না জানা থাকলেও এখন যখন জেনেই গিয়েছেন তখন দেরী না করে এই অসম্ভব উপকারী তেলের ব্যবহার শুরু করুন

 

শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।

অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।

কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।

হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।

কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।

শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-

১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।

২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।

৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।

এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

কারণগুলি কি কি হতে পারে ?

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-

১. ডায়াবেটিস,

২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,

৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,

৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।

আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।

এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।

এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।

মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. সহ/বাসে অসমার্থতা।

২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।

৩. অসময়ে বী/র্যপাত।

৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।

৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।

৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।

৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।

 

ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply