রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের শিক্ষার আলো শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।এটি ২০০৬ সালে বাংলাদেশের কথা সাহিত্যিক লেখক হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ এর অন্তর্ভুক্ত।বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ থেকে দশম পর্যন্ত। এখানে ছাত্র-ছাত্রী উভয় শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারে।
বিদ্যালয়টি মাতৃভাষা বাংলায় শিক্ষাদান করে থাকে। পুরো বিদ্যালয়টি ৩৩ একর জমিতে অবস্থিত। কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আহমেদ তার পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ এর স্মরণে এবং তার মায়ের পরামর্শে এ স্কুলটি ২০০৬ সালে স্থাপন করেন। মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ এর মে মাসে কথাশিল্পি হুমায়ুন আহমেদর বাবা পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহমেদ পাকিস্তানের হাতে নিহত হন। বাবা সহ মুক্তিযোদ্ধের নাম জানা-অজানা সব শহীদের স্মরণে বিদ্যানিকেতনের নামকরণ করা হয় “শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ”।
১৯৯৬ সালে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ৩০ কাঠা জমিতে এককোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ২৪টি শ্রেণীকক্ষ সমৃদ্ধ নির্মিত ভবনের নকশা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে শুধুমাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে প্রতি শাখায় ২৪জন করে দুই শাখায় মোট ৪৮জন শিক্ষার্থী ৫ জন শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়ে বর্তমানে ১৪জন শিক্ষক দুজন কর্মচারী এবং মাধ্যমিক একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ড.হুমায়ুন আহমেদ ও তার পরিবারবর্গ বহন করেন।বিদ্যালয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অসামন্য গ্রন্থাগার। যার নাম শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ পাঠাগার। এতে রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি বই, মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র, দলিল পত্র এবং বই পড়ার সুব্যাবস্থা ।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা