স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন, বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নাদিয়া সুলতানা (২৫) নামে এক সন্তানের জননীর মরদেহ রোববার (২০ অক্টোবর) উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ইউসুফ হোসেন রনির মেয়ে ও একই গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেনের সে। এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে তাঁর উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে। নাদিয়ার বাবার অভিযোগ, স্বামীর বাড়ির মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের এমরান হোসেনের সাথে বিয়ে হয় নাদিয়া সুলতানার। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী এমরান হোসেন জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকলেও স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা সে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন শিকার হতেন। সম্প্রতি নাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর পরিবারের লোকজন স্বর্ণচুরির অপবাদ দিয়ে তাঁড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে এরপর থেকে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
মৃত নাদিয়ার বাবা ইউসুফ হোসেন রনি বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নির্যাতন করতো তাঁর স্বামীর পরিবার। নাতিনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব সহ্য করতে বলেছিলাম। গত ২০ দিন আগে মেয়েকে স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার আদরের মেয়ে নির্যাতন ও মিথ্যা অপমান সইতে না পেরে সে শনিবার (২০ অক্টোবর) রাতে আমাদের বসত বিল্ডিং এ সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মনে করি আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করবো।
নাদিয়া সুলতানার স্বামী এমরানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, নাদিয়া সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?