হলে এসএসসি পরীক্ষর্থীদের সাথে রূঢ় আচরণ, সাসপেন্ড হলেন শিক্ষক

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার হলে কক্ষ পর্যবেক্ষকের রূঢ় আচরণের শিকার হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শনা দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

ঘটনা তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃহষ্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষককের অফিসে ডেকে উভয়ের বক্তব্য শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া এই নিদের্শনা প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। গত ২১ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষার গনিত পরীক্ষা চলাকালিন ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল ্পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অপ্রীতিকর এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে ঘটনার শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত ইমাম হোসেন নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরার লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃহষ্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষককের অফিসে ডেকে উভয়ের বক্তব্য শুনেন।

কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম (রোল নং- ৩৬৮২২৮) জানান, তারা ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। গত ২১ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষার গনিত পরীক্ষা ছিল। তাদের কক্ষে পর্যবেক্ষক হিসেবে খাজুরিয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইমাম হোসেন ছিলেন। এমসিকিউ পরীক্ষার ২০ মিনিটের সময় ওই শিক্ষক তার প্রশ্ন সেট পরিবর্তন করে অন্য একটি সেট দেন। তার অনুরোধও তিনি কর্ণপাত করেননি। স্বাক্ষর লিপিতে তার স্বাক্ষরও নেননি। তিনি নিজে দিয়ে দিয়েছেন। এমনকি ওই হলের অন্য এক ছাত্রকে মারধর করেন এবং সকলকে গালমন্দ করেন। তার এই রূঢ় আচরণের কারণে সেসহ ওই হলের শিক্ষার্থীরা ভাল ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে নি।

কালির বাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল২০২৫) জেনেছেন। পরে বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করেছেন।

খাজুরিয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইমাম হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ওই শিক্ষার্থী বা স্কুলের সাথে তার কোন সমস্যা নেই। হলে পরীক্ষা চলাকালে জাহিদুল ইসলামকে কিছুটা ছটফট করতে দেখা গেছে। এমসিকিউ উত্তরপত্র উঠানোর সময় সে বারংবার সময় প্রার্থনা করেছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বৃহষ্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে ইউএনও শিক্ষাক ও শিক্ষার্থী উভয়ের বক্তব্য শোনেন। পরে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষকে সমায়িক বরখাস্ত করার নিদের্শনা প্রদান করেন। এছাড়া এই বিষয়ে তদন্ত ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থ্যা গ্রহণের জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।

প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.