ফরিদগঞ্জে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিরবাজার থেকে বেড়িবাজার পর্যন্ত ২. ৯৭৫ মিটার গ্রামীন পাকা সড়কের পুনঃ সংস্কার নির্মাণ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কালির বাজার হইতে বেড়ি বাজার পর্যন্ত এ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যদি ও পাকা সড়কটি কালিবাজার ও বেড়ি বাজারে যাতায়াতে সেঁতু বন্ধন থাকলেও তৎকালীন সময়ে ঠিকাদাররা নিম্ম মানের ইট ও বিভিন্ন সরঞ্জাম সড়কের কাজে ব্যবহার করায় সড়কটি টেকসই না হয়ে কাজ শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্হানে গর্ত ও ভেঙে যায় ফলে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে প্রতিনিয়ত ঘটতো ছোট বড় দুর্ঘটনা।

বিষয়টি উপজেলা সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নজরে এলে কালিবাজার হইতে বেড়ি বাজার পর্যন্ত ২. ৯৭৫ মিটার পাকা সড়কটি পূনঃ সংস্কার নির্মান কাজের জন্য সরকারী ভাবে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৫৭ টাকা বরাদ্দ হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া মাধ্যমে আলমগীর এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠান এ পাকা সড়কের পুনঃ সংস্কার নির্মান কাজ পায়। সরকারী নীতিমালানুযায়ী সড়কের কাজ হওয়ার কথা থাকলেও তার উল্টো চিত্র দেখা মিলে সরজমিনে।

নিম্ম মানের ইট ও বিভিন্ন সরঞ্জাম সড়কে পুনঃ সংস্কার নির্মান কাজে ব্যবহার করায় ঐ এলাকার জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর প্রতিবাদে ঐ এলাকার হাজী মজিবুল হক, আব্দুল ছাত্তার মিজি, মমিনুল ইসলাম, নজির আহম্মদ, মাহাফুজুল হক রতন, মুক্তার মিজি ও ফারুক হোসেন বলেন, সরকার এ কাজের যে বরাদ্দ দিয়েছে ঐ বরাদ্দের ৪০% কাজ ও এ সড়কে হচ্ছে না। নিম্ম মানের ইট ও অন্যান্য সরঞ্জামি দিয়ে কাজ করছে। সড়কের বিভিন্ন স্হানের গর্তগুলোতে ইটের খোয়া না দিয়ে একক বালু দিয়ে ভরাট করে এছাড়াও সড়কের পুরনো কার্পেটিং অর্থাৎ ফিজ ঢালাইয়ের অংশ গুলো সড়কের উপর ছিটিয়ে রোলার করে এর উপর বালু ছিটিয়ে দেয়। এ অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো: মামুনুর রশিদকে অবগত করিলে সে বিষটিকে এড়িয়ে যায়।

ঠিকাদার আলমগীর হোসেনের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহম্মদ বলেন, কাজের গুনগত মান ভাল হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন