কচুয়া বিএনপিতে আমরা একজন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে হণ্যে হয়ে খুঁজি!

ওয়ালীউল্যাহ সরকার তৌহিদ :
কচুয়া উপজেলাধীন ১১ নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, স্নেহের ছোট ভাই Habib Rahman গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ রাতে তার ফেসবুক আইডির টাইমলাইলে অনেকটা আক্ষেপ করে পোস্ট করেন যে..

কিছু প্রশ্নঃ_
:::::::::::::::::::::
একজন নেতার কর্মী/প্রার্থী অপছন্দ হয় কিভাবে, একজন নেতার ক্ষুদ্র কর্মী যে মূল্যায়ন’ টা পাবে। ঠিক একই ভাবে একজন উপজেলা সভাপতির সেম মূল্যায়ন পাওয়া উচিত। ইতিহাস সাক্ষী যে নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে নাই। সে নেতা ধ্বংস হয়ে গেছে।সেই নেতা কখনো নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

কারণ, একজন ক্ষুদ্র কর্মী যেমন দলের এবং নেতার কর্মী!ঠিক একই ভাবে উপজেলার সভাপতিও দলের এবং নেতার কর্মী।নেতা সবাইকে সমান চোখে এবং সমানভাবে মূল্যায়ন করা দরকার।

একজন কর্মী অভিমান করে চলে যাওয়া!একটা দলের কখনো সুফল বয়ে আনবে না, দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং নেতার একজন কর্মী হারিয়ে ফেলা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন’ পি মানুষের আবেগ এবং ভালোবাসার নাম।মানুষ অর্থ ছাড়াই এই দলটা’ কে খুব ভালোবাসে।

__একজন নেতার কর্মী প্রেমী হওয়া বেশি দরকার!
\
এভাবে যদি কোনো নেতা চিন্তা করে তবে তার এই ৫/৭ বছরে লাখো কর্মী তৈরি হতো! এজন্য আমার দেখা জননেতা Sk Farid Ahmed Manik এর রাজনৈতিক কৌশল, পরিকল্পনা, দৃঢ়তাকে অনুভব করি। যা আমি চাঁদপুর শহরে দীর্ঘদিন তার ছায়ায় ছাত্রদলের রাজনীতি করে দেখেছি। তিনি ২০০৭/৮ সালে চাঁদপুরের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আসার পর থেকে আজকের দিন অবধি বিভাজিত চাঁদপুর সদর, হাইমচর আসনকে এক সুতোয় গাঁথতে সক্ষম হয়েছেন।কারণ তিনি অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছেন, ধাপে ধাপে এগিয়েছেন। তিনি পক্ষ হননি! কারণ তিনি অভিভাবক ছিলেন। তার ছায়ায় সবাই পরশ পাবে, ভরসা পাবে, আশ্রয় খুঁজে নেবে। রাজনৈতিক কর্মীরা বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়েছে একে অপরের! আবার দিন শেষে স্লোগান দিয়েছেন..
“মানিক ভাই এগিয়ে চল,আমরা আছি তোমার সাথে… খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”। এক জিয়া লোকান্তরে,লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে… শহীদ জিয়া স্মরণে, ভয় করিনা মরণে… এরপর কোনো কারণে ক্রমেই বড় সংসার হলে যেটা হয়__ কথা কাটাকাটি, ঝামেলা, কমিটি নিয়ে অভিযোগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে কম বেশি ফ্যাসাদ হয়। ধরপাকড় চলে, বিভাজিত হয়ে পড়ে। কর্মীদের কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেনা। আর এটা স্বাভাবিক। কেননা রাজনৈতিক সংসারে (ফোরামে) দশ বাপের সন্তান এক দায়িত্বশীল নেতার ছায়ায় বেড়ে ওঠে। অভিভাবক হন তিনি।যাকে দলের হাইকমান্ড নির্বাচিত করে দেন।

কর্মীরা নিজেদের দু পক্ষের ঝামেলা, অভিযোগ অভিভাবককে সরাসরি জানান। নেতা শুনেছেন কিংবা তার প্রতিনিধি টিম অবগত হয়েছেন। যেহেতু সবাই কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার ছায়ায় শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে রাজনীতি করে সেহেতু তিনি রাজনৈতিক অভিভাবকের ন্যায় কড়া ভাষায় দু পক্ষকেই শাসিয়েছেন, মিলিয়ে দিয়েছেন, এক সাথে খাবার খেয়েছেন, বুকে বুক মিলিয়ে দিয়ে দুই পক্ষকে ভাই হয়ে যেতে প্রেরণা ঝুঁগিয়েছেন, সমাধান করেছেন। এভাবেই আজ ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, পৌর শহরে শৃঙখলা ফিরিয়েছেন। তার বাইরে বিস্তৃত গ্রুপ,উপগ্রুপ কোন্দল নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন। এক টেবিলে বসেছেন বারংবার। মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, রোদে পুড়েছেন, বৃষ্টিতে ভিজেছেন, সপ্তাহের অন্ততত ০৩ দিন চাঁদপুর শহরের নিলুফা ভবনে সকাল থেকে রাত অবধি নেতাকর্মীদের সাথে বসেছেন। সমস্যা সমাধান করেছেন। রাজপথে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলতে বলতে তিনি রাজনৈতিক সুবক্তা হয়েছেন। যখন প্রথম শুরু করেছিলেন তখন অল্প কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক অভিজ্ঞ কর্মীকে নিয়ে পথ চলেছেন। তাদের পরামর্শ নিয়ে দলের জন্য যেটা ভালো হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। অনেক কষ্ট সয়েছেন, গালাগাল সহ্য করেছেন, আহত হয়েছেন কর্মীর উদ্যত আচরণে, নিজ বাড়ি কতবার যে আক্রমণের শিকার হয়েছে তা’ হিসেবের বাইরে… যারা এক সময় প্রতি পদক্ষেপে কাটা বিছিয়ে দিয়েছেন, বাধাগ্রস্ত করেছেন, মিথ্যাচার করেছেন, দোষারোপ করেছেন তিনি তাদের উপর প্রভাব খাটাননি, টাকার জোর দিয়ে জেলে পুড়েন নি, আক্রমণের বিপরীতে পালটা হামলা করতে উদ্ভুদ্ধ করেন নি! কারণ তিনি রাজনীতিতে এসেছেন সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়ে, জনপ্রতিনিধি হতে, রাজনৈতিক অভিভাবক(বটবৃক্ষ) হতে… হাইকমান্ডের বিবেচনায় এসেছেন, দল মূল্যায়ন করে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি তবুও ক্ষমতার প্রভাব তার বিরুদ্ধ কর্মীদের উপর চালাননি! তিনি ততোদিনে রাজনীতি রপ্ত করে ফেলেছেন। তিনি শিখেছেন। কারণ তিনি জানতেন সবাইকে তার প্রয়োজন। এরা সকলেই স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করেন। তাহলে তারাও তার জন্য প্রয়োজন। তাই তিনি তাদেরকে পক্ষভুক্ত করতে ক্রমেই কাজ করেন। ভালোবাসেন। এভাবে করে বিরুদ্ধাচারণকারীরা আস্তে আস্তে তার রাজনৈতিক ক্যারিশমা, সদাচার, গুণ, বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশল, ম্যানেজিং পাওয়ার, একিভূত করার মোহনীয়তায় আবিষ্ট হয়ে ১ জন থেকে ১০ জন, তারপর ২০,৩০, করে লাখো কর্মী তৈরি করেছেন। সেই দিনের কাটা বিছিয়ে দেয়া কর্মীটা আজ তার জন্য জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেয়! ভাবতে পারেন!

২০০৭/৮ থেকে আজকে অবধি তিনি পেয়েছেন কর্মীদের ভালোবাসা, সম্মান, অভিভাবকত্ব! তারা(কর্মী) জানে সবাই অন্যায় করতে পারে, ধোঁকা দিতে পারেন কিন্তু নেতা তার রাজনৈতিক অভিভাবক। সে কারো পক্ষভুক্ত হবেনা। যথাযথ বিচার, মূল্যায়ন তার হবে। মোটকথা, আশাবাদী হতে পারবে আমাদের মানিক ভাই অন্যায় করবেন না আমার প্রতি…. এই বিশ্বাস থেকেই কর্মী মনোবল পান, আশাবাদী হন, প্রেরণা লাভ করেন, স্বপ্ন আঁকেন। যার ফলে রাজপথে কম্পন ধরে, প্রকম্পিত হয় “আমরা আছি লাখো ভাই, মানিক ভাইয়া ভয় নাই”। নেতা আশ্বস্ত হন, আনন্দিত হোন, আপ্লূত হন।কারণ তিনি সফল হয়েছেন। ধৈর্য ধরেছেন বলেই তিনি এখন চাঁদপুরে আমাদের রাজনৈতিক আইডল হয়ে উঠেছেন।

টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায়না! জ্ঞান, গুণ, চেষ্টা, বিশ্বাস,একাগ্রতা, ভিশন, আনুগত্য, মমত্ববোধ, পাশে থাকা-আগলে রাখার মনোভাবই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে। চিন্তা করুন- তিনি যখন এলেন তখনকি সবকিছু তার অনুকূলে ছিলো? ছিলো না। অনেক নেতা ছিলেন। তিনি তাদের থেকে এগিয়ে গেলেন। সমসাময়িক সময়ে অনেকে এলেন কিন্তু শেষ অবধি পেরে উঠলেন না। এইটাকি শুধুই টাকার জন্য… না! কেননা যারা তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তারাও কোটিপতি ছিলেন। তিনিও কোটিপতি… তবে তিনি ভিন্নভাবে হেটেছেন,খেটেছেন। আমরা জানি,বিজয়ীরা একই পথ ভিন্নভাবে কাজে লাগায়। সেটা পরিকল্পনা করে, ঠান্ডা মাথায় নম্রতা সহকারে… ভালোবাসা দিয়ে। আমাদের নেতারা ভুলে যায় যে,একজন কর্মী রাজনীতিতে শ্রম,ত্যাগ, অর্থ, সময় ব্যয় করে সম্মান নিয়ে সমাজে বাঁচার জন্য, জনসেবা করার স্বদিচ্ছা থেকে… একজন সেবক হওয়ার লক্ষ্যে… তাই এমন আচরণ করা ঠিক হবেনা যাহা কর্মী অপছন্দ করবে, আর নেতার জন্য অশোভনীয় হবে। ফলশ্রুতিতে এই শুণ্য থেকে পুণ্যতা পাওয়া শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দলের কর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক, নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, পরবর্তীতে সম্পাদকীয় পদ লাভ করেছেন। আগামীতে মনোনয়ন পাবেন ইনশাল্লাহ। এখন তিনি চাঁদপুরের সবচে’ ঐক্যবদ্ধ ইউনিট চাঁদপুর -০৩ (সদর, হাইমচর) আসনে গণমানুষের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন। এখন তার চারপাশে চাঁদপুরের সব পরিচিত মুখ নেতৃত্ব বিচরণ করে৷ তিনি এখন তাদেরকে ছায়া দিচ্ছেন। রাজনৈতিক অভিভাবক হয়েছেন। এখনো তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে শক্তভাবে ঐক্য ধরে রাখতে রাজপথে যেমন হুংকার দেন, নেতায় নেতায় বন্ধন, কর্মীদের মাঝে আশার সঞ্চার করতে পেরেছেন। কর্মীরা জানেন_ তাদের একজন জননেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের মতো রাজনৈতিক অভিভাবক, বটবৃক্ষ আছেন। যিনি সংকটে, সুদিনে, দূর্দিনে, দুঃসময়ে পাশে থাকবেন, আছেন, ছিলেন।

এরকম আশা কচুয়া বিএনপির কর্মীরা কি করতে পারেনা? আমাদের কি এমন একজন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক নেই? আমরা কি এমন মানের একজন অভিভাবক পেয়েছি? যার কাছে বিচার দেব, অভিযোগ দেব, অনুযোগ করব, প্রশংসা করব। অভিভাবকের ন্যায় তিনি আদর করবেন, শাসন করবেন, হাস্যোজ্জ্বল গল্প করবেন, রাজনৈতিক দীক্ষা দেবেন, মিলেমিশে থাকার প্রেরণা যোগাবেন, যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করবেন, বড়দেরকে টিম প্রধান করে ছোটদের একতাবদ্ধ করবেন। স্বপ্ন দেখাবেন। সেই স্বপ্নকে পুঁজি করে ভিশনকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব। মিছিলে গলা মেলাবো, কাঁধে কাঁধ রাখব, হাতে হাত রেখে বন্ধন গড়ব, গলা ফাটিয়ে স্লোগান ধরব_ জিয়ার সৈনিক, এক হও… লড়াই কর।

পরিচিতিঃ
ওয়ালীউল্যাহ সরকার তৌহিদ
কর্মী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। sarkertowhid90@gmail.com

Loading

শেয়ার করুন