শিশুর জন্য কৃমির ওষুধ

স্কুলগামী ৯০ শতাংশ শিশু কৃমি রোগে ভোগে। এর মধ্যে কেঁচো কৃমি (রাউন্ড ওয়ার্ম) সংক্রমণের হার বেশি।

এই কৃমি অন্ত্রের মধ্যে বাস করে পুষ্টিকর খাবারের অনেকাংশ খেয়ে ফেলে। তাই আক্রান্ত শিশু অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। যেসব শিশু খালি পায়ে পায়খানা ব্যবহার করে এবং মাঠে-ঘাটে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ায় তাদের পায়ের তলা দিয়ে বক্রকৃমি (হুকওয়ার্ম) শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ কৃমি রক্ত চুষে খায়, ফলে শিশু রক্তাল্পতার শিকার হয়। শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সুচকৃমি নামে এক প্রকার ছোট ছোট কৃমি প্রায়ই বাচ্চার পায়খানার রাস্তায় দেখা যায়। এতে আক্রান্ত শিশু সাধারণত খিটখিটে মেজাজের হয়। কৃমি রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় খাবারে অরুচি, পেট ফোলা, দুর্বলতা ভাব, ফ্যাকাসে, বমি ভাব বা লাগাতার পেটের অসুখ ইত্যাদি।
কত দিন পর পর কৃমির ওষুধ?

২-৫ বছর বয়সী সব শিশুকে জাতীয় টিকা দিবসে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো ভালো।

প্রতি ৪-৬ মাস অন্তর কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশু কৃমির সংক্রমণ থেকে নিস্তার পাবে। কৃমি শরীরের শত্রু, কোনো অবস্থায়ই পেটে একটি কৃমিও রাখা চলবে না।
কখন খাওয়াবেন?

প্রেসক্রিপশনে কৃমির ওষুধ লেখার পরে একগুচ্ছ প্রশ্ন অভিভাবকদের মনে উঁকি দেয়। । প্রথমত, গরমে বা মেঘলা দিনে খাওয়াতে অসুবিধা আছে কি না? দিনে না রাতে কখন খাওয়ালে ভালো? খাবারের আগে না পরে? বাজারে যেসব কৃমিনাশক ওষুধ আছে, সবই নিরাপদ এবং বছরের যেকোনো সময় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খাওয়ানো যাবে। শুধু বৃষ্টির দিনের অপেক্ষায় বসে থাকার দরকার নেই। খালি পেট, ভরা পেট এসব হিসাবের দরকার নেই। ওষুধ খাওয়ানোর পর শিশুর পায়খানা বের করতে গি্লসারিন স্টিক বা কোনো ওষুধ দেয়ারও প্রয়োজন নেই।

সঙ্গে কি ভিটামিন দিতে হয়?

অপুষ্টিজনিত অসুখ ও ভিটামিনের অভাবজনিত রোগের শিকার দেশের অধিকাংশ শিশু। শুধু সে ক্ষেত্রেই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ভিটামিনের প্রয়োজন হতে পারে। কৃমির ওষুধ খাওয়ালে শিশুকে ভিটামিন ওষুধ খাওয়াতে হবে- এর কোনো সত্যতা নেই। তবে ভিটামিন দিলেও ক্ষতি নেই।

খাবারের সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক

বেশি মিষ্টি, কলা কিংবা মাছ খাওয়ালে পেটে কৃমি হয় এ রকম একটা ধারণার কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়। স্থানভেদে আরো কিছু খাবারের নামও অনেকে বলেন। প্রকৃতপক্ষে কৃমি সংক্রমণ ঘটে মল থেকে। কৃমির ডিম বা লার্ভা মানুষের মলের সঙ্গে বের হয়। পরে হাত ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে, আঙুলের খাঁজে লেগে থাকা অবস্থায় অথবা অপরিষ্কার শাকসবজি, ফল ইত্যাদির মাধ্যমে কৃমির ডিম মুখে প্রবেশ করে। তবে অপরিচ্ছন্ন খাবারের সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক আছে। যেমন- বাজারের খোলা চকোলেট, লজেন্স বা মিষ্টি ইত্যাদি না ঢেকে রাখা খাবার। এসব খাবারে মাছি বসে, আর এভাবে খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবারের সঙ্গে কৃমির ডিম বা লার্ভা দেহে প্রবেশ করে।

কৃমির ওষুধ

কৃমির বিরুদ্ধে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয় তার সবগুলো সঠিক ডোজে খেলে নিরাপদ ও কার্যকর বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর ২-৪ সপ্তাহ পরে আবার মল পরীক্ষা করে কৃমি সংক্রমণ রয়ে গেছে কি না নিশ্চিত করা ভালো।

অ্যালবেনডাজোল : দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য ৪০০ মি. গ্রামের ১ ডোজ (২ চামচ সিরাপ)। ১-২ বছরের শিশুর জন্য এর অর্ধেক ডোজ। সংক্রমণ রয়ে গেছে মনে হলে ৩ সপ্তাহ পর আরও একবার খাওয়ানো যেতে পারে। বাজারে এলবেন, সিনটেল প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।

পাইরেনটাল পামোয়েট : এক বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য এক ডোজ, শিশুর ১১ মি. গ্রাম/কেজি ওজন হিসেবে। সুচকৃমির জন্য প্রয়োজন মনে হলে ২ সপ্তাহ পর পর ১ মাত্রার ডোজ দেওয়া যায়। বাজারে মেলফিন, ডিলেনটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

মেবেনডাজোল : ট্যাবলেট বা সিরাপ হিসেবে শিশুকে দেওয়া যায়। বাজারে মেবেন বা এরমক্স ইত্যাদি নামে মেলে। ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে ১ চামচ (১০০ মি. গ্রাম) করে দিনে ২ বার পর পর ৩ দিন দিতে হয়।

লিভোমিসোল : বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজন হিসেবে (৩ মি. গ্রাম/কেজি) ১ মাত্রার ডোজ।

হাকীম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

মুঠোফোন : +88 01777988889 / +88 01762240650

অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন : IBN SINA HEALTH CARE, CHANDPUR.

শ্বেতী, যৌনরোগ, পাইলস, লিকুরিয়া, ব্রেনস্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত বেদনা, গাউট, পক্ষাঘাত, চর্মরোগ, অ্যালার্জি, জন্ডিস, লিভার সমস্যা, হার্ট ও শিরার ব্লকেজ, স্ত্রী রোগ, স্বপ্নদোষ নিরাময়-সহ সর্বরোগের চিকিৎসা করা হয়।

সর্বশেষ আপডেট : বাংলাদেশ সময় : ১১:১৮ পূর্বাহ্ন,  ০৪ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার

 আরও পড়ুন : 

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন …

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply