পেট ফোলার ৫ কারণ ও করণীয় : শ্বেতী ও যৌন রোগের প্রতিকার

হয়তো আপনি বেশ ভোজনরসিক। খুব দ্রুতও হয়তো খেতে পারেন। এসব স্বভাবের কারণে পেট ফুলে যেতে পারে। কিন্তু না খাওয়ার পরও যদি পেট ফুলে যায়? গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. রবিনে চাটকান তার নতুন ‘দ্য ব্লট কিউর’ বইয়ে পেট ফোলার ৫টি কারণ তুলে ধরেছেন।

১. কৃত্রিম চিনি : এটি নানা দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর একটি খাদ্যপণ্য। পেট ফোরার জন্যেও দায়ী কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক পদার্থ। এই চিনি মলাশয়ে পৌঁছলে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে গাঁজন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। বেশি মাত্রার কৃত্রিম চিনি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। এটি মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

২. কপি জাতীয় সবজি : ফুলকপি বা বাঁধাকপি এবং এই পরিবারের সবজি দারুণ উপকারী। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম এগুলো। কিন্তু এতে আছে এক ধরনের স্টার্চ যার নাম রেফিনোজ। দেহের পক্ষে এটি হজম করা খুব কঠিন হয়ে যায়। ফলে পেট ফুলে যেতে পারে। এসব সবজি খেতে নিষেধ করেন না চাটকান। তবে এগুলো কম কম খেতে বলেন তিনি।

৩. এনএসএইড : ননস্টেরোডিয়াল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি ওষুধগুলো সংযোগস্থলের ব্যথা প্রশমনে সহায়তা করে। তবে এসব ওষুধ দেহে প্রচুর পরিমাণে তরল ধরে রাখে। ফলে আপনার দেহ ফোলা দেখাতে পারে। বিকল্প হিসাবে ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন নেই এমন ব্যথার ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

৪. সয়া : যাদের দেহে ল্যাকটোজের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাদের জন্যে সয়ার দুধ বেশ উপকারী বলেই মনে হয়। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত সয়া পেট ফোলানোর ওস্তাদ। চাটকান তাই নারকেলের দুধ, চালের দুধ, শণের দুধ বা চিনি ছাড়া আলমন্ডের দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

৫. স্পোর্টস ড্রিংকস : খেলাধুলার সময় যে সব পানীয় ব্যবহার করা হয় তা পেট ফোলার অন্যতম কারণ হতে পারে। পানির অভাব ধূর করতে বিশুদ্ধ খাবার পানিই সর্বোত্তম। এ ছাড়া ফ্লেভার ছাড়া ডাবের পানিও দারুণ উপকারী। আর গাছ থেকে পেড়ে আনা ডাব হলে তো কথাই নেই। নানা ধরনের ফলের জুস তো রয়েছেই।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

 

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকার

দেশ বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।
এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।  শ্বেতী রোগ আক্রান্তদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের সহযোগিতায় আমাদের এ ছোট্ট নিবেদন। এই প্রবন্ধের শেষের দিকে কিছু ইংরেজি আর্টিকেল সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছে। সেখানেও এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভের নানা পন্থা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। আপনারা এ রোগ থেকে মুক্ত হন, এটাই আমাদের কামনা।

শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রূ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো! একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট!

যাদের শ্বেতীরোগ আছে Recap নামের ঔষধটি ব্যবহারে তারা চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন৷ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা। তবে এই শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভাল হতে একটু সময় লাগে ৷কারো কারো দেড় দুই বছর সময় লাগে ৷ কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়৷ তবে শ্বেতীরোগের পরিমানের উপর সময় কম বা বেশী লাগে ৷ তবে ২-৩ মাস পর থেকে ভাল কাযকারিতা পেতে থাকবেন ৷ নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিরলস সাধনায় অনেকটা নিরাময়যোগ্য ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে। কীভাবে বুঝবেন শ্বেতী হয়েছে¬ এই রোগে আক্রান্ত রোগীর চর্ম সাদা হয়ে যায়। এতে সর্বপ্রথম সাদা বিন্দুর দাগ পড়ে এবং ধীরে ধীরে অধিক স্থানজুড়ে সাদা হয়ে পড়ে।


করণীয় :
প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recapনামের ঔষধটি ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে। রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘ দিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দু’জনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। অনেকেই আমাদের কাছে ফোন করেন। জানতে চান এ ঔষধের গ্যারান্টি বা এ ঔষধে প্রকৃতপক্ষে কাজ হবে কি-না। এ বিষয়ে জানা দরকার। যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়। আর এ রোগটি দু’তিন বছর যারা লালন পালন করছেন। খাবার দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু’এক বছর সময় লাগতে পারে।

তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে হবে। কোনো ডাক্তার আপনার রোগ আরোগ্যের বিষয়ে গ্যারান্টি দিতে পারবে না। আর গ্যারান্টি দিয়েই বা কী হবে, যদি আপনি ঠিকমতো ঔষধ প্রয়োগ এবং খাবার দাবারের বিষয়ে বিধি নিষেধগুলো মেনে না চলেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে। দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টির খাদ্য হিতকর। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

যা বেশি বেশি খাবেন :

খুরমা খেজুর, সবুজ মটরশুটি, শালগম, পালং শাক, এপ্রিকট, মেথি, ডুমুর, সবুজ শাকশবজি, আম, পেয়াজ, পেস্তা, আলু, পিউর ঘি, মুলা, লাল মরিচ, শাকসবজি, আখরোট, গম

যা নিষেধ :

ধূমপান, এলকোহল সেবন, উগ্রমশলাযুক্ত খাবার বর্জনীয়। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন- সাদাজাতীয় খাবার খাবেন না। যেমন- দুধ, ডিম, ছানা ইত্যাদি, তা সম্পূর্ণ কুসংস্কার।

যা একদম খাবেন না :

জাম, অরেঞ্জ, ব্লু বেরিজ, অ্যালকোহল, মাখন, কাজুবাদাম, চকোলেট, মাছ, রসুন, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, সামুদ্রিক তৈলজাত খাবার, পেপে, নাশপাতি, বরই, গরুর গোস্ত,  সোডা জাতীয় যে কোনো কোমল পানীয় (যেমন পেপসি, কোকাকোলা, সেভেন আপ ইত্যাদি) , টমেটো, তরমুজ।

ব্যবহার করবেন :

আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল, আদার রস, তামার পাত্রে সারারাত পানি রেখে সেই পানি সকালে খাবেন, লাল মাটি, নিম পাতা বেটে ঘোলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে হবে।

ওপরে বর্ণিত বিষয়গুলো মেনে চললে এবং শ্বেতি রোগের সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recap নামের ঔষধটি ব্যবহার করতে পারলে আপনার এ রোগ চলে যাবে চিরতরে। এটি  একটি যুগান্তকারী ঔষধ।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

আপনার অর্ডার পেলে ঔষধ পাঠানো হবে। ঔষধের প্যাকেটে ব্যবহার বিধি ও নির্দেশনা দেয়া থাকবে। সে অনুযায়ী আপনি ঔষধ ব্যবহার করতে পারবেন। একজন শ্বেতী রোগীকে কমপক্ষে তিনটি Recap প্রয়োগ করা হতে পারে। তিনটি Recap তিন ধরনের। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি হলে এক বা দু’মাস চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়। তবে যাদের দু’তিন বছর বা তারও বেশি সময় ধরে শ্বেতী, তাদেরকে 3-6 মাস এমনকি 2-3 বছর পর্যন্ত এ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।

Recap সাবধানে ক্রিম প্রয়োগ এবং নাক, মুখ, চোখ সঙ্গে যোগাযোগ এড়ানো নিশ্চিত করুন। দৈনন্দিন (সকাল ও সন্ধ্যা) শরীরের আক্রান্ত এলাকায় Recap ব্যবহার করুন।

Recap ব্যবহার করার পদ্ধতি
Recap একটি সাময়িক মলম বা ক্রিম এবং আক্রান্ত ত্বক এলাকায় বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই চিকিৎসা ব্যবহার করে পরে হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন। একটি পাতলা স্তর প্রয়োগ এবং আলতো করে ঘষে পর্যন্ত এটা চামড়ার মধ্যে প্রয়োগ করুন।

এছাড়াও Recap ব্যবহারের আগে সকাল বেলা প্যাকেটের ভেতর দেয়া নির্দেশিত অতিরিক্ত একটি মিশ্রণ ব্যবহার করলে সুফল পাবেন গায়ের বর্ণ আগের মতো ফিরে পাবেন এবং শ্বেতী রোগ চলে যাবে ক্রমে ক্রমে।

শ্বেতি শরীরের কোন অংশে হয় :

মুখমণ্ডল, কনুই, বক্ষদেশ এসব জায়গাতেই প্রথমে শ্বেতী হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনো এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে।

কোন বয়সে হয় :

সদ্যোজাত শিশুর শ্বেতী একেবারেই ধরা পড়ে না। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হলে। বাকিদের শ্বেতী হয় বয়স দশ বছর পার হয়ে জীবনের যেকোনো সময়ে।

চিকিৎসা :

ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী Recap মলম লাগানো বা ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সকালবেলার রোদ লাগাতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে। বড় আকারের শ্বেতী হলে Recape মলম আর ওষুধে কাজ হতে প্রায় দু বছরও লাগতে পারে।

ওষুধপর্বে কাজ না হলে এর পরে রয়েছে অপারেশন পর্ব। শ্বেতী চিকিত্‍সায় অপারেশনের নাম পাঞ্চ গ্রাফটিং। এ চিকিত্‍সা স্থিতিশীল শ্বেতী সারাতে করা হয়। অর্থাৎ যে শ্বেতী বছর দুয়েক মোটামুটি একই জায়গায় অবস্থান করে সেটাই স্থিতিশীল শ্বেতী।

লক্ষ্য করুন :

– যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিত্‍সা করা যায় তত ভালো।
– শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্‍সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
– ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড – এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে।

শ্বেতি রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।

কারণ: ম্যালাসেজিয়া ফারফার নামক এক ধরনের ছত্রাক শ্বেতি রোগের কারণ। শরীরের যে কোনে স্থানেই এই ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। তবে সাধারণত মুখ, বুক, পিঠ, হাতে ও পায়ে এর সংক্রমন বেশি দেখা যায়।

ছত্রাক আক্রান্ত স্থানে তৈরি করে ‘অ্যাজালাইক অ্যাসিড’, যা ত্বকের রং নির্ধারক উপাদান ‘পিগমেন্ট’ খেয়ে ফেলে। ফলে ওই স্থানটি সাদা বর্ণ ধারণ করে। ত্বকের এই রং পরিবর্তন হওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘পিটেরেসিস ভার্সিকালার’। বিবর্ণ হওয়ার পাশাপাশি চুলকানিও থাকতে পারে।


চিকিৎসা:
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে জন্মগতভাবে যাদের শ্বেতি রোগ রয়েছে তাদেরটা ভালো হয় না।

এই রোগের চিকিৎসা বেশ সহজ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যান্টি-ফাঙ্গাল’ বা ছত্রাকরোধী ওষুধ Recap ব্যবহার করতে পারেন। Recap নামের এই ঔষধটি ব্যবহার করলে শ্বেতী রোগ চলে যাবে চিরতরে।

সতর্কতা:

তবে দীর্ঘসময় ত্বক ভেজা থাকলে শ্বেতি ফিরে আসতে পারে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশও শ্বেতির একটি কারণ। এজন্য ঘামে ভেজা কাপড় বেশিক্ষণ পরে থাকা যাবে না। বাইরে থেকে এসে কাপড় খুলে বাতাসে মেলে দিতে হবে।

যারা দীর্ঘসময় পানি নিয়ে কাজ করেন, বিশেষ করে গৃহিনীরা কাজ শেষে হাত মুছে ফেলা উচিৎ। হাতের ও পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলো যাতে ভেজা না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকার :

এর লক্ষণসমূহ ও এ নিয়ে অনেকের দুশ্চিন্তা ও ভ্রান্ত ধারণা। আসুন জেনে নেই এ রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও এই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ”

শ্বেতী রোগ কি ?

–শ্বেতী রোগে ত্বক মেলানিন (যা মানুষের ত্বক, চোখ ও চুলের রঙ নির্ধারণ করে) হারায়। যখন ত্বকের কোষগুলো ক্ষয় হয় বা মারা যায় তখন শ্বেতী রোগ হয়। কারণ ত্বকের কোসগুলোই মেলানিন তৈরি করে। শ্বেতীর ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগের আকার দেখা যায়। শ্বেতী রোগ তিনভাবে হতে পারে:

১। শরীরের অল্প কিছু অংশে
২। যে কোন একদিকে (বাম অথবা ডান দিকে)
৩। শরীরের অধিকাংশ জায়গায়

শ্বেতী রোগ হয়েছে কি করে বুঝবেন 

শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সাধারণত: হলো :

১। ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়লে
২। অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু, দাড়ি সাদা বা ধূসর হলে
৩। মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হলে (Mucous membranes)
৪। চোখের ভিতরের অংশ রংহীণ হলে অথবা রংয়ের পরিবর্তন হলে

ত্বকের কোনো অংশ যখন হঠাৎ করে সাদা হয়ে যায়, চিন্তিত হয়ে পড়েন তখন সবাই। যদিও ত্বক সাদা হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা জানতে চান এটা শ্বেতী রোগ কি না? যদি শ্বেতী হয় তবে প্রায় ক্ষেত্রেই প্রচন্ড মানসিক চাপে রোগীসহ পরিবারের লোকজন সবাই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তাদের মাঝে রয়েছে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা।

ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগের কোনো চিকিৎসা নেই।

সঠিক তথ্যঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে শনাক্তকৃত শ্বেতী রোগের কার্যকর চিকিৎসা আছে। যেমন-মেডিকেল থেরাপি, ফটোথেরাপি, লেজার থেরাপি, কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদি। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা নির্বাচন করা হয়।

ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে, ত্বকের সংস্পর্শে এলে এটা অন্যকেও আক্রান্ত করতে পারে

সঠিক তথ্যঃ এটা কোনোভাবে ছোঁয়াচে নয়।

ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগ বংশগত রোগ।

সঠিক তথ্যঃ শতকরা মাত্র ৩০ ভাগের ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

ভ্রান্ত ধারণাঃ একবার শ্বেতী রোগ শুরু হলে ছড়িয়ে পড়বে সম্পূর্ণ দেহে।

সঠিক তথ্যঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না, বিভিন্ন প্রকার শ্বেতী রোগ আছে। ধরনের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ পায় এর ব্যাপ্তি ঘটে।

ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী হলে টক বা ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না।

সঠিক তথ্যঃ আধুনিক কালের গবেষণায় এটা প্রমাণিত-ভিটামিন সি বা টক খাবারে এই রোগ বাড়ায় না। বরং উপকার করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে। সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারের জন্য তাগিদ করা হয়েছে।

ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগে দুধ খাওয়া যাবে না।

সঠিক তথ্যঃ দুধ সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এটা বর্জন করা ভুল হবে। দুধ খেলেই যদি শ্বেতী রোগ হয়, তবে পৃথিবীর সব শিশুরই শ্বেতী রোগ হতো। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী, রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে দুশ্চিন্তা, ঘষা বা আঘাত লাগানো এবং সূর্যের সরাসরি আলো এ রোগের জন্য ক্ষতিকর।

এই রোগের লক্ষণ কোন পর্যায়ে গেলে ডাক্তার দেখাবেন

ত্বক, চুল এবং চোখ ফ্যাকাসে হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

কী ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে ?

ক) রোগের ইতিহাস
খ) বংশের রোগের ইতিহাস
গ) ত্বকের বায়োপসি (Skin Biopsy)
ঘ) রক্তের পরীক্ষা
ঙ) চোখের পরীক্ষা

কী ধরনের চিকিৎসা আছে 

শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ৬-১৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডাক্তার নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণের জন্য বলতে পারেন :

ক) ঔষধ ব্যবহার করা (Topical)
খ) মুখে ঔষধ খাওয়া
গ) শল্য চিকিৎসা

বাড়তি সতর্কতা

ক) নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে
খ) সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এমন মলম (ক্রিম) ব্যবহার করতে হবে
গ) যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা গা তামাটে রঙ করা (Tanning) থেকে বিরত থাকতে হবে

শ্বেতী রোগ

শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে।

শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়। বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ এখনও জানতে পারেননি। বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত।

লক্ষণ/চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী Recap মলম, থেরাপি ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়।

বিশ্ব ভিটিলিগো দিবস

২৬ জুন বিশ্ব ভিটিলিগো দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রয়াত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনও এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন, এবং তার প্রয়াণ দিবসে এই দিবসের নাম করণ করা হয়েছে।

নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে
সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এমন মলম (ক্রিম) ব্যবহার করতে হবে
যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা গা তামাটে রঙ করা (Tanning) থেকে বিরত থাকতে হবে

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন. ১. শ্বেতী রোগ কেন হয় ?

উত্তর. শ্বেতী রোগ হবার কারণগুলো হলো :

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি (Immune System Disorder) থেকে
বংশগত কারণে
রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া অথবা মানসিক চাপ থেকে

প্রশ্ন.২. শ্বেতী রোগ কি ছোঁয়াচে?

উত্তর. না,শ্বেতী কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়।

প্রশ্ন. ৩. শ্বেতীর কি ধরণের শল্য চিকিৎসা আছে?

উত্তর :

অটোলোগাস স্কিন গ্রাফটস (Autologus Skin Grafts)
ব্লিস্টার গ্রাফটিং (Blister Grafting)
ট্যাটু (Tattoing)

 

চর্ম রোগ শ্বেতী নিয়ে ভয় পাবেন না

শ্বেতী বাংলাদেশ সহ বিশ্বের একটি সাধারণ চর্ম রোগ । এই রোগকে কেউ কেউ ধবল রোগ আবার কেউ বা শ্বেতকুষ্ঠ বলে থাকেন। অথচ শ্বেতীর সাথে কুষ্ঠরোগের কোনো সর্ম্পক নেই । শ্বেতী মোটেও ছোঁয়াচে নয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসার দ্বারা এই রোগ সারিয়ে তোলা যায় ।

সম্প্রতি রিক্যাপ ঔষধটি আবিষ্কৃত হয়েছে। যা ব্যবহার করলে একশত ভাগ শ্বেতী রোগ সেরে যায়।

শ্বেতী নিয়ে আলোচনার শুরুতেই এ কথা জানিয়ে দেয়া একান্ত ভাবে প্রয়োজন মনে করছি । যে সব রোগ নিয়ে নানা কুসংস্কার ছড়ানো হয়েছে তার মধ্যে শ্বেতী অন্যতম । ফলে শ্বেতী রোগকে ঘিরে এক ধরণের অযথা ভয় এবং আতংক ছড়ানো হয়েছে । কিন্তু শ্বেতী কোনো ভয়ের রোগ নয়। শ্বেতীরোগের কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় । বংশগত প্রভাবে কারো কারো এই রোগ হয় বলে দেখা যায় । এ ছাড়া বর্তমানে বাজারে প্রসাধনী সামগ্রী হিসেবে কতগুলো ক্যামিক্যাল বা সিন্থেটিক জিনিস পাওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহার বা স্পর্শ থেকে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া ঘটে অনেকের শ্বেতী হয় বলে দেখা গেছে। চশমার আঁটসাঁট ফ্রেম থেকে নাকের দু’পাশে বা কানের কাছে সাদা হতে দেখা যায় । কপালে পড়ার সিন্থেটিক টিপ থেকে শ্বেতীর শুরু হতে দেখা যায়। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা, ঘড়ির বেল্ট প্রভৃতি ব্যবহার থেকে, কারও কারও কব্জিতে বা পায়ে শ্বেতীর চিহ্ন বা অন্যান্য স্কিন ডিজিজ দেখা যায় ।

শ্বেতী রোগের ফলে স্বাস্থ্যহানি হয় না, শুধু স্কিনের স্বাভাবিক বর্ণ নষ্ট হয়। এই রোগে জীবননাশের তেমন কোনো আশঙ্কা থাকে না। তবে রোগীর প্রচন্ড মানসিক কষ্ট হয়। রোগী সাধারণ ভাবে রোদ ও আগুনের তাপ সহ্য করতে পারে না। শ্বেতী হলে সাধারণ ভাবে প্রথমে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায় । কিছু দিনের মধ্যেই দাগগুলো মিলে বৃহদাকার ধারণ করে । কখনো কখনো মায়ের গর্ভ থেকে শ্বেতী রোগ নিয়ে শিশু জন্ম গ্রহণ করতে পারে । শ্বেতী হলে কি হয় এবার সেদিকে নজর দেই। সাদা বা কালো সে যাই হোক না কেনো ত্বক বা চামড়ার স্বাভাবিক এই রং যখন থাকে না তখন তাকে শ্বেতী বলা হয় । মেলানোসাইট নামে ত্বকে এক জাতীয় কোষ আছে আর এই কোষ মেলানিন নামে একটি রং উৎপাদন করে বলেই আমরা ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই । শ্বেতী হলে রং আর উৎপাদন ঘটে না । তখন ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাই আর একেই আমরা শ্বেতী বলে থাকি । যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পায় একই ভাবে থাইরয়েডের রোগ থাইরোডাইটিস বিশেষ করে যাদের হাসিমতো থাইরোডাইটিস হয় তাদেরও শ্বেতী হতে পারে । বিশেষ এক জাতের রক্তশুন্যতা থেকেও এই রোগ হতে পারে ।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. শাহাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এ রোগ সর্ম্পকে আমাদের উপরোক্ত কথাগুলো বলেছিলেন । শ্বেতী রোগ যে সংক্রামক নয় আলোচনার শুরুতেই সে কথা বলেছি। তারপরও এই রোগ নিয়ে জনমনে নানা বিভ্রান্তি বিরাজ করায় বিষয়টি আমরা বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. শাহাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর কাছে তুলে ধরি।

তিনি জানালেন, এই চর্ম রোগ মানে শ্বেতী মোটেও সংক্রামক নয়। এ ব্যাপারে তিনি একশত ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, অনেকেই বিভ্রান্তিবশত শ্বেতী রোগকে কুষ্ঠ রোগের সাথে এক করে ফেলে যা মোটেও ঠিক নয়। কুষ্ঠ মূলত জীবাণু ঘটিত রোগ অন্যদিকে শ্বেতী হয় দেহের আভ্যন্তরীণ কারণে। তবে কেবল শ্বেতী হলেই দেহের চামড়া বা ত্বকের রং পরিবর্তন হতে পারে তা নয়, আরো কিছু কারণে ত্বকের রং পরিবর্তন ঘটতে পারে । এর মধ্যে রয়েছে পুড়ে যাওয়া বা রাসায়নিক বিভিন্ন পর্দাথের স্পর্শ । অন্যকোনো চর্ম রোগ শরীরে হলে তা সেরে যাওয়ার পরও ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে । ত্বকের এ অবস্থাকে চিকিৎসকরা লিউকো ডারমা বলে থাকেন । ছলন বা ছুলি নামে পরিচিত কিছু চর্ম রোগের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক রোগ হ্রাস পেতে পারে । এ জাতীয় রোগের ক্ষেত্রে ত্বকের পুরো রং নষ্ট হয় না । বরং ত্বকের স্বাভাবিক রং হ্রাস পায়। আবার আমরা এক ধরণের মানুষ দেখতে পাই যাদের দেহের সম্পুর্ণ ত্বকই সাদা হয়ে যায়। এমনকি চোখের রংও বদলে যায়। এলবিজম নামে পরিচিত একটি রোগের কারণে এমনটি হতে পারে ।

শ্বেতী রোগে জনসংখ্যার কত শতাংশ আক্রান্ত হয়ে থাকে এবার সে ব্যাপারে আমরা একটু নজর দেবো । চিকিৎসকদের হিসেবে অনুযায়ী শুন্য দশমিক ৫ হতে এক শতাংশ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে । অর্থাৎ প্রতি একশ জনে একজন বা ২ জনের শ্বেতী হয়ে থাকে। নারী বা পুরুষ ভেদে অনেক রোগের প্রকোপের হেরফের হয় । তবে শ্বেতীর ব্যাপারে সে ধরণের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও দেখো গেছে চিকিৎসকের কাছে সাধারণ ভাবে এ রোগে আক্রান্ত নারী রোগী বেশি যান । এর কারণ হতে পারে এই যে নারীরা সাধারণভাবে রূপ সচেতন বলেই তারা শ্বেতী রোগ হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে থাকেন। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা আছে এবং পনর থেকে ২৫ শতাংশ রোগীর শ্বেতী কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই ভাল হয়ে যায়। এরপর যাদের চিকিৎসা দেয়া হয় তাদের মধ্যে চিকিৎসা ভেদে ফলাফলের হেরফের হয় ।

তবে সাধারণ ভাবে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর Recap নামের ঔষধটি ব্যবহারে শ্বেতী চিকিৎসায় ভাল হয়ে উঠে । শ্বেতীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীকে সময় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রফেসর শাহাবউদ্দিন আহমেদ । অষুধ বা অতি বেগুণী রশ্মি প্রয়োগ করে শ্বেতীর চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ার পর সার্জারির আশ্রয় নেয়া যেতে পারে । দেহের ভাল অংশের ত্বক কেটে এনে বসানো হয় রোগীর শ্বেতী আক্রান্ত অংশে । শ্বেতীর ক্ষেত্রে আরেকটা কাজও করেন চিকিৎসকরা আর তা হলো, যাদের শরীরে আশি ভাগের বেশি শ্বেতী হয়েছে তাদের শ্বেতী সারিয়ে তোলার বদলে দেহের বাকি চামড়াকেও শ্বেতী মতো রং করে দেয়া হয়। এ কাজটা করা হয় বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্যে।

 


যৌন সমস্যার অব্যর্থ ঔষধ Night king

যৌন সমস্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি বিষয়ও জেনে নেওয়া যেতে পারে, আর তা হলো পুরুষাঙ্গের শিথিলতা। এ সবের মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিজফাংশনটিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এই সমস্যাটি নানাবিধ কারণে হতে পারে। এর বড় একটা কারণ হলো মনস্তাত্ত্বিক। এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিষ্কের রোগের কারণেও এমনটি হতে পারে।

পুরুষাঙ্গের রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়। কারণগুলোকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করলে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এ সমস্ত সমস্যা সমাধানে এবং বেশি সময় ধরে যৌন মিলন করতে আপনি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন একটি ঔষধ সেবন করতে পারেন। যা আমেরিকায় তৈরি হার্বাল ঔষধ।

চিকিৎসা :

যৌন দুর্বলতার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের উপর। পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে হয় তা হলে অবশ্যই ওই রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। তবে সচরাচর এই রোগের জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

এ হার্বাল ঔষধে একজন নারী কিংবা এক পুরুষের সঙ্গে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেওয়া যায় এবং মিলনে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারণ, এতে পেনিসে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং পেনিসকে দীর্ঘক্ষণ শক্ত ও মজুবত রাখে।

উপরে বর্নিত ‘নাইট কিং’ ব্যবহারে আপনার সকল প্রকার যৌন সমস্যার সমাধান হবে। যাদের সহবাসের আগে বা যে কোনো সময় হাঁটা চলা করার সময় সেক্স বের হয়ে যায়। সহবাসের আগে আপনার পেনিস নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই সকল সমস্যায় ‘নাইট কিং’ বেশ কাজ করে। এটি ব্যবহারে পেনিস খুব দ্রুত উত্থান ঘটে। সেক্সুয়াল সমস্যা সমস্যা দূর করে। অনেকে হস্তমৈথুন করতে করতে আপনার পেনিসকে নিস্তেজ করে ফেলেছেন। ‘নাইট কিং’ ব্যবহারে তা আবার আগের মতোই সবল ও সুদৃঢ় হবে।

নিয়মিত মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাললাগা/মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেওয়া-নেওয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।

লক্ষণ ভেদে ওষুধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পাঠক একটি বিষয় মনে রাখবেন। যে কোনো যৌন সমস্যার সমাধান রয়েছে চিকিৎসায়। তাই রোগ শরীরে পুষে না রেখে আজই একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে আসুন।

 

সম্প্রতি আবিষ্কৃত ঔষধ

পুরুষ ও নারীর জন্যে উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে খুব ভালো ঔষধ নাইট কিং। এটি পুরুষ ও নারীর সেক্স বাড়ায় এবং লিঙ্গ উত্থানে খুব সহজেই সাড়া দেয় এবং বেশিক্ষণ স্ত্রী সহবাসে সহযোগিতা করে।

এই ওষুধ সেবনে আপনার লিঙ্গ অনেকক্ষণ শক্ত ও দৃঢ় থাকবে। আপনি অনেকবার যৌনকাজ করতে পারবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply