ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক জড়িয়ে মানহানিকর মামলায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর যুক্ত আবেদন ॥ সঠিক তদন্তের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার :  এলাকার পঞ্চায়েতের মধ্যে একজন তিনি। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন, গ্রাম্য চিকিৎসক চিকিৎসক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। কাজ করছেন স্থানীয় মসজিদ কমিটির কোষাধক্ষ্য হিসেবে। এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকেন আ: রব (৫০)। ফলে এলাকায় রয়েছে যথেষ্ট সুনাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পীরের খাদেমসহ সর্বস্তরের লোকজনের মতে তারমধ্যে চরিত্রগত ত্রুটি না থাকলেও এলাকার এক নারীর ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামী হয়ে তিনি এখন পার্লিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে শুধুমাত্র জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনাকে উপজীব্য করে হয়রানি ও ন্যক্কারজনক মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। আ: রবকে নিরাপরাধ দাবি করে গণস্বাক্ষরযুক্ত লিখিত আবেদন করেছেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য। যদিও ওই নারীর দাবি তাকে ধষর্ণের চেষ্টা করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক ও গ্রাম্য চিকিৎসক আ: রব। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পশ্চিম সন্তোষপুর গ্রামের।

জানা গেছে, পশ্চিম সন্তোষপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির জালাল আহমেদের মেয়ের এক সস্তানের জননী একই এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক ও গ্রাম্য চিকিৎসক আ: রবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে প্রকাশ ওই নারী আ: রবের ঔষধের দোকানে গেলে নানা করকম অঙ্গভঙ্গি করতো ও বাজে প্রস্তাব দিতো। এনিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। সর্বশেষ তিনি এই ঘটনা ঘটান।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষক ও গ্রাম্য চিকিৎসক আ: রবের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন এটি একটি সাজানো ঘটনা। খাদেম হজু মিজি, ব্যবসায়ী মইন উদ্দিন, ইউপি সদস্য ছলিম উল্ল্যা, সাবেক ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন, স্কুল শিক্ষক রিয়াজুল হাসান, স্থানীয় মিজানুর রহমান, এমরান বেপারী, শাহ আলম, আমির হোসেন, নেছার আহম্মদসহ উপস্থিত লোকজন জানান, ওই নারী ও আ: রব ডাক্তারকে নিয়ে এই পর্যন্ত কোন শালিসই হয়েছে বলে তারা শুনেন নি। এমনকি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটিও তারা শুনেন নি। মামলা দায়েরের পর এখন জেনেছেন। মুলত জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে এদের সাথে, এনিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বিবাদ ও মামলা মোকাদ্দমা আদালতে চলছে। এসব মোকাবেলা করতেই এই মামলা সাজানো হয়েছে বলে আমরা মনে করি। নচেৎ এত বড় একটি ঘটনার সংবাদ আমরা কেউই জানবো না, এটা কিভাবে সম্ভব। বিকাল থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত আমরা অনেকেই স্কুল ও মসজিদ সংশ্লিষ্ট আ: রবের দোকানে সময় কাটাই। কখনো ওই নারীকে আসতে দেখি নি এবং মসজিদ ও দোকানের বাইরে যেতে দেখিনি। এই ঘটনা জেনে আমরা অনেকেই হতবিহ্বল। তাই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য এলাকার লোকজন গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক।

এব্যাপারে ওই নারী জানান, মামলার এজাহারই আমার বক্তব্য। এর বাইরে কিছু নেই।

অভিযুক্ত আ: রব ডাক্তার বলেন, আমি এই মামলা আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আমার। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হউক। সঠিক তদন্ত হলে আমি নির্দোষ তা প্রমাণিত হবো।

আ: রব ডাক্তারের ভাতিজা রাসেল বলেন, গত ২৯ অক্টোবর আমাদের সাথে জমি নিয়ে জালাল আহমেদের সাথে বিবাদ ও মারামারি হয়। আমার চাচা এই মারামারি থামাতে গিয়ে নিজে লাঞ্ছিত হন। চাচা আমাদের জমি সংক্রান্ত সকল কিছুই দেখভাল করেন। তার সম্মানহানি করতেই ২৭ অক্টোবর তারিখে ধষর্ণ চেষ্টার ঘটনা দেখিয়ে মামলা সাজায়। পরে আদালতে ৩ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করে। আমরা সঠিক তদন্ত চাই, তাহলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?

Loading

শেয়ার করুন