শরীর রোগমুক্ত রাখতে হলে করণীয়
হাকীম মিজানুর রহমান :
মানব জীবনের প্রতিটি বাঁকে সুখ-অসুখ, কষ্ট-বেদনা, রোগ-ব্যারাম থাকবেই। মানব সৃষ্টির লক্ষ লক্ষ বছর আগে থেকেই রোগের জন্ম। তাই মানুষ কখনো সুখী, কখনো অসুখী। মানব শরীর যে চারটি ধাতুরস (রক্ত, শ্লেষ্মা, অ¤œ ও পিত্ত) দিয়ে প্রতিনিয়ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে পুরো শরীরকে তার শারীরিক চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে সেই চারটি ধাতুরসের (হিউমারাস) কোনো একটির বিপর্যয় (সমস্যাক্রান্ত) ঘটলেই শরীরে অসুখ দেখা দেয়। তাই এসব সমস্যা সমাধানে মানুষকে জানতে হবে কোন খাবারটা তার শরীরের জন্যে উপযুক্ত; আর কোন খাবারটা তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার এমনও খাবার আছে, যা স্বাভাবিক মাত্রায় শরীরের জন্যে ক্ষতিকর না হলেও অস্বাভাবিক মাত্রায় সেই খাদ্য গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আমাদের এই শরীর নামক একটি বিস্ময়কর কারখানাকে চালিয়ে রাখতে হলে সেসব বিষয়ে কম করে হলেও সুষম খাদ্য গ্রহণের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তাহলেই আমাদের শরীরের জন্যে সঠিক ও উপযুক্ত খাদ্য (সুষম খাদ্য) গ্রহণে আমরা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো এবং আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারবো।
যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলা হয়। অর্থাৎ মানবদেহের প্রয়োজনীয় ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য বলে। সুষম খাদ্য দেহের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। সুষম খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ছয়টি খাদ্য উপাদান যেমন- আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি বিদ্যমান থাকে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে।
আমাদের শরীর টিকিয়ে রাখতে সঠিকমাত্রায় আমিষ বা প্রোটিন, শর্করা বা কার্বোহাইড্রেড, ¯েœহ পদার্থ বা তেল, মিনারেল ছাড়াও আমাদের প্রতিদিন সঠিক পরিমান ভিটামিন, আয়রণ, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক জাতীয় খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক। তা না হলে ভিটামিন, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক-এর অভাবে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ মানুষ একেবারেই জানেন না। তারপর যখন চোখে কম দেখা, হাড়ের নানা রোগ, ব্যথা বেদনা, দাঁতের সমস্যা শুরু হয় তখন শুরু হয় চিকিৎসার জন্যে দৌড়াদৌড়ি। তাই আমরা রোগ সৃষ্টি হওয়ার আগেই প্রতিরোধের এ বিষয়টি জেনে রাখবো।
১. প্রোটিন জাতীয় খাদ্য শ্রেণী : মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, সীমের বীজ, বাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মাথাপিছু দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এই শ্রেণীর খাদ্য প্রোটিন ছাড়াও লোহা, ভিটামিন, থায়ামিন, নায়াসিন কালসিয়াম, ফসফরাস সরবরাহ করে থাকে। প্রাণিজ এবং উদ্ভিজ্জ উভয় প্রকার প্রোটিনই আমাদের দেহের জন্য আবশ্যক। তবে বিশেষ করে বাড়ন্ত ছেলে-মেয়ে, গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদায়ী মায়ের খাদ্যে প্রতিদিন অবশ্যই কিছু প্রাণিজ প্রোটিন থাকা উচিত।
২. শস্য জাতীয় খাদ্য : চাল, গম, ভুট্টা, আলু, এবং চাউল ও গম থেকে তৈরি ভাত রুটি, চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির অর্ধেকেরও বেশি শস্য জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। শক্তি উৎপাদনের জন্য এবং দেহের বৃদ্ধির জন্য শস্য-জাতীয় খাদ্য একান্ত প্রয়োজন।
৩. শাক-সবজি ও ফল জাতীয় খাদ্য শ্রেণী: শাক-সবজি ও ফলমূল আমাদের দেহে ভিটামিন ও ধাতব লবণের চাহিদা পূরণ করে থাকে। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় শাক-সবজী ও ফলমূল এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। দেহকে সুস্থ্য ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিমাণ সবজি ও ফলমূল থাকা উচিত। রঙিন শাক সবজি এবং টক জাতীয় ফল ও তরকারি ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ক্যারটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
৪. দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য শ্রেণী : দুধ জাতীয় খাদ্য যেমন- পানির, পায়েস, ফিরনি, ছানা, আইসক্রীম, ঘোল, দই, টাটকা দুধ, মিষ্টি ইত্যাদি খাবার দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে থাকে। নবজাতক শিশুর প্রাথমিক ও প্রধান খাদ্য দুধ। মানবদেহের প্রয়োজনীয় সবকয়টি ভিটামিন দুধে পাওয়া যায়। দুধ ক্যালরিবহুল ও প্রোটিনবহুল পানীয়। দুধের মধ্যে সকল প্রকার অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড পাওয়া যায় । একজন সুস্থ্য, কর্মক্ষম ব্যক্তির খাদ্যে দৈনিক ৮ আউন্স বা ১ পোয়া দুধ পরিবেশন করা দরকার।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নিম্নে একজন পূর্ণ বয়স্ক স্বাভাবিক পরিশ্রমী ব্যক্তির স্থানীয় স্বল্পমূল্যের খাদ্য থেকে সুষম খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো : খাদ্যশস্য (চাল, আটা, ময়দা, সুজি)-২৮৫ গ্রাম। মশুর, মুগ, ছোলা, মটর, খেসারি-১০০ গ্রাম। মিষ্টি কুমড়া, আল-২০০ গ্রাম। কচু, বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাক-সবজি-১০০ গ্রাম। কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম-২০০ গ্রাম। অঙ্গুরিত বীজ-৫০ গ্রাম। ভোজ্য তেল-৫০ গ্রাম। ইক্ষুরস (গুড় চিনি)-৩৫ গ্রাম।
সুষম খাদ্য গ্রহণের অভাবে আমাদের দেহ যখন রোগাক্রান্ত হয়, আমরা তখন চিকিৎসকের পেছনে দৌড়াই। আসলে আমাদের প্রয়োজন সুস্থ থাকতেই অসুস্থতার কারণগুলো খুঁজে বের করা এবং সুস্থ থাকতেই অসুস্থতাকে প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কারণ আপনার শরীরটা টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অসুস্থ হলে আপনার ব্যথা বেদনা নিয়ে মানুষ উহ, আহ করলেও আপনার কষ্ট কেউ বইবে না, আপনাকেই বইতে হবে।
সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকার বিশ^খ্যাত সয়াপ্রোটিন সমৃদ্ধ বিভিন্ন পুষ্টি খাদ্য সামগ্রীর তালিকা তুলে ধরা হলো-
সয়া প্রোটিন ড্রিংক মিক্স : বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রস্তুতকৃত একটি সুষম পুষ্টি খাদ্য। যাতে রয়েছে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার আদর্শ স্টান্ডার্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক প্রোটিন, অতি কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, নিত্য প্রয়োজনীয় ৭ প্রকার মিনারেলস, ৯ প্রকার ভিটামিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। পরিবর্তিত খাদ্য হিসেবে নিয়মিত সেবনে দেহের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিশ্চিত ও নিরাপদভাবে কার্যকরী। দেহের বাড়তি চর্বি/কোলেস্টরেল এবং রক্তে বাড়তি সুগার-এর মাত্রা কমিয়ে স্বাভাবিক করে। করোনারী শিরার ব্লকেজ ও হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, মাইগ্রেন, টিউমার/ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমিয়ে দেয়। সাইজ : ৫০০ গ্রাম। মূল্য : ৫৫০/- টাকা।
কার্ডিওমেট : কার্ডিওমেট একটি রিভার্সেল ডায়েট ফর্মূলায় প্রস্তুতকৃত। কার্ডিওমেট নিয়মিত সেবনের ফলে হার্টের ব্লকেজের রোগীদের করোনারী আর্টারীতে রক্তনালীর প্রাচীর প্রসারিত হয়। ফলে পোর্টিয়াল ব্লকেজ থাকলেও রক্ত সরবরাহ বেড়ে গিয়ে কার্ডিয়াক টিস্যুতে অক্সিজেনের আধিক্য ঘটে এবং কার্ডিয়াক পেইন দূরীভূত হয় এবং ক্রমান্বয়ে ব্লকেজ কমতে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। সাইজ : ৫০০ গ্রাম। মূল্য : ১০০০/- টাকা।
গ্লুকো কেয়ার : গ্লুকো কেয়ার-এ রয়েছে সয়া প্রোটিন, আমলকী, করলা, জামবীজ, আলফালাফা পাতা, রসুন, মেথি, চিরতা ও কালো জিরাসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদান। যা দেহে বাড়তি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্যাভ্যাসের কারণে সৃষ্ট বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে ধীরে রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। গ্লুকো কেয়ার নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ১০০ ভাগ নিরাপদ পুষ্টি খাদ্যরূপে প্রমাণিত হয়েছ। সাইজ : ৪০০ গ্রাম। মূল্য : ৫৪০/- টাকা।
নাইট কিং : ‘নাইট কিং’ যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডের ক্রিয়াশক্তি বৃদ্ধি এবং হরমোনাল নিঃসরণ স্বাভাবিক করে। দুর্বল ও অক্ষম নার্ভসমূহকে সবল, সতেজ ও কর্মক্ষম করে। যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে অতীব কার্যকরী ও নিরাপদ। এতে কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ নেই বলে কোনো পাশর্^প্রতিক্রিয়াও নেই। ‘নাইট কিং’ নিয়মিত সেবনে যৌনশক্তি স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি ও অতি আনন্দদায়ক করে। মহিলা ও পুরুষের হরমোনাল ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনে এবং শুক্রানু বৃদ্ধি করে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব দূরীভূত হয়।
সুপার প্রোটিন : সুপার প্রোটিন প্রাত্যাহিক ক্ষয়িত শক্তি পূরণ করতে এবং দেহের মাংসপেশী, হাড় শক্তিশালী ও মজবুত করে গড়ে তুলতে একটি উৎকৃষ্টমানের সুষম পুষ্টি খাদ্য। এতে রয়েছে আইসোলেটড সয়া প্রোটিন, হোয়াইট ওটস, হোয়ে ও ইয়েস্ট কনসেন্ট্রেটেড, মাল্টোডেক্লক্সিন ও আরো কতিপয় উৎকৃষ্টমানের পুষ্টি খাদ্য উপাদান। সুপার প্রোটিন দৈহিক স্বাস্থ্য বর্ধন, মাংসপেশী শক্তিশালী ও মজবুত এবং অতিরিক্ত উদ্যমশক্তির যোগান দিতে এক অদ্বিতীয় পুষ্টি খাদ্য। এছাড়াও দেহের বাড়িত মেদ বা চর্বি বৃদ্ধি প্রতিরোধ, হৃদরোগের ঝুঁকি পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাইজ-৫০০ গ্রাম, মূল্য ১৫০০/- টাকা।
ফ্লাকসিড অয়েল : বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রস্তুত ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পুষ্টি খাদ্য। দেহের বাড়তি কোলেস্টরেল, ট্রাইগ্লিসারিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অতীব কার্যকরী। ওমেগা-৩ জমাট রক্ত ও চর্বি গলিয়ে নিঃসরণে কার্যকরী। হৃদরোগ, ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ, টিউমার, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে ফ্লাকসিড অয়েল উৎকৃষ্ট মানের পুষ্টি খাদ্যরূপে বিশে^ স্বীকৃত। সাইজ-২০০ মিলি, মূল্য-৪৫০ টাকা।
পাইলস কিউর : এটি সেবনে পাইলস নিমূর্ল হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা, হজম শক্তির দুর্র্বলতা, গ্যাস্ট্রাইটিস, পুরাতন আমাশয়, লিভার দুষ্টি, রক্তদূষণ দূর হয়। এছাড়াও এটি চর্মরোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও শ^াসকষ্ট প্রশমক। ক্যান্সার প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সাইজ-১০০ গ্রাম। মূল্য-৫৫০/- টাকা।
ধবল বা শে^তী রোগ : সারা বিশে^ ধবল বা শে^তী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মনোকষ্টে ভুগছে। এ চিকিৎসা অপ্রতুল হলেও সঠিক ভেষজ চিকিৎসায় দীর্ঘসময়ে অনেকক্ষেত্রেই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। ভিটিলিগো কিউর, ন্যাচারাল হার্বস, ভিটিলিগো ন্যাচারাল ও রিক্যাপ ক্রিম ব্যবহারে এ রোগীরা উপকৃত হতে পারে। তবে রোগীর রোগের ব্যাপ্তিকাল, অবস্থা অনুসারে এ রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।
হাকীম মিজানুর রহমান (বি এস এস, ডি ইউ এম এস)
মুঠোফোন : ০১৭৪২০৫৭৮৫৪, ০১৭৭৭৯৮৮৮৮৯, ০১৭৬২২৪০৬৫০ (সকাল ১০টা থেকে রাত ০৮টা)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, গাউছিয়ার টাওয়ার (৩য় তলা), রামপুর বাজার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
শ্বেতী, ধবল, যৌনরোগ, হাঁপানি, হার্নিয়া, পাইলস, লিকুরিয়া, ব্রেনস্ট্রোক হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত বেদনা, গাউট, পক্ষাঘাত, চর্মরোগ, জন্ডিস, লিভার সমস্যা, আইবিএস, হার্ট ও শিরার ব্লকেজ, স্ত্রী রোগ, স্বপ্নদোষ, মেহ-প্রমেহ চিকিৎসা করা হয়।
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
ডা.হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস) হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মুঠোফোন: চিকিৎসক) 01762240650
(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা।
নামাজের সময় কল দিবেন না।)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়