শাহরাস্তিতে আন্তঃ জেলা গাড়ি চোর চক্রের ২জন গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক : শাহরাস্তি থানা পুলিশ কর্তৃক আন্তঃ জেলা গাড়ী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য আলমগীর হোসেন(২৭), এবং মোঃ বাবলু মিয়া(২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে।
২১/০৩/২০২৪ তারিখ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানাধীন ১৭নং রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপির অন্তর্গত ওয়ার্ড নং-০৯, চিতোষী-মুদাফ্ফরগঞ্জ পাকা সড়কের রঘুরামপুর কোম্পানীর ব্রীজের পূর্ব পাশে জনৈক আবু তাহের এর ওয়ার্কশপ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে ০২ জন গাড়ী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
ঐ সময় তাদের কাছ হতে একটি হলুদ রঙ্গের পিকআপ গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী ১। আলমগীর হোসেন(২৭), পিতা-মোঃ ফজর আলী, মাতা-মিনারা বেগম, সাং-কাগৈয়া (আলতাফ মিয়া বাড়ী), ২। মোঃ বাবলু মিয়া(২৪), পিতা-মোঃ শাহআলম, মাতা- মরিয়ম বেগম, সাং-বেলঘর (আজিজ মিয়ার বাড়ী), উভয় থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা।
আলোচ্য মামলার বাদী আবুল খায়ের(৪৩), পিতা- আলী আশ্রাব, মাতা- রাজিয়া খাতুন, সাং- নোয়াপাড়া(জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়ী), থানা- বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা থানায় হাজির হইয়া লিখিতভাবে জানান যে, বাদীর মালিকীয় হলুদ ও ব্লু রয়ের একটি পিকআপ গাড়ী ফারুক হোসেন চালিয়ে থাকে। ইং ২১/০৩/২০২৪ তারিখ ভোর অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় ড্রাইভার ফারুক হোসেন গাড়ীটি ঢাকা শাহবাগ থানাধীন বক্সিবাজার সিগনেলের সামনে রাখিয়া সেহরী খাওয়ার জন্য হোটেলে যায়। ইং২১/০৩/২০২৪ তারিখ ভোর অনুমান ০৪.৫৫ ঘটিকার সময় সেহরী খেয়ে ও ফজরের নামাজ আদায় করে আসিয়া দেখে যে, গাড়ীটি নাই। গাড়ীর ড্রাইভার ফারুক হোসেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাদীকে জানায়। গাড়ীটি খোঁজাখুজি করার একপর্যায়ে সংবাদ পান যে, শাহরাস্তি থানা পুলিশ বাদীর গাড়ীটি উদ্ধার করিয়াছে।
উক্ত সংবাদে ভিত্তিতে বাদী সহ আরো লোকজন ২১/০৩/২০২৪ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার শাহরাস্তি থানাধীন রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপির অন্তর্গত চিতোষী-মুদাফ্ফরগঞ্জ পাকা সড়কের রঘুরামপুর কোম্পানীর ব্রীজের পূর্ব পাশে জনৈক আবু তাহের এর ওয়ার্কশপ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর আসিয়া দেখে যে, পুলিশ বাদীর গাড়ীটি সহ ০২ জন আসামী আলমগীর হোসেন(২৭) ও মোঃ বাবলু মিয়া(২৪), দ্বয়কে আটক করিয়াছে। বাদী তাহার গাড়ীটি সনাক্ত করে। বাদীর এজাহার দাখিলের প্রেক্ষিতে শাহরাস্তি মডেল থানার এফআইআর নং-৯, তারিখ- ২২ মার্চ, ২০২৪; জি আর নং-৪১, ধারা- 379/411 The Penal Code, 1860 রুজু করা হয়। পরবর্তীতে আটক আসামীদ্বয়কে মামলার ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক করিয়া যথাযথ পুলিশ এসকর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।