অকাল বীর্যপাত ও ধাতু ক্ষয় রোগের কারণ ও প্রতিকার

অকাল বীর্যপাত কি?

অকাল বী/র্যপাত বা দ্রুতস্খলন হলো যৌনসঙ্গমকালে পুরুষের দ্রুত বী/র্যপাত যাকে ইংরেজিতে বলা হয় প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকিউলেইশন। এটি একটি সাধারণ যৌ/নগত সমস্যা।

প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনকে এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। স্ত্রী যো/নীতে পুরু/ষাঙ্গ প্রবেশের পর অঙ্গ চালনার পরিণতি হিসেবে বী/র্যপাত হয়ে থাকে। যো/নীতে লিঙ্গ প্রবেশের সময় থেকে বী/র্যপাত অবধি সময়কে বলা হয় বী/র্যধারণ কাল।

কতক্ষণ অঙ্গচালনার পর বী/র্যপাত হবে তার কোন সুনির্দ্দিষ্ট বা আদর্শস্থানীয় সময় নেই। পুরুষে পুরুষে, বয়সের তারতম্যে বা পরিবেশভেদে বী/র্যধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হতে দেখা যায়। তবে নিয়মিত যদি যো/নীতে লি/ঙ্গ প্রবেশের পূর্বে বা অব্যবহিত পরেই অপ্রতিরোধ্যভাবে বী/র্যপাত হয়ে যায় তবে তা দ্রুতস্খলন সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এটি একটি যৌ/নসমস্যা কেননা এর ফলে পুরুষ প্রযোজনীয় সময় ধরে অঙ্গচালনার সুখ থেকে বঞ্চিত হয়। অপর দিকে অকাল বী/র্যপাতের দরূণ পুরুষাঙ্গ নেতিয়ে পড়ে বলে অঙ্গ চালনা আর সম্ভব হয় না যার ফলে স্ত্রীর চরমানন্দ লাভের আগেই সঙ্গমের সমাপ্তি হয়।

অকাল বী/র্যপাতের প্রধান লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষের বী/র্যপাত ঘটে যাওয়া। এটি ঘটে অতিরিক্ত উওজনার ফলে অনেক সময় প্রথম মিলনে এটা বেশিরভাগ হয়ে থাকে ।

প্রকারভেদ
এ সমস্যাটি সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়ঃ প্রথমতঃ প্রাক-প্রবেশ অকাল বী/র্যপাত যাতে স্ত্রী যো/নীতে পুরু/ষাঙ্গ প্রবেশের পূর্বে বীর্যপাত ঘটে যায়। দ্বিতীয়তঃ অঙ্গচালনার অব্যবহিত পরেই অকাল বী/র্যপাত।

কারণ
দ্রুত বী/র্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণ
প্রাথমিক বয়সে যৌ/ন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন­

লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌ/নক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বী/র্যপাত ঘটে যায়।

অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বী/র্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে­ পুরুষত্বহীনতা যেসব পুরুষ যৌ/ন মিলনের সময় তাদের লি/ঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কিংবা কতক্ষণ লি/ঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সেসব পুরুষের দ্রুত বী/র্যস্থলন ঘটে।

দুশ্চিন্তা। দ্রুত বী/র্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বী/র্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌ/ন কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।

দ্রুত বী/র্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

সাধারণত প্রথম যৌ/নমিলনের পূর্বে প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।তাই প্রথম যৌ/নমিলনকালে পুরুষের অকাল বী/র্য পাত হয়ে থাকে।

জৈবিক কারণ
কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বী/র্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে­ :

  • হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
    মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
    বী/র্যস্খলন ব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
    থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
    প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমণ
    বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
    সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।
  • নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।
    নারীদের তুলনায় যদিও পুরুষের যৌ/ন ক্ষমতা বেশি থাকে কিন্তু দুশ্চিন্তার ফলে বিপরীত হতে পারে।

অন্যদিকে বী/র্য বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন: বী/র্যরস, শুক্র, ধাতু। তাই বী/র্য ক্ষয়, শুক্রাণু ক্ষয় এবং ধাতু ক্ষয় একই অর্থ বহন করে।

ধাতু ক্ষয় আসলে কী? অনৈচ্ছিক বী/র্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা । এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বী/র্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে এটা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।

বয়স অনুসারে বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই কিশোর বয়সের শুরুর কিছু পর হতে ধাতুর সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে কোন কারণে শারীরিক ও মানসিক উত্তেজনা বিরাজ করলে , এটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।

এটি তখনি সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয় এবং তা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোন বিঘ্ন করে। অনৈচ্ছিক বী/র্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা। এ ধরনের সমস্যায় স্বপ্নদোষ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বী/র্যস্থলন হয়।

এটি নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গে আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ধাতু দৌর্বল্য এর কারণ
অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র বা বী/র্যক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌ/ন মিলন করা প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে।

আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌ/ন মিলন করে, অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না।

এর ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।

ধাতু দৌর্বল্য এর লক্ষণ
স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা জলের মত। নির্গত শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়।

ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়। শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়।

রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় বা বীর্য পাত হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়। সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়।, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।

পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।

যথাযথ চিকিৎসায় ধাতু দৌর্বল্য স্পারম্যাটোরিয়ার সমস্যাটা একেবারে মূল থেকে নির্মূল হয়ে রোগী পুরুপুরি সুস্থ হয়ে উঠে। এ ধরনের সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে যথাযথ চিকিৎসা নিন, এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন এবং খুব দ্রুতই আরোগ্য লাভ করবেন।

হস্তমৈথুন কমিয়ে ফেলা বা বন্ধ।
পর্যাপ্ত ব্যায়াম করবেন
পর্ণোগ্রাফি এড়িয়ে যাওয়া।
নতুন কোন বিশেষ শখের দিকে আগ্রহী হওয়া।
বন্ধুত্বপূর্ণ সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি।
বিছানায় যাওয়ার আগে উষ্ণ জল দিয়ে স্নান করা ।
কোন পর্নগ্রাফী দেখবেন না শোয়ার আগে বা শোয়ার সময়।
ঢিলাঢালা রাতের পোশাক পড়বেন
দুঃশ্চিন্তা কমাবেন এবং মেডিটেড করবেন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রাম নেবেন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যখা বেন।
ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন।

এ রোগ হবার সাথে সাথেই চিকিৎসা করা উত্তম।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন