যৌনমিলনের সময় সব নারীদের কি বীর্যপাত বা ইজাকুলেশন হয়?
‘পুসিপিডিয়া’ বিশ্বের প্রথম অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া যা নারী যৌনাঙ্গকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে। এটি একজন মার্কিন সাংবাদিক এবং একজন মেক্সিকান চিত্রকরের ধারণা। নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে হতাশ হয়ে এই দুই নারী ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষায় এই পোর্টাল চালুর উদ্যোগ নেন যেখানে নারী দেহ সম্পর্কিত মানসম্মত নানা ধরনের প্রবন্ধ রয়েছে।
পুসিপিডিয়ার লেখক বলছেন, অধিকাংশ নারী তাদের শরীর সম্পর্কে খুব একটা জানেন না।
সব নারীদের কি ইজাকুলেশন হয়?
২০১৬ সালে এই প্রশ্ন মার্কিন সাংবাদিক জো মেনডেলসন এবং তার বন্ধুর মধ্যে একটি দেয়াল তৈরি করে দেয়। শেষ পর্যন্ত কোন সন্তোষজনক উত্তরে পৌঁছাতে না পেরে যথারীতি তারা গুগলের শরণাপন্ন হয়।
“যা পাওয়া গেল তা হলো একগাদা ফালতু তথ্য,” জো বলছিলেন বিবিসিকে, “সুতরাং আমি এসবের পরিবর্তে মেডিকেল জার্নাল দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।”
কিন্তু তাতেও কোন সমাধান পাওয়া গেল না বলে জানান তিনি।
এর ফলে দুটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান জো, “আমি দেখলাম যে, এ সম্পর্কে রয়েছে হয় আজেবাজে তথ্য বা অগ্রহণযোগ্য বিষয়- যা খুব বড় একটি সমস্যা। আর দ্বিতীয়ত আমার উপলব্ধি হলো যে, আমি নিজের শরীর সম্পর্কে কিছুই জানি না।”
এর পরের দুই বছরের মধ্যে জো তার মেক্সিকান চিত্রকর বন্ধু মারিয়া কোনিজো কে সাথে নিয়ে চালু করেন ‘পুসিপিডিয়া’ এটি একটি ফ্রি অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া- যেখানে নারী দেহের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য মিলবে।
এই প্রকল্পটির ধারণা আসে ‘পুসি’ শব্দটিকে কেন্দ্র করে, শব্দটি নারী দেহের গোপন অঙ্গকে বিকৃত বা গালি অর্থে ব্যবহার করে বলা হয়। কিন্তু জো এবং মারিয়া এটিকে আরো বৃহত্তর অর্থে ব্যবহার করে আলোচনা করতে চান।
“যোনি, যোনিমুখ, ভগাঙ্কুর, জরায়ু, মূত্রাশয়, পায়ুপথ এবং কে বলতে পারে একদিন হয়তো আমরা অণ্ডকোষ সম্পর্কেও কথা বলবো।”
কিন্তু আসলেই কি এ ধরনের প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে? যেখানে সকলে এই ২১ শতকে এসে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে, স্কুলে স্কুলে রয়েছে যৌন শিক্ষা এবং বেশিরভাগ মানুষের হাতের মুঠোতে রয়েছে ইন্টারনেট।
মারিয়া এর জবাব দিলেন দুইটি বাক্যে: “তথ্য হলো শক্তি” আর বললেন “লজ্জা বিপদজনক।”
নিজের শরীর সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজতে গিয়ে পুসিপিডিয়া তৈরি করেন জো মেনডেলসন।
জো মনে করেন, লিঙ্গ সমতার বিষয়টি যখন আসে তখন সেটিকে অনেক বেশি বড় করে দেখার চেষ্টা হয়।
“আমরা এখনো এমন একটি জগতে বাস করছি যেখানে নারী দেহ ও যৌনতা নিয়ে ব্যাপক বৈষম্য ও গোপনীয়তা রয়ে গেছে।”
মারিয়া এর সম্মতিতে বলেন, “আমরা মনে করি যে নিজেদের শরীর সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট ধারণা রয়েছে, তাই কিছু বিষয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা থেকে আমরা বিরত থেকে যাই। আমাদের আসলে ধারণা করা উচিৎ যে এখনই আমাদের আরো জানার প্রয়োজন,” এমন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা তিনি বলেন বিবিসিকে।
আরো কয়েকজনের সহায়তায় জো এবং মারিয়া এ বছরে জুলাইতে ‘পুসিপিডিয়া’ চালু করেন। ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষার এই অনলাইন পোর্টালটি শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০,০০০ জনকে আকর্ষণ করতে পেরেছে।
অনলাইন এই এনসাইক্লোপিডিয়ার নিবন্ধগুলোতে মূল উৎসের লিঙ্ক দেয়া থাকে।
‘পেনিসপিডিয়া’ কি হতে পারে?
যদিও জো এবং মারিয়া বিশ্বাসযোগ্য সূত্র বা উৎস থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে বের করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তারপরও কিছু প্রশ্নের জবাব পাওয়া কঠিন।
কেন? – তাদের জবাব হলো, পুরুষ শারীরবৃত্তীয় বিষয় এবং কার্যকারিতা তুলনায় নারীদের যৌনাঙ্গ এবং প্রজনন বিষয় নিয়ে কম গবেষণা বা অধ্যয়ন হয়েছে।
“আমি এখনো আমার মূল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছি,” বলছিলেন জো।
“নারী শরীরত্বত্ত নিয়ে যখন কথা হয় তখন যথেষ্ট কম তথ্য এবং গবেষণার আগ্রহের অভাব দেখা যায় বৈজ্ঞানিক মহলে। যেমন ধরুন এখন আমরা জানি না যে ভগাঙ্কুর কোন ধরনের কোষ দিয়ে গঠিত।”
আর এর জন্যেই ‘পেনিসপিডিয়া’র আলাদা করে প্রয়োজন দেখছেন না তারা।
মারিয়া কোনিজো তার আঁকা ছবির মাধ্যমে নারীদেহ সম্পর্কে ধারণা বদলে দিতে চান।
“যদি আপনি কোন মেডিকেল জার্নালে বা স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো বইতে ‘পেনিস’ বিষয়ে অনুসন্ধান করেন, তবে এ নিয়ে প্রচুর তথ্য এবং কাজ খুঁজে পাবেন। কিন্তু যদি ‘যোনি বা ভেজাইনা’ সম্পর্কে এমনটি পাবেন না,” বলছিলেন জো।
যদিও মারিয়া উল্লেখ করেন যে তথ্যের প্রাচুর্য সবসময় জ্ঞানের প্রাচুর্য নয়।
তার মতে, পুরুষরা বরং কম জানেন। যদিও তাদের ‘লিঙ্গ’ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য রয়েছে তারপরও পুরুষত্বের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা নিজেদের শরীর সম্পর্কে খুব বেশি অনুসন্ধানে আগ্রহী নয়।
কিন্তু নারীরা কৌতূহলী। এমন বাস্তবতায় মারিয়া এবং জো যখন ‘পুসিপিডিয়া’ শুরুর জন্যে তহবিল সংগ্রহে সর্বসাধারণের কাছে প্রচার শুরু করেন, মাত্র তিন দিনে তাদের অর্থ জমা হয় ২২,০০০ মার্কিন ডলার। তাদের মূল লক্ষ্যমাত্রার তিনগুণ ছিল তা।
শুরুর সময় এ অর্থ তাদের কাজে লেগেছিল। দুই বছর ‘বিনা বেতনে’ কাজ করার পর মারিয়া এবং জো এখন ‘পুসিপিডিয়া’র মাধ্যমে কিছু অর্থ উপার্জন করতে চান যা দিয়ে সেখানে যারা কাজ করছেন বা লিখছেন তাদের পারিশ্রমিক দেয়া সম্ভব হবে।
ওয়েবসাইটটি পাঠকদের কোন নিবন্ধকে স্পন্সরের সুযোগ দেয়। একই সাথে তারা মারিয়া অঙ্কিত ও চিত্রিত বিভিন্ন পণ্যও বিক্রির সুযোগ দেয়।
মারিয়া বলেন, “আমি পাঁচ বছর ধরে নারী দেহকে বিভিন্নভাবে চিত্রিত করে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়। আমি একজন নারীর শরীর ও তার যৌনতাকে অন্বেষণ করে দেখাতে চাই, যাতে করে নগ্ন নারীদেহের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসে।”
আর এই ওয়েবসাইটটিই তার সমস্ত শিক্ষার বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম হয়েছে বলে জানান মারিয়া।
জো এই কাজটিকে আরো বিস্তৃত করতে চান। আরো গবেষণা ও নিবন্ধ যুক্ত করতে চান। বিশেষ করে হিজড়াদের যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে আর্টিকেল যোগ করতে চান- যা নিয়ে তেমন কাজ হয়নি।
এরইমধ্যে এখনো তার আশা যে শীঘ্রই তেমন একটি প্রবন্ধ তিনি এখান যোগ করতে পারবেন যেখানে তার মূল প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়া যাবে- আর তা হলো- সব নারীর কি বীর্যপাত বা ইজাকুলেশন হয়?
প্রথম যৌনমিলন কোন বয়সে হওয়া উচিত?
যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন ‘সঠিক সময়ে হয়নি’।
বৃটিশদের যৌনতা বিষয়ক সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে যে, তরুণদের প্রধান আফসোসের বিষয় যথাযথ বয়সের অনেক আগেই প্রথম যৌনমিলন সম্পন্ন করা।
জরিপে অংশ নেওয়া কিশোর ও তরুণদের এক তৃতীয়াংশের বেশি নারী এবং এক চতুর্থাংশের বেশি পুরুষ মনে করেন যে তারা প্রথম যখন যৌন সঙ্গম করেন সেটি ‘সঠিক সময়’ ছিল না।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে যৌনমিলনের সম্মতি প্রদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে অন্তত ১৬ বছর বয়সী হতে হয়।
যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে ঐ বয়সে অনেকেই যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত থাকে না।
‘ন্যাটস্যাল সার্ভে’ নামে পরিচিত এই জরিপটি প্রতি দশকেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকরা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জরিপে অংশ নেওয়া ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর দেয়া তথ্য ব্যবহার করেছেন এই জরিপে।
জরিপের ফলাফল
অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তর থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০% নারী এবং ২৬% পুরুষ মনে করেন যে তাদের প্রথম যৌনমিলন ‘সঠিক সময়ে হয় নি’।
এদের অধিকাংশই মনে করেন যে, কৌমার্য বা কুমারীত্ব পরিত্যাগ করার আগে তাদের আরো অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
তবে স্বল্পসংখ্যক উত্তরদাতা প্রথম যৌন সঙ্গম আরো আগে সংঘটনের পক্ষ নেন।
অধিকাংশই ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই প্রথমবার যৌনমিলনের স্বাদ নিয়েছেন – যাদের প্রায় অর্ধেক নিজেদের ষোড়শ বর্ষের শেষদিকে যৌন সঙ্গম করেছেন।
এক তৃতীয়াংশের প্রথমবার ছিল তাদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগেই।
ইচ্ছা ও প্রস্তুতি
জরিপে যৌনমিলনের প্রস্তুতির বিষয়টিরও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় প্রথমবার যৌন সঙ্গম করার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে সম্মত হতে সক্ষম কিনা – তা যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরুপ, সম্মতি দেয়ার সময় কোনো ধরণের মাদকের প্রভাবে না থাকা বা সঙ্গী, বন্ধুবান্ধবদের চাপে পড়ে সম্মতি না দেয়ার মতো বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে।
জরিপে অংশ নেয়া নারীদের প্রায় অর্ধেক এবং পুরুষদের প্রায় ৪০% এই ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়।
নারীদের প্রতি পাঁচজনে একজন এবং পুরুষদের পুরুষদের প্রতি ১০ জনে ৪ জনই মনে করেন প্রথম মিলনের সময় তাদের সঙ্গী সমান আগ্রহী ছিল না। অর্থাৎ তারা মনে করেন তাদের সঙ্গীরা অনেকটা চাপে পড়েই প্রথম মিলনে সম্মতি দিয়েছিলেন।
‘ন্যাটস্যাল সার্ভে’র প্রতিষ্ঠাতা কায়ে উইলিংস মনে করেন কোনো ব্যক্তি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা বয়সের মানদণ্ডে যাচাই করা উচিত নয়।
“প্রত্যেক তরুণই আলাদা – কেউ ১৫ বছর বয়সেও যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত হয়, আবার অনেক ১৮ বছর বয়সীও প্রস্তুত না থাকতে পারেন”, বলেন মি. উইলিংস।
সহ-গবেষক মেলিসা পামার বলেন, “আমাদের পাওয়া তর্থ বিশ্লেষণ যাচাই করে ধারণা করা যায় যে, প্রথম যৌনমিলনের সম্মতি দেয়ার ক্ষেত্রে উঠতি বয়সী তরুণদের চেয়ে তরুণীরা অপেক্ষাকৃত বেশি চাপের মধ্যে থাকে।”
তিনি বলেন তরুণ-তরুণীরা যেন প্রথম যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ও নিরাপদ যৌন সঙ্গমের নিশ্চয়তা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্কুলগুলোর যৌনতা বিষয়ক পাঠ্যসূচি সাজানো প্রয়োজন।
কখন সঠিক সময়?
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার যৌন সঙ্গমের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে আগে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন।
যৌন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে আমি কি সঙ্গীর সাথে সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেছি? আলোচনা কি যথাযথ ছিল?
যৌন মিলনের ক্ষেত্রে হঠাত মত পরিবর্তন হলে যে কোনো সময় কি আমি ‘না’ বলতে পারবো? সেই সিদ্ধান্তে আমি ও আমার সঙ্গী দুজনেই কি সন্তুষ্ট থাকবো?
এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে হয়তো আপনি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নিচের কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি প্রস্তুত নাও হতে পারেন:
আমি কি আমার সঙ্গী বা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে কোনো ধরণের চাপ অনুভব করছি?
যৌনমিলনের পরে কী আমার মধ্যে কোনো ধরণের আক্ষেপ জন্ম নিতে পারে?
আমি কি আমার বন্ধুদের সাথে তাল মিলাতে যৌন সঙ্গম করার কথা চিন্তা করছি?
আমি কি আমার সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যৌনমিলনে আগ্রহী হচ্ছি?
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01762-240650
(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা। নামাজের সময় কল দিবেন না।)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়