স্বপ্নদোষ : কারণ ও প্রতিকার

রাত্রিকালীন নির্গমন (Nocturnal emission) বা স্বপ্নদোষ হল ঘুমন্ত দশায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অর্থাৎ কোন সক্রিয় কর্মকান্ড ব্যতিরেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাগমোচন ঘটা, যেখানে পুরুষ বা ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত ঘটে এবং মহিলা বা মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু রাগমোচন বা সিক্ততা বা উভয় ঘটে থাকে।

স্বপ্নদোষ বয়ঃসন্ধি বা উঠতি তারুণ্যে সবচেয়ে বেশী ঘটে থাকে, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল পার হবার অনেক পরেও এটি ঘটতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিপথ পিচ্ছিল থাকা সকল ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে না।

স্বপ্নদোষ কী
মানব সন্তান বিশেষত ছেলেরা, বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে তাদের বীর্যথলিতে বীর্য এবং অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে বীর্য ক্রমাগত বীর্যথলিতে জমা হতে থাকে। বীর্যথলির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর নিদ্রারত অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপথে বীর্যপাত ঘটে দেহে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, একেই স্বপ্নদোষ বলা হয়।

স্বপ্নদোষের সময় অনেকে স্বপ্নে অবচেতনভাবে যৌন কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেন, তবে উক্ত অনুভূতি ছাড়াও স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষে বীর্যপাতের পরিমাণ কম বা বেশী হতে পারে। স্বপ্নদোষ নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পার, তবে তাঁর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া মেয়েদের স্বপ্নদোষের ফলে সাধারণত বীর্য নির্গত হয় না, ফলে তা স্বপ্নদোষ কিনা সেটি সহজে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা যায় না।

স্বপ্নদোষের কারণ

সাধারণত নরমাল স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রজননক্ষম জীব হিসেবে মানব প্রজাতির স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একটি অংশ। বয়ঃসন্ধিকালে দেহের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ধনের ফলাফলস্বরূপ এটি ঘটে থাকে। স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটনের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে স্থান ও বয়সভেদে ব্যাপক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

তবে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ একটি অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা পুরুষের স্বাভাবিক দেহ-প্রকরণ গতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। এর মাধ্যমে পুরুষ ও নারীর দেহ ক্রমে ক্রমে নিঃস্তেজ ও স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজে কর্মে উৎসাহ থাকে না। নেগেটিভ চিন্তা-চেতনা মাথায় সার্বক্ষণিক ভর করে থাকে।

কিছু পুরুষ তারা যে সময়কালটিতে সঙ্গম অথবা স্বমেহন কোনভাবেই যৌনকর্মে সক্রিয় হন না, কেবল তখনই এটি ঘটে থাকে। কিছু পুরুষ তাঁদের টিন এজার বয়সে বা উঠতি কৈশোরে বহুসংখ্যকবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছেন, আর বাকি পুরুষদের জীবনে একবারও এটি ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রে, ৮৩% পুরুষ জীবনে কোন না কোন সময়ে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন।

বয়ঃসন্ধিকালে যারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা অনেকেই প্রথমদিকে একে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না এবং আতঙ্ক ও হীনম্মন্যতা বোধ করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এছাড়াও স্বপ্নদোষ হতে নানা কারণে পারে, যেমনঃ

মুখ্য কারণ

বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হরমোনের আধিক্যের জন্য

গৌণ বা অনিশ্চিত কারণ

স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
পর্ণগ্রাফি বা নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া
যৌন উদ্দীপক বই পড়া
শয়নকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা বা দেখা

বয়ঃসন্ধিকালে কারো কারো স্বপ্নদোষ নাও হতে পারে , এতে এটা প্রমাণ করে না যে তার সমস্যা আছে। আবার নিয়মিত হস্থমৈথুনের প্রভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ হ্রাস পায়। স্বপ্নদোষের সাথে সবসময় স্বপ্ন দেখার সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।

স্বাভাবিক নিয়মিত স্বপ্নদোষ কোন সমস্যা নয় বলে মনে করা হলেও অস্বাভাবিক স্বপ্নদোষের কারণে নারী ও পুরুষের দেহের নানা সমস্যা সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই অস্বাভাবিক স্বপ্নদোষ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে সব খুলে বলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগএকজিমাযৌনরোগ, 

পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply