ইসলামে নিষিদ্ধ ৪টি যৌন আচরণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

জীবনে কত কিছুই তো করলেন, কত কিছুই তো পড়লেন, এই লেখাটি পড়ুন, কাজে লাগবে। 

লেখাটি লিখবো কিনা এ নিয়ে দুমিনিট ভাবছি। কারণ জ্ঞানীরা বলে গেছেন, “ ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।“ ইদানীং নারী পুরুষের বিবাহিত সেক্সুয়াল লাইফ এ কিছু কিছু সমস্যা প্রকট আকারে সামনে চলে এসেছে। বিবাহিত জীবন গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফের বলি হিসেবে মহিলারা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা পি, আই, ডিতে ভুগছেন। মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ফেইলুরের পর সার্জারি করেও শেষ রক্ষা হয়না। ব্যথা ময় এক জীবন বয়ে বেড়ান।

পুরুষ নারী নির্বিশেষে যৌন বাহিত অসুখবিসুখ তো আছেই। আর মনের উপর যে ভয়াবহ চাপ পড়ে মেন্টাল ট্রমা তৈরি হয় সে প্রসঙ্গ নাই বা বললাম, মনের ব্যাপারটাতো চির উপেক্ষিত আমাদের সমাজে।

কথা হল, একজন কনজারভেটিভ আর নতুন প্র্যাকটিসিং মুসলিম সর্বোপরি একজন ডাক্তার হিসেবে সমস্যাগুলো দেখে, রবি গুরুর ব্রজেশ্বরের মত জঞ্জাল দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাব, নাকি সুকান্তের মত, “প্রাণ পণে সরাব জঞ্জাল”?

আসলে সময় এসেছে কিছু কিছু ব্যাপারে শালীনতার মধ্য থেকেই আলোচনা করার। কারণ আমরা অনেক কিছুই জানিনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন, দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশুনা করে এইছ, এস, সি পাশ দিলেও কেউ না পারে ইহকালে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করতে, আর না হয় তার নৈতিক জ্ঞান ,যা দিয়ে সে বাকি জীবন সঠিক ভাবে চলার দিক নির্দেশনা পাবে। মাছি মারা কেরানী ছাড়া আর কিছুই হতে পারিনা আমরা; পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় ও নৈতিক বিষয়টি কোন স্থান পায়না। তাই আমাদের জ্ঞানের অভাব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতার উপরেই বর্তায়।

তবুও একটি আশাবাদী কথা দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন? মুসলিমদের সেক্সুয়াল লাইফকে মেডিকেলে খুবই এপ্রিশিয়েট করা হয়। গাইনি মেডিকেল বই এ মুসলিম সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের প্রশংসা করে লেখা থাকে, “মুসলিম ছেলেদের সারকামসেশন (মুসলমানি) করা থাকে তাই তাদের স্ত্রীর অমুক অসুখ কম হয়। অথবা সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স এ মুসলিম রা অমুক নিয়মটি ফলো করে তাই তাদের অমুক অসুখটি কম হয়।”

“মুসলিমদের কি সেক্সের আলাদা নিয়ম আছে?” ঝট করে প্রশ্নটি মনে জাগে।

আমার পরম শ্রদ্ধেয় সার্জারির প্রফেসরের উক্তি মনে পড়ে গেলো। সদা হাস্যময়ী স্যার বলেছিলেন, “Breast feeding (নবজাতকের মায়ের দুধ পান করা) & Sexual intercourse (সেক্স করা) reflexly মানুষ শিখে যায়, এটা কাউকে শিখাতে হয় না। “

এখানেই কথা আছে কিন্তু। রিফলেক্সলি ঠিক জিনিসটি শিখার আগেই প্রযুক্তির অকল্যাণে বিধ্বংসী কিছু পারভার্সন ঢুকে গেছে স্বাভাবিক যৌন জীবনে।

কিভাবে? ইন্ডিয়ার কিছু চটি সাইট আছে ওগুলোর মূল ভিজিটর বাংলাদেশি। আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বাংলাদেশের ভিজিটরের অর্ধেকের ও কম। আর অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর মূল ভিজিটর আসে অশালীন রগরগে সংবাদগুলো থেকে। তারা দেশে এরকম সংবাদ না পেলে বিদেশ থেকে সংবাদ আমদানি করে।

লক্ষ্য করে থাকবেন এই রোজার মাসেও ভিজিটরের লোভে সানি লিওনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত হয়নি। মোবাইলে মোবাইলে অশালীন ভিডিও সহজে কিনতেও পাওয়া যায় যারা নেট ইউজ করেনা তাদের সুবিধার জন্য।

তাহলে বুঝাই যায় মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া শর্তেও পর্ণোগ্রাফী বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। আর পর্ণো পড়ার সময় বা দেখার সময় আমাদের কয়জনের মনে থাকে, এগুলি কিন্তু গুনাহ। চোখের ব্যভিচার।

এই সহজলভ্য পর্ণো আর চটিসাইট গুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবন কে অস্বাভাবিকতা দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়েছে। সংসার জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি ।

“ভালবেসে স্ত্রীর দিকে তাকালেও সোয়াব” এই সব হাদিস উঠে গিয়ে এসেছে, “LOVE করে আর লাভ নেই রে পাগলা।”

মানুষ সেক্সুয়াল লাইফ নিয়ে পুরোই বেদিশা। তারা শুধু ছুটছে। “কই আমিতো পর্ণো ছবির পুরুষ বা মহিলাটির মত আনন্দে আত্মহারা হলাম না। হয়ত আমার ওয়াইফ বা হাসবেন্ড ঠিক পারছে না। কোথায়? কোথায় আছে সেই সোনার হরিণ। কোথায় সেই আনন্দের ফোয়ারা? সবাই পায়, আমি পাই না কেন?”

বিবাহ বহির্ভূত সেক্স, হোমোসেক্সুয়ালিটি, এনাল সেক্স মহামারির মত ছড়িয়ে গেছে।
দুনিয়াতে এত মজা নিলে আখেরাত কিন্তু অন্ধকার। আজ আমরা জানবো ইসলামে সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এ ৪ টি নিষিদ্ধ ক্ষেত্র।
EXtramerital sex
Sexual intercourse during menstruation and Puerperium
Homosexuality
Anal Sex

# Extramerital sex
বিবাহ বহির্ভূত সেক্স– এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মোনিলিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই। সারভাইক্যাল ক্যন্সার (জরায়ু মুখের ক্যান্সার) যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস তাও ট্রান্সমিট হয়। আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো আছেই।

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ।” ( সূরা বনী ইসরাইল, ৩২)
# যে মুহাররামাত মহিলার সাথে যিনা করবে তার হুকুম :
যে ব্যক্তি কোন মুহররামাত (যাদেরকে বিবাহ করা হারাম) যেমন– আপন, বোন, কন্যা ও বাবার স্ত্রী ইত্যাদি এর সাথে হারাম জানা স্বর্তেও যিনা করবে তাকে হত্যা করা ফরজ।

বারা ইবনে আজেব (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম কোথায় চলেছেন? তিনি বললেন-আমাকে রাসুল করিম (সাঃ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে। তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য। (সহীহ হাদিস, তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২, নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২)।

তাহলে ইনচেস্ট (Incest) ভর্তি পর্নো চটি সাইট গুলো আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য বাহী মূল্যবোধ সম্পন্ন সম্পর্ক গুলোকে কোথায় নিয়ে চলেছে?

# Homosexuality (সমকামিতা)

লূত (আঃ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা। সমকামিতা চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ ইসলামের দৃষ্টিতে। লূত (আঃ) এর জাতি এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন। এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “এবং আমি লূতকে পাঠিয়েছি। যখন সে নিজ জাতিকে বলল- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে গোটা বিশ্বের কেউ করেনি? তোমরাতো কামবশতঃ পুরুষের নিকট গমন কর মহিলাদের ছেড়ে। এবং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো। [সূরা আরাফ ৮০-৮৪]

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন- “অবশেষে যখন আমার আদেশ পৌঁছল , আমি উক্ত জনপদকে উপুড় করে নীচ করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম। যার প্রতিটি তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল। এবং পাপিষ্ঠ দের কাছ থেকে বেশি দূরেও নয়। “(সুরা হূদ ৮২-৮৩)
আর রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা লূতের জাতির কর্ম অবস্থায় যাকে পাবে তার কর্তা এবং কর্ম উভয়কে হত্যা করবে।(সহীহ হাদিস আবু দাউদ হাদিস নং ৪৪৬২ , তিরমিযী হাদিস নং ১৪৫৬)

হোমোসেক্সুয়ালিটি জন্মগত ভাবে আসে, হোমোদের এমন আজব কথা তাদের নিজেদের আবিষ্কার।

# Anal sex
Anus (মলদ্বার) অনেক রকম মাইক্রোওর্গানিজম দিয়ে পূর্ণ। আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে ফিমেল পার্টনার ভয়াবহ রকমের পি, আই, ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায়। এনাল ফিসার, পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে। এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়।

হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে এনাল সেক্স (নিতম্বে সহবাস) করবে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না ।”(নাসাঈ আল ইশ্রাহ ২/ ৭৭- ৭৮/১ ; তিরমিযী ১/২১৮)

হাদিসে আরো আছে, “যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করবে সে লা’নত প্রাপ্ত” (আবু দাউদ ২১৬২, আহমদ ২/ ৪৪৪, ৪৭৯)

# Sexual intercourse during menstruation and puerperium –(পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আর সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ (৪৫) দিনের মধ্যে সহবাস)

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায়। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন। আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম।

স্ত্রীর হায়ে্য (পিরিয়ড) চলাকালীন তার সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য হারাম। (ফথুল কাদীর, ১/২০০)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে। তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট। কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের ভালবাসেন। (সুরা আল বাকারাহ ২২২)

এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস (এনাল সেক্স) করে, জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল।”

তাহলে এই হল চারটি বিধি নিষেধ।

উপসংহার হিসেবে কয়েকটি কথা বলি। জাতি হিসেবে আমরা হীন মন্যতায় ভোগা জাতি। নিজের দেশ ভাল লাগে না। গরীব। নিজের ভাষা ভাল লাগে না। টিভি, এফ,এম রেডিওতে বাংরেজি ভাষায় কি যে কথা বলি আমরা নিজেদেরই বুঝতে কষ্ট। নিজের সংস্কৃতি ভাল লাগে না। সেদিন দেখলাম এক টিভি চ্যানেল নাম ৭১, ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টার শার্ট, কোর্ট পরে খবর পড়ছেন। এটা কি আমাদের নতুন সংযোজিত বাঙ্গালী সংস্কৃতি কিনা জানি না। আমাদের নিজেদের ধর্ম ও ভাল লাগে না। দু কলম পড়াশুনা করে অনেকেই নিজের ধর্মকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে নামাজ, রোজাকে শিকেয় তুলে রেখেছেন। আমাদের ধর্ম বাস করে ঈদের বিপণী বিতানে, পোশাক কেনার মধ্যেই আমাদের ঈদ। কোরবানির সময় বড় ধার্মিকতার পরিচয় দিয়ে লাখ টাকার গরু, উট কুরবানি দিই নাকি জবাই দেই। শ্বশুর বাড়ি থেকে কি পশু পাঠাল কুরবানি দেয়ার জন্য তার হিসেব করি।

এই অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে নিজের পরিচয় নিয়ে গর্ব করার মানুষিকতা তৈরি হোক আমাদের। জন্মসূত্রে পাওয়া মুসলিম পরিচয় কে শানিত করে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হয়ে উঠার তৌফিক আল্লাহ যেন আমাদের দেয়। ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হোক আমাদের পরিচয়।

অত্যন্ত ব্যথাতুর লাগছে এটা ভাবতেই যে পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে। এই পবিত্র সময়ে নিজের কাছে নিজেই অঙ্গীকার করি, ইসলামের আলোর নীচে আসার। দেখেন, চীনের মুসলিমদের এবার জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হয়েছে। রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে দেশে। গাজায় শত শত মুসলিম মারা যাচ্ছে। শিশুদের সারি সারি লাশ দেখে দুঃখে মন ভরে যায়। আফগানিস্তানে ও দেশীয় সন্ত্রাসীদের হাতে শত শত মুসলিম মারা গেছে।

সে তুলনায় আমরা আল্লাহর করুণা ধারায় বাস করছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো দরকার। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা যে যে অবস্থায় আছি না কেন ,আল্লাহ যেন আমাদের উপর তাঁর রহমত বর্ষণ করেন। আমাদের দুঃখ দূর করে দেন। শান্তি ও কল্যাণের মধ্যে আমাদের রাখেন। বালা মুসিবত, অসুখ বিসুখ দূর করে দেন। আমাদের ঈমানী জোর বৃদ্ধি করেন। বিপদে ধৈর্যধারণের তৌফিক দেন। সারা জাহানের সমস্ত মানুষের কষ্ট দূর করে দিন। একজন জীবন্মৃত কে প্রাণচঞ্চলতা দান করুন। আমিন।

 

যৌন সমস্যার সহজ সমাধান

পরিণত বয়সের নারী-পুরুষের কাছে যে সমস্যাটি প্রকট তা হলো যৌন সমস্যা। এর মধ্যে রয়েছে যৌন দুর্বলতা, সঙ্গমে অনীহা, লিঙ্গের উত্থান না হওয়া, দ্রুত বীর্যপাত, স্বপ্নদোষ, যৌনসঙ্গমভীতি, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি। এসব কারণে দম্পতিরা মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। বিবাহিত, অবিবাহিত এমনকি যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি এমন অনেকেই এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অধিকাংশ মানুষেরই সংকোচ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, লোকলজ্জার ভয় বেশি থাকায় এবং লোকলজ্জার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি প্রচলিত কুসংস্কারের কারণে সমাজে বাসা বাঁধে এ সমস্যা। যৌন দুর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারেন, তবে যৌন কাজে নারীর ভূমিকা অনেকখানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এ সমস্যা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা দেয়।

পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো কী কী?
১. যৌন ইচ্ছা (সেক্সুয়াল ডিজায়ার) জাগ্রত হওয়া, ২. লিঙ্গোত্থান (ইরেকশন) হওয়া, যা পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া বা সঠিকভাবে চলাচল করার কারণে হয়, ৩. পুরুষাঙ্গ দিয়ে প্রয়োজন মতো বীর্য নির্গত হওয়া। তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি বিষয়ও জেনে নেওয়া যেতে পারে, আর তা হলো পুরুষাঙ্গের শিথিলতা। এসবের মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা (ইরেকটাইল ডিজফাংশন)টিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। সমস্যাটি নানা কারণে হতে পারে। এর বড় একটা কারণ মনস্তাত্ত্বিক। এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিষ্কের রোগের কারণেও এমনটি হতে পারে। পুরুষাঙ্গের রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়।

দ্রুত বীর্যপাত অনেক পুরুষের জন্যে একটি কমন সমস্যা। শতকরা ৮০% লোক এ সমস্যায় ভুগছেন। পর্ণ আসক্তি, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও মানসিক দুশ্চিন্তা এর প্রধান কারণ। যৌন সমস্যার মধ্যে আরো রয়েছে স্বপ্নদোষ সমস্যা। দ্রুত বীর্যপাত রোধ, লিঙ্গ অকেজো, লিঙ্গের অসারতা, স্বপ্নদোষ রোধে ‘নাইট কিং’ বেশ কার্যকরভাবে কাজ করে। এতে কোনোপ্রকার কেমিক্যাল ও প্রিজারভেটিভ নেই। এ ঔষধ সেবনের মাধ্যমে হারানো যৌবনশক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব। এতে কেমিক্যাল ও প্রিজারভেটিভ না থাকায় এর কোনো বিরূপ পাশর্^প্রতিক্রিয়াও নেই। নিশ্চিন্তে এ ঔষধ সেবন করে দীর্ঘক্ষণ যৌনসঙ্গম করা যায়।

‘নাইট কিং’ সঠিক মাত্রায় ব্যবহারে নারী-পুরুষের যৌনক্ষমতা পরিমিতমাত্রায় বৃদ্ধিসহ দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায়। দেহে স্পার্ম বৃদ্ধি করে নারীর বন্ধাত্ম মুক্তি ও পুরুষের পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দেয়। এটি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ রাখে। রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি সাধন করে। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। দেহের কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে এবং শরীরের রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক করে। নিয়মিত সেবন করলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।

না

মোটকথা ‘নাইট কিং’ ব্যবহারে : ১. সহবাসকে আনন্দময় করবে। শরীরে অনুভূতি প্রচুর থাকে। ২. লিঙ্গ দীর্ঘক্ষণ শক্ত থাকে। ৩. সহবাসের সময় আপনার মনোবল বাড়িয়ে তুলবে। ৪. আপনাকে দীর্ঘসময় সহবাসে সহায়তা করবে। ৫. সেনসিটিভিটি ভালো হয়। ৬. কোনোপ্রকার সাইড ইফেক্ট বা বিরূপ পাশর্^প্রতিক্রিয়া নেই। শরীর ব্যথাও হয় না, মাথা ঠান্ডা থাকে। ৭. সহজে বীর্যপাত হয় না। ৮. সেবনের ৩০ মিনিট পর থেকে কার্যকারিতা শুরু হয় সারারাত সতেজ অনুভূতি থাকে। ৯. একবার সহবাস শেষ হবার পরও পেনিস বা লিঙ্গ শক্ত থাকে।

‘নাইট কিং’ এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডের ক্রিয়াশক্তি বৃদ্ধি এবং হরমোনাল নিঃসরণ স্বাভাবিক করে। দুর্বল ও অক্ষম নার্ভসমূহকে সবল, সতেজ ও কর্মক্ষম করে। যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে অতীব কার্যকরী ও নিরাপদ। এতে কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ নেই বলে কোনো পাশর্^প্রতিক্রিয়াও নেই। ‘নাইট কিং’ নিয়মিত সেবনে যৌনশক্তি স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি ও অতি আনন্দদায়ক করে। মহিলা ও পুরুষের হরমোনাল ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনে এবং শুক্রানু বৃদ্ধি করে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব দূরীভূত হয়।

‘নাইট কিং’ ব্যবহার বিধি :
সহবাসের আধধণ্টা আগে এক চা চামচ ঔষধ এক কাপ হালকা ঊষ্ণ দুধ বা এক চামচ মধুমিশ্রিত উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে পান করবেন। নাইট কিং শুধুমাত্র হালকা গরম পানি দিয়েও সেবন করা যায়। তবে মধু বা দুধের সাথে মিশিয়ে পান করলে এর কার্যকারিতা বেশিক্ষণ থাকে। এতে লিঙ্গের শক্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে এবং এক রাতে তিন-চারবারও সহবাস করা যাবে। তবে এ সময় শান্ত করতে হবে মন। মনে কোনো ঋনাত্মক ভাবনা বা দুশ্চিন্তা আনলে চলবে না। কারণ স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ হলো শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা। নিজেকে শারীরিক মিলনের জন্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে তৈরি করতে হবে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমিয়ে আনতে হবে। মনে রাখবেন মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, মদ, তামাক, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে বাধা সষ্টি করতে পারে।

যৌনমিলনের সময় অবস্থানে পরিবর্তন করুন। নতুন কিছু আপনার মনোযোগকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারে। সঙ্গীর চাহিদার দিকেও নজর দিন। সহবাসের সময় সঙ্গীর আধিপত্যে লজ্জাবোধ করার কোনো কারণ নেই। ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে পরিশ্রম কম অনুভব হবে, ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমূলনের উপযুক্ত থাকবে। যৌন দুর্বলতার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের উপর। পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে হয় তাহলে অবশ্যই ওই রোগেরও চিকিৎসা করাতে হবে। তবে সচরাচর এই রোগের জন্যে কিছু বাড়তি ওষুধেরও প্রয়োজন হয়। আপনার সমস্যা গোপন না রেখে ডাক্তারের কাছে খোলাখুলিভাবে বলুন, তিনি এর চাইতেও আরো বেশি ভালো সমাধানের পথও বাতলে দিতে পারবেন। এ সমস্যাসমূহ সমাধানের ক্ষেত্রে লক্ষণভেদে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, যেকোনো প্রকার যৌন সমস্যার সমাধান রয়েছে রোগ ও রোগের লক্ষ্মণ ভেদে সঠিক চিকিৎসায়। তাই রোগ শরীরে পুষে না রেখে চিকিৎসককে খুলে বলুন।

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির জন্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করবেন
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির পথ ও পদ্ধতির মধ্যে প্রথমটি হল নিজের খেয়াল ও ধ্যান ধারণাকে সব সময় পাক সাফ রাখবেন। নিজের মনকে নিজের আয়ত্বে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। সৎ ও ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা করবেন। এসবের সাথে সাথে খাবার ও পেট ভালো রাখাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। অধিক মসলাযুক্ত খাবার, যেসব খাবার বিলম্বে হজম হয়, সেগুলো যথাসম্ভব কম খাবেন। যেমন-গোশত, কাবাব, ডিম, অধিক পরিমাণে চা পান, কফি পান, বেগুন, মশুরির ডাল ইত্যাদি। খাবার-দাবারে বিশেষ করে রাতের খাবার কমিয়ে দেবেন এবং শোয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পূর্বে খাবেন। শোয়ার সময় অধিক পরিমাণে পানি ও চা পান করবে না। শোয়ার পূর্বে পেশাব পায়খানার প্রয়োজন সেরে ঘুমাবেন। মূত্রথলিতে পেশাব জমা হয়ে স্বপ্নদোষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। নরম ও গরম বিছানায় শয়ন করা অনুচিত। বরং এমন ঘরে শোবেন, যে ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করে। চিত হয়ে শয়ন করাও স্বপ্নদোষ হওয়ার সহায়ক। শেষ রাতে পেশাবের বেগ হলেই উঠে পেশাব করবেন। গরমকালে রাতে অধিক গরম লাগলে এবং মেজাজও গরম থাকলে গোসল করে নেয়া লাভজনক। স্বপ্নদোষ প্রতিরোধক ওষুধ সেবন করতে হবে। স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শয়নকালে কখনো লিঙ্গে কোনো প্রকার মলম বা মালিশ ব্যবহার করে শয়ন করবেন না। অন্যথায় স্বপ্নদোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বপ্নদোষের চিকিৎসার পূর্বে ডাক্তার বা হাকীমের নিকট নিজের পেটের হালত বর্ণনা করবে। চিকিৎসা চলাকালীন হাকীম বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করবে না। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রাতের খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। অন্যথায় এ রাতেই স্বপ্নদোষ হবে। তামাক, বিড়ি, সিগারেটও সেবন করবে না। যদি এসব পান করতে অভ্যস্ত থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে তা পরিত্যাগ করবেন। তামাক মানুষের দেমাগ ও বীর্যের জন্য অধিক ক্ষতিকর। বিষ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তামাক মানুষকে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করে। এটা যদি মাত্রায় একটু বেশি সেবন করা হয়, তবেই তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমস্ত শরীরকে দুর্বল বানানো, মাথা ঘেমে পানি পড়া, মাথা ঘুরা, বমি, চোখে সরিষার ফুল দেখা, দৃষ্টিশক্তি কম, শ্রবণশক্তি হ্রাস, হাত-পায়ে জ্বলন, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, হজমশক্তি দুর্বল এমনকি আত্মভোলা হয়ে যায়। তামাক অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে এক সময় মানুষের ক্ষুধা ও যৌনশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। হার্টে ধুকপুকানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ জাতীয় আরো অনেক রোগ দেখা দেয় যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তামাক গ্রহণকারীদের সন্তানও দুর্বল হয়ে থাকে।

যৌন জীবনে সুখী হতে যে বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে
জীববিদ্যা, মনোবিদ্যা, সামাজিক-সংস্কৃতিসহ সকল গবেষণা তথ্য থেকেই জানা যায়, যৌনতা মানবজীবন ও মনের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, মানুষের মনোজগতের ওপরেও রয়েছে যৌনাচরণের ব্যাপক ভূমিকা। নারী এবং পুরুষের যৌন-উদ্দীপনা একই সাথে শুরু হয় না। নারীর উদ্দীপনা পুরুষের চেয়ে লঘু এবং ধীরগতিতে সৃষ্টি হয়ে পরবর্তী সময়ে সেটা অতিরিক্ত সময় স্থায়ী হতে পারে। অর্থাৎ নারীর যৌন সাড়া সৃষ্টি হলে সেটার স্থায়িত্ব পুরুষের উদ্দীপনা ও স্থায়িত্বের চেয়ে বেশি স্থায়ী হয়। পুরুষ এবং নারীর যৌন উদ্দীপনার জন্যে ক’টি ইন্দ্রিয় বা যৌনাঙ্গ ব্যাপকভাবে কাজ করে। পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গ হলো তার লিঙ্গ এবং এটি পুরুষের বাহ্যিক এবং প্রধান যৌনাঙ্গ। নারীর মতো পুরুষের অন্তর্গত কোনো যৌনাঙ্গ নেই। পুরুষের অন্ডথলিতে বীর্য এবং শুক্র উৎপন্ন হয়। দৈহিক মিলনের সময় এই শুক্র বীর্যের মাধ্যমে পুরুষের লিঙ্গ থেকে বের হয়ে আসে এবং পুরুষ চরমপুলক লাভ করে।

সাধারণত লিঙ্গের আকার নিয়ে সবসময়ই বহু পুরুষকে উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা যায়। অথচ এটি একটি তুলনামূলক অহেতুক এবং অনর্থক যৌনচিন্তা। পুরুষের লিঙ্গের সাইজ বিশেষ করে সার্কভুক্ত এশিয়া অঞ্চলে পুরুষের লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৫ থেকে সাড়ে ৫ ইঞ্চি। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে যেমন- কারো কারো লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি আবার অনেকের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে সাড়ে ৪ ইঞ্চি হতে পারে। উভয় প্রকার লিঙ্গ দ্বারাই সফল যৌনমিলন সম্ভব। কারণ পুরুষের উত্তেজনার মূল কেন্দ্রস্থল হলো তার লিঙ্গ। লিঙ্গের উত্থানই পুরুষের মূল যৌনশক্তি।

নারীর বাহ্যিক যৌনাঙ্গ এবং অন্তর্গত যৌনাঙ্গ রয়েছে। বাহ্যিক যৌনাঙ্গের মধ্যে নারীর ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর সবচেয়ে বেশি যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ। পুরুষ যৌনমিলন পূর্বে নারীর এই যৌনাঙ্গ স্পর্শের মাধ্যমে নারীকে যৌনকাতর করে তুলতে পারে। পুরুষ এবং নারী উভয়েরই যৌন উত্তেজনার সময়ে তাদের রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে হার্টবিট, হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১৭৫ এবং নারীর ক্ষেত্রে সেটা প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১৫০ পর্যন্ত উঠতে পারে। পুরুষ এবং নারীর যৌথ উত্তেজনার শেষ পর্যায় হলো চরমপুলক। এ সময়ে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে এবং নারী চরমতৃপ্তি বা চরমপুলক লাভ করে। এটি শারীরিকভাবে যৌন টেনশনকে কমাতেও সাহায্য করে। চরমপুলকের সময় পুরুষ এবং নারীর দৈহিক এবং মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যায় এবং এটা চরমপুলক লাভের পর একেবারে কমে যায়। তবে সাধারণত যে ক’টা বিষয় পুরুষ এবং নারীর যৌনতার জন্য প্রয়োজন তা হলো- উভয়ের যৌন হরমোনের স্বাভাবিকতা, নারীর যোনির আর্দ্রতা, পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা এবং সঠিক উত্থান এবং বিশেষ করে উভয়ে উভয়ের প্রতি যৌন চাহিদা এবং আকর্ষণবোধ করা। পুরুষের যৌন হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন এবং নারীর যৌন হরমোন হলো ইস্ট্রোজেন। সাধারণত শেষ রাতের দিকে নারী-পুরুষের যৌন হরমোন সবচেয়ে বেশি মাত্রায় শরীরে অবস্থান করে এবং এ জন্য সকালের দিকে যৌন আকর্ষণ এবং যৌনক্ষমতা একটু বেশি থাকে। তাই এ সময়েই যৌন মিলন নিরাপদ ও তৃপ্তিদায়ক।

মধ্য বয়সে এসে পুরুষ এবং নারী যৌনতার প্রতি বেশি আকর্ষণ এবং চাহিদাবোধ করে। কৈশোর পেরিয়ে যৌবনপ্রাপ্তির পর থেকে নারী-পুরুষ উভয়ে মোটামুটি ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত তারা যৌনমিলনে সক্রিয় থাকে। তবে মধ্য বয়সে যৌনতার প্রতি আকর্ষণ থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। নারীর মেনোপজের সময় তার রজঃনিবৃত্তির সূচনা হয়। এটি অনেক নারীকেই যৌনতার প্রতি উদাসীন করে তোলে। আমাদের দেশে প্রায় ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের পর নারীদের যৌনভাবে নিষ্ক্রিয় দেখা যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে এই সময়ের কাছাকাছি বা ৫০ বছর বয়সের পরেও যৌনভাবে সক্ষম থাকতে দেখা যায়। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন ইচ্ছার কমতির কারণ হলো যৌন হরমোন কমে যাওয়া। তবে নানাবিধ শারীরিক এবং মানসিক কারণেও পুরুষ এবং নারীর যৌন ইচ্ছা এবং যৌনশক্তি কমে যেতে পারে। আথ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার জাতীয় শারীরিক অসুস্থতা যৌনতার ওপর প্রভাব ফেলে। তেমনি নানাবিধ মানসিক অসুস্থতাও যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে এবং যে সমস্যায় পুরুষ ও নারী উভয়ই আক্রান্ত হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেরিফেরাল স্নায়ু ব্যবস্থা, কার্ডিওভাসকুলার ব্যবস্থা এবং যৌনাঙ্গের সমস্যার কারণে যৌন ক্রিয়াকর্মে বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে যৌনতার প্রতি ভীতি সমস্যার কারণে যৌনতায় অসুস্থতা সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিস সমস্যার ফলে পুরুষ এবং নারীর যৌনজীবনে নানা যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যৌন সমস্যা সমাধানে
ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত এবং পরিমিত শারীরিক শ্রম বজায় রাখতে হবে। উচ্চতা অনুসারে কাক্সিক্ষত দৈহিক ওজন অবশ্যই ঠিক থাকতে হবে। পুরুষকে তার নিজের ও তার সঙ্গীর সাথে মধুরতর সম্পর্ক সৃষ্টি ও বজায় রাখতে হবে। যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্কতা প্রতিটি সুস্থ-স্বাভাবিক পুরুষ-নারীর জন্য জরুরি। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যেও যৌনতার প্রয়োজন। এটি জীবনের একটি অন্যতম নিয়ামক। পুরুষ-নারীর জন্যে যৌন-স্বাস্থ্যের সুস্থতা অবশ্যই জরুরি এবং প্রয়োজনীয়। ডাক্তারের কাছে বা বিশেষজ্ঞের কাছে আপনার যেকোনো প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা, যেগুলো আপনার যৌনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত সে ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শ নিন। যৌন সমস্যা সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ করুন। এতে আপনার যৌনতা সম্পর্কিত অজ্ঞতা কেটে যাবে। যৌনজীবনে সুখী হতে চাইলে যৌন স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার বিকল্প নেই।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

Hakim Mizanur Rahman New ad

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ\মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply