শাহরাস্তিতে ভুয়া ডাক্তার মোতাহেরের পলায়ন!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বুঝতে পেরে পালিয়েছে ভুয়া ডাক্তার এস এম মোতাহের হোসেন। ওই সময় পৌরসভার মেহের কালীবাড়িস্থ হোসাইন ফার্মেসীতে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পায় ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, উপজেলার মেহের কালীবাড়ির হোসাইন ফার্মেসীতে নিজেকে চর্ম, যৌন, মেডিসিন, মা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এস এম মোতাহের হোসেন বিভিন্ন রোগীকে চিকিৎসা দিতেন। ডাক্তার না হয়েও তিনি কমিশনের লোভে প্রয়োজন ছাড়াই অনেক রোগীকে টেস্ট দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ইতোমধ্যে তার অবহেলাজনিত কারণে বেশ কয়েকজন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে। ভুয়া চিকিৎসার বিভিন্ন ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কথিত ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।
যার প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার দুপুরে অভিযানে গেলে ভুয়া ডাক্তার এস এম মোতাহের হোসেন ও তার ভাই হোসাইন ফার্মেসীর মালিক এস এম মোকাদ্দাস হোসেন ফার্মেসি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আদালত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীতে অভিযান চালায়। ওই সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও স্যাম্পল রাখার দায়ে আল মদিনা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, মেহের কালীবাড়ির হোসাইন ফার্মেসীতে ভুয়া ডাক্তার মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভুয়া ডাক্তার মোতাহের বিভিন্ন রোগীকে টেস্ট করাতেন। তারা সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে উল্টো অর্থ খরচ করে অন্য জায়গায় চিকিৎসা নেয়া লাগতো। এমন অভিযোগের জন্য ভ্রাম্যমান আদালত তার প্রতিষ্ঠানে গেলে সেখানে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। তাকে মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে জরুরীভাবে দেখা করার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি আমরা আল মদিনা ফার্মেসীতেও অভিযান পরিচালনা করি। উক্ত ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়ায় তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী জানান, শাস্তি দিতে নয়, ভবিষ্যতে সংশোধনের লক্ষ্যে এ দন্ড দেয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সারোয়ার হোসেন, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ফায়দুল্লা মিঞাসহ থানার অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স।