থ্যালসেমিয়া রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
এ রোগের লক্ষণ অনেক রকমের হতে পারে। রোগের ধরণ এবং এর তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলোও ভিন্ন হতে পারে। তবে এ রোগ হলে সাধারণত কিছু লক্ষণ দেখে অনুমান করা যায়। যেমন-
- অবসাদ বা অস্বস্তি অনুভব
পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া
মুখমন্ডল ফ্যাকাশে হওয়া
গাঢ় রঙের প্রসাব
প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া
অস্বাভাবিক অস্থি
ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি
ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস
সংক্রমণ
শ্বাসকষ্ট
মুখের হাড়ের বিকৃতি
শারীরিক দূর্বলতা
হৃদপিন্ডে সমস্যা
অতিরিক্ত আয়রন জমা।
থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার
এ রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার একটি চলমান প্রক্রিয়া । রক্তে লোহিত কণিকার মধ্যে থাকা হিমোগ্লোবিনেই থাকে থ্যালাসেমিয়া রোগীর মূল সমস্যা । এজন্য একে হিমোগ্লোবিন ডিসঅর্ডারও বলা হয়। জেনেটিক ত্রুটির কারণে এদের হিমোগ্লোবিন অপূর্ণাঙ্গ বা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে তৈরি হয়। ফলে রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন ভালো হয় না। আর হলেও তা প্লীহাতে অকালে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়- যার ফলাফল রক্তস্বল্পতা ।
যেহেতু হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান আয়রন, সে কারণে ভেঙে যাওয়া লোহিত কণিকা থেকে নির্গত আয়রন শরীরের নানা অঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমা হতে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের বিষক্রিয়া এসব অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতিসাধন করে থাকে- যেমন হার্ট ফেইলিওর, লিভার সিরোসিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের পিটুইটারী গ্রন্থিতে সমস্যার কারণে দেরীতে বয়ঃপ্রাপ্তি এবং অপর্যাপ্ত দৈহিক বৃদ্ধি। সেজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার করা হয় এ দুটি মূল সমস্যা- রক্তস্বল্পতা ও শরীরে জমা মাত্রাতিরিক্ত আয়রন লক্ষ্য করে।
নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন ও শরীর থেকে আয়রন কমানোর ঔষধ খাওয়ানোই থ্যালাসেমিয়া রোগের মূল চিকিৎসা। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের ফলে সৃষ্ট হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অপর্যাপ্ত শারীরিক বৃদ্ধির চিকিৎসা করা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। .
বিটা থ্যালাসেমিয়া বাহক, হিমোগ্লোবিন-ই বাহক এবং হিমোগ্লোবিন-ই ডিজিজ – এদের চিকিৎসা প্রয়োজন আছে কি ?
আগেই বলা হয়েছে এটি কোন রোগ নয় এবং এর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় ডাক্তাররা এদের সামান্য রক্তশূন্যতাকে আয়রনের অভাবজনিত মনে করে আয়রনের অভাব পূরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যা সঠিক নয়। তবে যদি কারো বিট থ্যালাসেমিয়া/হিমোগ্লোবিন-ই বাহকের পাশাপাশি শরীরে আয়রনের পরিমান কম থাকে তবেই কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রনের অভাব পূরনের চিকিৎসা নিতে হবে
রক্তপরিসঞ্চালন
থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরনের জন্য নিয়মিত রক্ত প্রদান করতে হবে যাতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৯ গ্রাম/ডিসিলিটারের (শতকরা ৫৬/ ৫৬%) উপরে থাকে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তের উপাদান পৃথক করে শুধুমাত্র লৌহিত কণিকা বা রেড সেল দিতে হবে। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়ার ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ রোগীরই নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন হয় না । অনেক রোগীদের কখনই রক্ত দিতে হয় না্। রক্ত পরিসঞ্চালন শুরু করার আগেই থ্যালাসেমিয়ার ধরন নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
কখন রক্ত দেয়া শুরু করতে হবে ?
এটা নির্ভর করে কতগুলো নির্দেশক যেমন- হিমোগ্লোবিন মাত্রা, শারীরিক বৃদ্ধি, মুখমন্ডলের হাড়ের পরিবর্তন, তুলনামূলক বয়স, প্লীহার আকার এবং জীবনযাত্রার মানের উপর যা রোগীর চিকিৎসক এবং অভিভাবকদের বিবেচনা করতে হবে। সাধারনত বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের ৬ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে রক্ত দেওয়া শুরু করতে হয়। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া এবং ই বিটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতার তীব্রতা এবং উপরোক্ত নির্দেশক বিবেচনা করে রক্ত প্রদান শুরু করতে হবে।
কত দিন পর পর রক্ত দিতে হবে ?
বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারনত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর পর রক্ত দিতে হয়। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া এবং ই বিটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে যদি থ্যালাসেমিয়া মেজরের মতো মারাত্মক রক্তশূন্যতা হয় হবে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর পর অন্যথায় আরো বেশী ব্যবধানে রক্ত দিতে হবে।
কোথা হতে রক্ত সংগ্রহ করবেন ?
যেসব ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছায় রক্ত দানের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং রক্তের পূর্ণাঙ্গ স্ক্রীনিংও ক্রস ম্যাচিং করা হয় সেখান থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে রক্তদাতা আত্মীয় বা পরিচিত হলেও রক্তের পূর্ণাঙ্গ স্ক্রীনিং ও ক্রস ম্যাচিং আবশ্যক। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিকটাত্মীয় তথা বাবা, মা, ভাই, বোনের রক্ত দেওয়া উচিত নয়।
কোথায় রক্ত দিতে হবে ?
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে রক্তদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। সরকারি হাসপাতালের হেমাটলজী এবং মেডিসিন বিভাগেও রক্ত দেয়া যায়। এছাড়া নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রক্ত দেওয়া যেতে পারে, তবে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্থানে রক্ত পরিসঞ্চালন করাই ভালো। কোন অবস্থাতেই স্থানীয় ডাক্তার বা প্যারামেডিকের সাহায্যে বাসায় রক্ত পরিসঞ্চালন করা উচিত নয়।
ফিল্টার কেন ব্যবহার করতে হয় ?
রক্তের সাদা কণিকা (হোয়াইট সেল) অপসারন করার (লিউকোরিডাকসান) জন্য ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। ফিল্টার ব্যবহার করলে রক্ত পরিসঞ্চালন জনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ইনফেকশনের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
লৌহ নিষ্কাশন
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের দেহে নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালনের ফলে জমা হওয়া অতিরিক্ত আয়রন বের করার জন্য নিয়মিত লৌহ নিষ্কাশক ( Iron Chelator) ওষুধ যেমন- ডেসফেরল, কেলফার গ্রহন করতে হয়। এছাড়া ডেসিরক্স (Deferasirox) নামে নতুন একটি মুখে খাওয়ার ওষুধ এখন ব্যবহৃত হচ্ছে।
কম্বিনেশন থেরাপি কি?
আয়রন জনিত হৃদরোগ থ্যালাসেমিয়া রোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ। আন্তর্জাতিক গবেষনাপত্রে দেখা গেছে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় কেলফার ডেসফেরলের চেয়ে বেশী হৃদরোগ সুরক্ষা দেয়। এজন্য ডেসফেরল ও কেলফারের যৌথ চিকিৎসা সুপারিশ করা হয় । গবেষনায় দেখা গেছে যৌথ চিকিৎসায় প্রতিটি ঔষধের কার্যকারিতা একক চিকিৎসা অপেক্ষা বৃদ্ধি পায় এবং কার্যকরভাবে দ্রুত লৌহ নিষ্কাশন করা সম্ভব হয় ।
প্লীহা (Spleen) অপসারন
অনেক থ্যালাসেমিয়া রোগীরই প্লীহা অপসারন করার প্রয়োজন হয় । রোগ ধরা পড়ার পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রয়োজনীয় পরিমানে রক্ত দেয়া হলে এটি প্রতিরোধ করা যায় । নিম্মোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে প্লীহা অপসারন করা প্রয়োজন-
রক্তের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ গুন বেড়ে যাওয়া,
প্লীহায় ব্যাথা, প্লীহার আকার অনেক বেড়ে যাওয়া এবং এর কারণে ক্ষুধামন্দা,
প্লীহার কারণে রক্তের সাদা কণিকা এবং প্লেটলেট কমে যাওয়া ।
প্লীহা অপসারনের অপারেশনের আগে অবশ্যই নিউমোনিয়া এবং মেনিনজাইটিস এর টিকা দিতে হবে। এছাড়া অপারেশনের পর সারা জীবন প্রতিদিন পেনিসিলিন ট্যাবলেট খেতে হবে ।
হৃদরোগ
হৃদপিন্ডে অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়ার কারণে সাধারনত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হৃদরোগ হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত লৌহ নিষ্কাশক ঔষধ খেয়ে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব । হৃদ রোগের লক্ষণসমূহ হচ্ছে- বুক ধড়ফড় করা, অল্প সময়ের জন্য জ্ঞান হারানো, শ্বাসকষ্ট, উপর পেটে এবং বুকে ব্যাথা, শারীরিক পরিশ্রমে অসহনশীলতা, শরীরে পানি আসা । এধরনের কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হরমোন রোগ
রক্তস্বল্পতা ও অতিরিক্ত আয়রনের কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হরমোনজনিত রোগ যেমন- কম ও ধীর দৈহিক বৃদ্ধি, দেরীতে বয়ঃপ্রাপ্তি হওয়া, ডায়াবেটিস, হাঁড় ক্ষয় রোগ হতে পারে । এজন্য বাৎসরিক চেকআপ করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সংক্রামক রোগের চিকিৎসা
অনিরাপদ রক্তের মাধ্যমে রোগীদের দেহে হেপাটাইটিস বি, সি এমনকি এইচ. আই. ভি (H.I.V) সংক্রমিত হতে পারে । এজন্য সবসময় সঠিকভাবে স্ক্রিনিংকৃত রক্তের ব্যবহার নিশ্চত করতে হবে । এছাড়া যেসকল রোগ টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়, তার টিকা প্রদান করতে হবে, যেমন- হেপাটাইটিস বি ।
মানসিক সহায়তা
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অন্যান্য স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হতে দেওয়া উচিত । অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করে এদের জীবনযাপন অহেতুক কঠিন করা উচিত নয় । এছাড়া বয়সন্ধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এদের যথাযথ মানসিক সমর্থন ও সহায়তা করা উচিত।
থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার কতদিন চালাতে হবে?
থ্যালাসেমিয়া একটি আজীবনের রোগ। সুতরাং সারাজীবন এর চিকিৎসা চালাতে হবে । তবে রোগের তীব্রতা, লক্ষণ ও বয়স অনুসারে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসার পরিবর্তন হতে পারে ।
থ্যালাসেমিয়া রোগীর জীবনযাপন এবং ভবিষ্যৎ ও বর্তমান
ক্ত পরিসঞ্চালন পদ্ধাতির উন্নতি ও লৌহ নিষ্কাশক (Iron Chelator) ঔষধ আবিষ্কারের ফলে গত ২৫ বছরে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসায় অনেক উন্নতি হয়েছে । নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে রোগীরা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন এবং বর্তমানে উন্নত বিশ্বে অনেকে ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত বেঁচে আছেন । বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে সংসার সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন । বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে ৩০-৪৫ বছর বয়স্ক থ্যালাসেমিয়া মেজর এবং ৭০ বছর বয়স্ক থ্যালাসেমিয়া ইন্টামেডিয়া রোগীর উদাহরন রয়েছে ।
থ্যালাসেমিয়া থেকে আরোগ্য কি সম্ভব ?
হ্যাঁ, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিরাময় সম্ভব। এই প্রক্রিয়ার জন্য একজন অনুরুপ (Match) অস্থিমজ্জাদাতা প্রয়োজন যা দুষ্প্রাপ্য । এছাড়া প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যয়বহুল এবং শতভাগ সফল নয়। আর একটি প্রক্রিয়া হলো কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্লান্টেশন (নবজাতকের প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল ও আম্বিলিকাল কর্ড থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করা)। অতি সম্প্রতি এই প্রক্রিয়াটি বিশ্বের কয়েকটি দেশে সফলভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার এর ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও জিন থেরাপি সম্পর্কে গবেষণা চলছে এবং আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার করার ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী অবদান রাখবে ।
থ্যালাসেমিয়া বাহক কি কখনও রোগে রূপান্তরিত হতে পারে ?
থ্যালাসেমিয়া উত্তরাধিকারসূত্রে হয়ে থাকে। তাই থ্যালাসেমিয়া বাহক কখনও রোগীতে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
ডা.হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস) হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মুঠোফোন: চিকিৎসক) 01762240650
(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা।
নামাজের সময় কল দিবেন না।)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়