ফরিদগঞ্জে দিঘীর মাছ চাষকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
দিঘীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেন(৩৫),রিফাত (২২), জিয়া (১৯) ,শাওন(২৪),পরান(২২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলীর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাবুর দিঘীতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩১আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমাÐার সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বাবুর দিঘীতে মাছ ধরতে গেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ইমু বাঁধা প্রদান করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষ দেশীয় ও ককটেল ফুটিয়ে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে ।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমাÐার সারোয়ার হোসেন, সফর আলী সওদাগর, মোশারফ হোসেন নান্নু, দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী জানান, আমরা গত ১৫/২০ বছর যাবত বাবুর দিঘী লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। দিঘীতে ৯ একরের মধ্যে ৭ একর ২৫ শতক সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। গত ৩ বছর ৫৮ হাজার টাকা করে লীজের টাকা পরিশোধ করে আসছি।

তবে স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা লীজ নিয়ে পরে মৌখিক ভাবে সাব লীজ দিয়েছেন। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা দিঘীর ইজাড়া মূল্য থাকলেও সিন্ডিকেট করে সরকারের বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ইমু জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সাব লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ দিঘীতে মাছ চাষ করে আসছি। মুক্তিযোদ্ধারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে আমাদের চাষকৃত দিঘীতে জাল দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মাছ লুট করতে আসে। খবর শুনে বাঁধা দিতে গেলে ,তারা আমাদের উপর অর্তকিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সহিদুল্যাহ তপাদার জানান, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়টি নিয়ে থানায় বসেছি। মাছচাষীদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত থাকায় সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। তাই আগামী বুধবার আবার সুরাহার জন্য বৈঠক হবে। দিঘীটি আমরা ২ বছরের জন্য মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার পাটওয়ারীরর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জল পাটওয়ারীর কাছে লীজ দিয়েছিলাম।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই সুমন মিয়া,এএসআই মোঃ মহিউদ্দিন জানান, সংঘর্ষের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি।

এ বিষয়ে থানার ওসি তদন্ত প্রদীপ মন্ডল জানান, সংঘাতের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে থমথমে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

Loading

শেয়ার করুন