মতলব উত্তর উপজেলা কমপ্লেক্সে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কনকচুরা ফুল

সফিকুল ইসলাম রানা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এখন যেন এক নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে। নানা রঙের ফুলের মধ্যে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে বেগুনি-নীলাভ রঙের কনকচুরা ফুল, যা এখন কমপ্লেক্সের সামগ্রিক পরিবেশে এনে দিয়েছে অপূর্ব এক সৌন্দর্য ও প্রশান্তি।

বুধবার (১৪ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের চারপাশে ও মূল ফটকের পাশে লাগানো কনকচুরা গাছগুলোতে এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। সকালবেলা সূর্যকিরণে ঝকঝকে ফুলগুলো যেন সকলের মন জয় করে নিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে আরও নানা জাতের ফুল ও ফলদ বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহাও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, “আগে উপজেলা কমপ্লেক্সে এলেই কেবল কাজের কথা ভাবতাম। এখন এখানে এলে মন ভালো হয়ে যায়। ফটকের পাশে ফুল ফুটে আছে—সেই দৃশ্য দেখেই একটা ভালো লাগা তৈরি হয়।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, “কনকচুরা একটি সহজে বৃদ্ধি পাওয়া ও কম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা ফুল গাছ। এটি শুধু একটি ফুলগাছ নয়, বরং এর রয়েছে ঔষধি গুণও। গাছটির ফুল ও পাতা পোকা-মাকড় প্রতিরোধে সহায়ক। সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান এলাকায় এই ধরনের গাছ রোপণ হলে তা যেমন সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি পরিবেশ সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই এমন উদ্যোগ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ুক, যাতে সবখানেই সবুজায়ন নিশ্চিত করা যায়।”
একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন অফিসে যাই-আসি, এখন সকালবেলা এই ফুলগুলো দেখেই দিন শুরু হয়। এটি একধরনের মানসিক প্রশান্তি দেয়।”
চোখে পড়ার মতো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা পেয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা কমপ্লেক্স। শুধু একটি ফুলের সৌন্দর্যই বদলে দিতে পারে একটি অফিস চত্বরের চিত্র—এরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠছে কনকচুরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, “উপজেলা পরিষদ শুধু একটি প্রশাসনিক স্থাপনা নয়, এটি সাধারণ মানুষের নিত্য আগমনের একটি জায়গা। আমরা চেয়েছিলাম এই জায়গাটিকে আরও প্রাণবন্ত ও নান্দনিক করে তুলতে। সে লক্ষ্যেই কয়েক বছর আগে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়। এখন ফুল ফুটতে শুরু করায় সেই সৌন্দর্য চোখে পড়ছে এবং এটি সকলকে মুগ্ধ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই গাছগুলো শুধু দেখতে সুন্দর নয়, এগুলো পরিবেশবান্ধবও। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হয় এবং অফিসের পরিবেশে এক ধরনের প্রশান্তি সৃষ্টি করে।”
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

