‘উন্নত বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে ৮৫ দিনে ধান ঘরে আসে’

ওমর ফারুক সাইম :
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেছেন, কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য করবেন ১৯৭২ থেকে ৭৪ সালে বাংলাদেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ বাস করতো। এখন বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষ বাস করে। ৭২-৭৪ সালে আমাদের খাদ্যের অভাব ছিলো। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন। এই সমৃদ্ধি এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুফল নীতি সকল ক্ষেত্রে যাতে সফলতা আসে সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা কাম্য। এ কচুয়ায় ৩৬টি কৃষি বøক আছে। ৩৬ টি কৃষি বøকে ৩৭ জন উপ-সহকারী কাজ করেন।

তিনি আরো বলেন, উন্নত বীজ সার বিতরণের মাধ্যমে এভাবে প্রনোদনা ও কৃষিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক সময় এ কচুয়ায় ধান আর পাট হতো এর বাইরে অন্য কোন ফসল হতো না। এখন কচুয়ায় ধান ভূট্টা, গম, পাট, সবজি, ফল চাষ করা হয়। আপনারা ৭২-৭৩ সালে যে ধান উৎপাদন করতেন সে ধান ১২০ দিনে ঘরে আসতো। বর্তমানে উন্নত বীজ আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে ৮৫ দিনে ধান ঘরে আসে। পূর্বের থেকে এখন আড়াই গুন বেশি বিঘা প্রতি ধান উৎপাদন হচ্ছে। ৮৫ দিনে ধান ঘরে রাখার পর আপনারা ওই জমিতে আলু করতে পারছেন ভূট্টা করতে পারছেন এবং অন্যান্য ফসল করতে পারছেন। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন ফসল উৎপাদন করে বছরে ৩ শত ৪০ দিনেই উৎপাদন ফসল ফলাতে পারলে আপনাদের পাশাপাশি দেশ সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। কোভিট এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, শুধু বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা যায়নি।

এর মূল কারন ছিল আপনারা কৃষকরা। আমি আশা করবো, জাতীয় দূর্যোগের সবসময় আপনারা সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দেশকে সহযোগীতা করবেন, এবারের বাজেটে ৩৬ ভাগই কৃষির উন্নয়ন ক্ষেত্রে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে কোন সরকার বাজেটে এতো বড় অংশ কৃষি ক্ষেত্রে সংযুক্ত করতে পারে নাই । জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আপনাদের সমর্থন নৈতিক দায়িত্ব,আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে শুধু কৃষি ক্ষেত্রেই নয়, সকল ক্ষেত্রে জাতীকে জয়ী করি, তাহলে যে স্বপ্ন দেখে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিল সে স্বপ্ন আমরা স্বার্থক করতে সমর্থক হবো। আমাদের সোনার বাংলার সবচেয়ে বড় স্তম্ভ^ হলো কৃষি,ফলে এ স্তম্ভ^^কে কেন্দ্র করে আপনারা যারা কাজ করছেন,আপনাদের মনে রাখতে হবে জাতীর উন্নয়নে স্তম্ভ^ হিসেবে আপনারা কাজ করছেন। তিনি রবিবার (২৫ জুন) সকালে কচুয়ায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি পূর্ণবাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৫ শত প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজুমল হাসানের সভাপতিত্বে ও কৃষি সম্প্রাসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম খোকা, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোফায়েল হোসেন, বীর মুক্তিযুদ্ধা আনোয়ার সিকদার ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর তালুকদার, কৃষাণী লাকি রানী প্রমূখ ।

Loading

শেয়ার করুন