কচুয়ার মালচোয়ায় নৌকার মাঝিকে গুলি করে হত্যার হুমকি: থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুরের কচুয়ায় ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটে বাধা প্রদান করায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে নৌকার মাঝি রফিক সিকাদারকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে ঠিকাদার আহসান হাবিব অরুন। এ

বিষয়ে গত শুক্রবার কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া সিকদার বাড়ীর মৃত রুস্তম আলীর ছেলে ভুক্তভোগী রফিক সিকদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কচুয়া থানার পার্শ¦বর্তী উপজেলা হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামের মৃত আঃ রশিদের ছেলে ঠিকাদার আহসান হাবীব অরুন কচুয়া থানার মালচোয়া এলাকায় সুন্দরী খালের উপর ব্রিজ নির্মাল কাজ কন্ট্রাক পেয়ে নির্মাণ কাজ করে। ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় এবং সেখানে কোন প্রকার সাঁকো না থাকায় বাদী নৌকা দিয়ে সুন্দরী খালের এপাশ থেকে ওপাশে মানুষ পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিবাদী অরুন ব্রিজের পাইলিং এর কাজ শেষে ব্রিজের গোড়ায় মাটি ভরাট করার জন্য বাদী রফিক সিকদারের জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি আনার চেষ্টা করলে রফিক সিকদারসহ এলাকার অন্যান্য লোকজন বিবাদীকে বাধা প্রদান করে। স্টিমেট অনুযায়ী মাটি আলাদা ধরা থাকলেও অরুন অবৈধভাবে ব্রিজ সংলগ্ন জায়গা থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার চেষ্টা করে।

এলাকার লোকজন সামাজিক ভাবে তাকে বাধা প্রদানের কারনে অরুন ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজ থেকে বিরত থাকে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রফিক সিকদার নৌকা নিয়ে ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করাকালীন সময় বিবাদী অরুন তার প্রাইভেটকার যোগে ব্রিজের উত্তর পাশে আসে। এসময় বিবাদী অরুন রফিক সিকদারের দিকে অস্ত্র তাক করে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এই খালে পূনরায় নৌকা চালালে তাকে গুলি করে খুন জখম করিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। এসময় স্থানীয় মো. আলমগীর হোসেন বাধা প্রদান করলে বিবাদী তার সাথে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. শাহজালাল মেম্বার জানান, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম নাহ। তবে রফিক সিকদারের সাথে ঠিকাদার অরুনের ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট শত্রæতার জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর ঠিকাদার অরুন রফিক সিকদাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বিষয়টি এলাকায় এসে শুনেছি।

ঠিকাদার অরুন জানান, রফিক সিকদারকে আমি ভালো করে চিনিও না এবং তার সাথে আমার ঐদিন দেখাও হয়নি। আমি সাইটে গিয়ে দেখি আমার অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। তারপর পুনরায় আমি হাজীগঞ্জে চলে আসি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে তদন্ত চলিতেছে।

Loading

শেয়ার করুন