শ্বেতী রোগের সঠিক চিকিৎসা জেনে নিন
মানুষের জন্মের পর থেকে কোনো না কোনো রোগ হয়েই থাকে, আর রোগ যেন পিছু ছাড়তে চায়না। কিন্তু আমাদের তার সাথে রীতিমতো লড়াই করে রোগের প্রতিরোধ করতেই হয় ভালোভাবে বাঁচার জন্য।
তার মধ্যে একটি রোগ হলো শ্বেতী রোগ। এই রোগ যার হয় বা যাদের শুরু হয় তারাই বোঝে এই রোগ হবার দুঃখটা কতখানি। ছেলে বলুন বা মেয়ে বলুন কেন সবার মধ্যেই এই রোগ হতে পারে।
শ্বেতী রোগ। সাধারণত মানব দেহের শরীরের বিশেষ কোনো জায়গার চামড়ার বা স্কিন এর রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক চামড়ার বা স্কিন এর রং তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। শ্বেতী কোনো ছোয়াচে রোগ না বা এই রোগ কোনো প্রাণঘাতীও না।
বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত। দেশ ও বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। হয়তো অনেকে এই রোগ হবার পর অনেক ডাক্তার বা হাসপাতাল এ গেছেন বা এখনো যাচ্ছেন।
হয়তো কারোর ক্ষেত্রে লাভ হচ্ছে বা হয়তো বা হচ্ছে না অর্থ্যাৎ কারোর আস্তে আস্তে কমছে আর কারোর হয়তো কমছে না আবার কারোর আস্তে আস্তে বেড়েও যেতে পারে। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
এই জন্য আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনআর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
শ্বেতী রোগ আক্রান্তদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের জন্য তাদের সহযোগিতায় আমাদের এ ছোট্ট একটি প্রয়াস বলতে পারেন। আপনাদের উপকার করতে পারলে আমরাও অত্যন্ত খুশি হবো। সবসময় চেষ্টা করবো আপনাদের পাশে থাকার।
সারাবিশ্বে শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে একদম ভয় পাবার মতন না, শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। আর অনেকেই ভাবেন যে এটা ছোঁয়াচে নয় তো ? একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার এই মন্তব্য বা এই অভিব্যক্তি দেখে বা শুনে শ্বেতী রোগীর মনে কিরকম প্রতিক্রিয়া হয়, বা তারা কতটা কষ্ট পায় বা কতটা অপমানিত হয়। তবে এ চিকিৎসা হতে হবে ধাপে ধাপে ধৈর্য সহকারে। তাই আর শ্বেতী রোগীকে অবহেলা, অনাদর, অবজ্ঞা নয়। আমাদের প্রাকৃতিক ভেষজ চিকিৎসায় শ্বেতী রোগের একশো ভাগ মুক্ত হয়।
হয়তো চিকিৎসা অনুযায়ী একটু সময় লাগে কিন্তু সেরে যায়। যেহেতু শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করতে হয় তাই এটি অনেক সময় লাগে, সাধারণত ৬ মাস থেকে ১৮ মাস এমনকি এক দুই বছর ধরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতে চিকিৎসা চালাতে পারলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমের বা চামড়ার পশমের অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে। শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়বা করা উচিত।
কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে। কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমানের উপর সময় কম বা বেশী লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে।
সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরির পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, থেরাপি ব্যবহার করা হয়। তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে যেসব ক্ষেত্রে সাদা দাগ স্থির থাকে বা নতুন দাগ আবির্ভাব হয় না অথবা ওষুধ এবং ফটোথেরাপিতে কাজ হয় না, সে ক্ষেত্রে কসমেটিক সার্জারি করা যেতে পারে আর তার জন্য ডাক্তারের সাথে আলোচনা অত্যন্ত আবশ্যিক।
করণীয় তা হল
দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।
চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসায় আমি সাধারণ চার ধরনের ঔষধ প্রয়োগ করে থাকি। সবগুলো ঔষধই ভেষজ ঔষধ। ফলে এ ঔষধ ব্যবহারে দেহের বা শরীরের কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কারো কারো তিন মাস, কারো ছয় সাত মাস লেগে যায়। আবার দীর্ঘদিনের শ্বেতী রোগীদের ক্ষেত্রে ১৮ মাসও লেগে যেতে পারে।
বিগত ১৩ বছরের চিকিৎসা সাধনায় অনেক অবিশ্বাসী রোগীও এ রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মজার বিষয় হচ্ছে, অনেকেই অজ্ঞতার কারণে বলে থাকেন এ রোগ হলে ভালো হয় না। মূলত অজ্ঞতা অন্ধকারের শামিল। তাই অন্ধকারকে জয় করতে হবে এবং কারোর কথায় কোনো কাজ না করে সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে সমস্যা তা খুলে বলুন তাতে আপনি বেশি সফল হবেন।
ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। ডাক্তার নির্দেশিত অন্যান্য ঔষধ প্রতিনিয়ত মালিশ করতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে। ওষুধে কাজ হতে প্রায় ৬ মাস এমনকি দেড় থেকে ২ বছরও লাগতে পারেবা তারও বেশি।
আপনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি নিজেই আপনার অবস্থা দেখিয়ে ঔষধ গ্রহণ করবেন। তাহলেই দ্রুত এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর যদি সরাসরি গিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে না পারেন। তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আমার নিম্নোক্ত ইমো নাম্বারে আপনার শরীরের সাদা স্থানের ছবি দিয়ে যোগাযোগ করবেন।
মনে রাখবেন :
যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিৎসা করা যায় তত ভালো। শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড – এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে। আর হ্যা শ্বেতী রোগের ঘরোয়া কোনো প্রতিকার নেই।
শ্বেতীর জন্য চর্ম, ত্বক, বিশেযজ্ঞের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ করা জরুরি। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ৬-১৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা গা তামাটে রঙ করা (Tanning) থেকে বিরত থাকতে হবে l
শেষ কথা
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরার মাধ্যমে কোনো না কোনো রোগের মধ্যে পড়েই থাকি। সেটাকে নিয়ে ভয় না পেয়ে বা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পরামর্শের প্রয়োজন। শরীরের কোনো জায়গায় যদি সাদা সাদা হয়ে যাওয়া ভাব দেখেন যেটা দীর্ঘদিন ধরেই আছে আর একটু একটু করে বাড়ছে তাহলে একদম দেরি না করে সত্তর যোগাযোগ করতে হবে। অন্য লোকের কথায় বা কোনোরকম গুজবে কান দেবেন না। এই রোগ হলে সর্বদা ডাক্তার হল সেই সময় পরম বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী, সব এমনটাই মনে করতে হবে। আপনারা এ রোগ থেকে মুক্ত হন এবং অপরকে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের জন্য সংবাদটি শেয়ার করুন-এটাই আমাদের কামনা। ভুলবেন না কিন্তু শেয়ার করতে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও ভালো রাখুন। ধন্যবাদ।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
ডা.হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস) হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মুঠোফোন: চিকিৎসক) 01762240650
(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা।
নামাজের সময় কল দিবেন না।)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়