সমুদ্রের পানিতে যে ৫ ভয়ংকর রোগ
সমুদ্র ভালোবাসে না এরকম মানুষ হয়ত কমই পাওয়া যাবে। সমুদ্রের ঢেউয়ে শরীর ভিজাতে কতই না শান্তি। কিন্তু এই সমুদ্রের পানিই আপনার জন্য ডেকে আনতে ভয়ংকর রোগ। এটা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। আসুন জেনে নেই সমুদ্রে যে ৫ ভয়ংকর রোগ হতে পারে।
হেপাটাইটিস: হেপাটাইটিস মূলত লিভার সমস্যা সৃষ্টি করে। যা সাধারণত এ, বি, বা সি ধাপে শরীরের ক্ষতি করে। এমনকি লিভার সিরোসিস হতে পারে। যাতে রোগী শেষপর্যন্ত ক্যান্সারের দিকে যেতে থাকেন। ২০০৬ সালে সান দিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পানির দূষণের মাধ্যমে ৭৯ শতাংশের হেপাটাইটিস বা লিভার সমস্যা হয়ে থাকে।
পেটে সংক্রমণ: সৈকতের বালিতে থাকা দূষিত পদার্থ এবং জীবাণু পেটে সংক্রমণজনিত রোগ ছ্ড়ায়। যা থেকে বমি বমি ভাব এবং গ্যাস্ট্রএন্টেরাইটিস হতে পারে। এগুলো মূলত সামুদ্রিক ঝড়ের মাধ্যমে মানুষ বা প্রাণির বর্জ্য থেকে পানি বা বালিকণায় আসে। এমনকি দেখা গেছে, সৈকতের পানিতে এবং বালিতে ডায়েরিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
চুলকানি: সেরিকারিয়াল ডার্মাটাইটিস সাধারণত সাঁতারের চুলকানি হিসাবে পরিচিত। এটি ত্বকে ফুসকুড়ি আকারে দেখা দিয়ে থাকে। এমনকি পানিতে সাঁতার কাটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা যায়। এই পরজীবীগুলো শামুক ও পাখির মাধ্যমে পানিতে, পানি থেকে মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয়ে থাকে।
ফোঁড়া: উষ্ণ পানি এবং মানুষের ভিড় সৈকতকে মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্টাফিলোক্কাস অরিয়াসের প্রজনন ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তোলে। যা এমআরএসএ (ফোঁড়া) হিসাবে বেশি পরিচিত। এটি ছোট্ট আকারে শুরু হয়। তবে অনেক সময় বড় ফোঁড়ায় রূপান্তর হয়। এটি শরীরের গভীরে বাড়ে। এতে হাড় ও অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টে পরিণত হতে পারে। রোগটি সমুদ্রের পানিতে সাঁতারুদের সংস্পর্শে ছড়ানোর ৩৭ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে।
গোলকৃমি: এ পরজীবী সাধারণত কুকুরের অন্ত্র এবং মল থেকে আসে। সৈকতে থাকা মানুষ জানতে পারে না, তারা পরজীবীগুলোর কাছাকাছি আছে। এমনকি পানি ও বালির সাথে পরজীবীগুলো মিশে থাকায় সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে বমি বমি ভাব, বমি, কাশি, ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পেটে ব্যথা- এমনকি আপনার মলেও কৃমি থাকতে পারে।