হাজীগঞ্জের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে : ভুয়া ডাক্তার সেজে ভিজিট নিতেন ৭’শ টাকা

নিউজ ডেস্ক : প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ভুয়া ডাক্তার মানবিক বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযান চালান।

দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তারের নাম অমর শীল (৩৫)। সে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের উলিপুর গ্রামের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে। তিনি নাম বদলে ডাক্তার মো. এনামুল হক পরিচয় ধারন করেন।

অভিযানে জানা যায়, অমর শীল ওরফে মো. এনামুল হক কোন এমবিবিএস ডিগ্রি নেননি। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর আর পড়াশোনা করেননি। নিজ চাঁদপুর ছেড়ে নোয়াখালীতে এসে ডাক্তার বেশে রোগী দেখতেন।

অভিযানের সময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড) ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে জানায়, তার প্রকৃত নাম অমর শীল (৩৫)।

২০০৩ সালে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি তিনি পড়াশোনা করেন নাই। ওই হাসপাতালে তিনি গত ৪ মাস যাবত চেম্বার করেন। এর আগে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে চেম্বার করতেন। তিনি এমবিবিএস সার্টিফিকেট/ডিগ্রীর সনদপত্র দেখাতে পারেননি। ভুয়া পরিচয়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭’শ টাকা করে ফি নিতেন।

পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় অভিযান পরিচালনার সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। (ডিবিসি নিউজ)

Loading

শেয়ার করুন