ফরিদগঞ্জের সাহাপুর মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ  নিয়োগ স্থগিত

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর মোহাম্মদ চৌধুরী গাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত সোমবার (১মে) তড়িঘড়ি করে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত করার সময় অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ বোর্ড ত্যাগ করেন মাদ্রাসার গর্ভনিংবড়ির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহম্মদ রাজন।

বিষয়টি সংবাদকর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে তিনি জানান, এই নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্সি। এখানে নির্ধারিত ব্যাক্তিকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ দেয়ার সকল কার্যক্রম তারা আগেই করে রেখেছে। শুধু ফলাফল ঘোষণার বাকি ছিলো। তাদের অনিয়ম দেখে আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। তাদের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বারপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, সে প্রশ্নপত্র থেকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিতে পারেননি।

পরীক্ষায় সহ-সুপার পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, বালিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ফজলুল করিম, গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আবদুল কাদিরসহ ৫জন।

পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষকরা সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খান। এসময় নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসার সুপারের সিদ্ধান্তে কাঁশারা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার প্রধান মাওলানা সালাউদ্দিনকে সহ-সুপার হিসেবে চুড়ান্ত করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষায় মোট ৭জন আবেদন করলেও ২জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যান্য চাকুরি প্রার্থীরা জানান, আমাদের চিঠি দিয়ে আজকে সরকারি বন্ধের দিনে নিয়োগ পরীক্ষা হবে বলে জানালে আমরা সকালে পরীক্ষা দিতে আসি। ত্রিশ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষায় একজনকে ২৪ নাম্বার, এবং অন্যদের ৮, ৬ ও ১৩ নাম্বার দেয়া পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই সন্দেহের মধ্যে ফেলেছে।

পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে

নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত করা মাওলানা সালাউদ্দিনের কাছে কত নাম্বারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। কোন পত্রিকায় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে সেটাও তিনি বলতে পারেন নি। তিনি শুধু বলেন, আমি বেশী নাম্বার পাওয়ার জন্য বেশি করে লিখেছি।

মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ইউপি সদস্য এমরান হেসেন প্রথমে নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষার বিভিন্ন অনিয়মের কথা বললেও পরবর্তীতে নিয়োগ পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে জানান।

স্থানীয়রা লোকজন জানান, এই নিয়োগ পরীক্ষায় সম্পূর্ণ অনিয়ম করা হয়েছে। বর্তমান নতুন সহ-সুপারকে নিয়োগ প্রদানে ৫ লাখ টাকা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে তারা শুনেছেন।


মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বুধবার জানান, নিয়োগে কিছু অনিয়মের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল করে দেওয়ার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি।

Loading

শেয়ার করুন