বিএনপির লংমার্চে স্লোগান দেওয়ায় যুবদল নেতার বসতঘরে হামলা ভাংচুর
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/2.gif)
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত লংমার্চে অংশগ্রহন করে দলীয় নেতাকর্মীরা । উক্ত লংমার্চে ফেসবুক লাইভে এসে স্লোগান দেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহŸায়ক ফারুক খান।
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/diabeties.jpg)
ফেসবুক লাইভে দেওয়া স্লোগান মুহূতের্র ছড়িয়ে পড়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই দিনই ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাইভে এবং ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যুবদল নেতা ফারুক খানের স্লোগানের বিরোধিতা করেন। এবং পরের দিন ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকালে উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুপসা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষনা অনুযায়ী পরের দিন অথ্যাৎ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, যুগ্ম আহŸায়ক ওয়াহিদুর রহমান রানা, আরিফুর রহমান আজাদ,রুপসা উত্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল , ছাত্রলীগ,যুবলীগ, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ রুপসা বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল সমাবশে করেন।
এদিকে যুবদল নেতার ফেসবুক লাইভে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহŸায়ক ফারুক খানের বসত ঘরে দফায় দফায় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
দফায় দফায় বসত ঘরে ভাংচুরের ঘটনায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ফারুক খানের পরিবারের সদস্যরা।
ফারুক খানের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানান, আজ জুমার নামাজের পর আমার বাড়িতে কে বা কাহারা কয়েকটি দলে দলে এসে হামলা ভাংচুর চালায়, আমাদের ঘরে এসে পেছন থেকে আমাকে থাবা দিয়ে ধরে, আমার হাতে থাকা এক ভরি ওজনের একটি ব্যাজলাইট নিয়ে যায় । আমার ছোট ছেলে সাইফ’কে ছাদ থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। ইট মেরে আমার ঘরের জানালাগুলোর কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে, আমার ঘরে ডুকে কয়েকটি রুমে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলার সময় আমি ৯৯৯ নাম্বারে তিনবার কল দিলেও পুলিশ আমার কল ধরেনি। তারা তালা লাগানো রুমের দরজা লাথি মেরে ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে ভাংচুর করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি আমার জীবন ও ইজ্জত নিয়ে পালিয়ে যাই ।
এদিকে হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু এবং পরে যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন সহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ঘামলার গঠনায় উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছি। হামলার বিষয়ে উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/01/hakim-mizanur-rahman.jpg)
![](https://chandpurreport.com/wp-content/uploads/2024/02/3.gif)