হাইমচরে ভাসুরের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ : মাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার কন্যা শিশু

সাহেদ হেসেন দিপু : চাঁদপুর জেলার হাইমচরে ভাসুরের হামলার শিকার গৃহবধূ। মা’কে বাঁচাতে গিয়ে জেঠার হাত থেকে রক্ষা পায়নি ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। পাষন্ড জেঠার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে শিশুটি।

আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বসত ঘরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত আব্দুল করিম ছৈয়ালের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩২) ও তার কন্যা শিশু সাবিকুন্নাহার পাপড়ী(১১) চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশু সাকিবুন্নাহার পাপড়ী খুদিয়া বাজাপ্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, আব্দুল করিম জীবিকার তাগিদে নারায়নগঞ্জে বসবাস করেন। তার স্ত্রী সেলিনা বেগম তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান নিয়ে ছোটলক্ষীপুর গ্রামে স্বামীর বসত ঘরে বসবাস করেন। আব্দুল করিম ও তার বড় ভাই আব্দুর রহিমের মধ্যে পূর্ব থেকেই যায়গা জমিন নিয়ে মনমালিন্য ছিল। সেলিনা বেগমের স্বামীকে তার ভাশুর বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।

তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাশুর তার ছোট ভাইয়ের বউকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। তার প্রস্তাবে রাজি হলে বাড়িতে আর কোন ঝগড়া থাকবে না বলে জানান ভাশুর আব্দুর রহিম। গৃহবধূ সেলিনা বেগম তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ভাশুর বাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

গত ২ মার্চ রাত ৮ টার সময় ভাশুর আব্দুর রহিম তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘর থেকে বাহিরে আসার জন্য ডাকেন। গৃহবধূ ঘর থেকে বের না হওয়ায় তাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে আসলে তার ভাশুর তাকে কিল ঘুসি মেরে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকেন। ঘরে থাকা ছোট মেয়ে পাপড়ি মা’কে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জেঠার হামলার শিকার হন শিশু পাপড়ি।

তার জেঠা গাছের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে ডান চোখে নীলা ফুলা জখম করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করে পেলার হুমকিধমকি দিয়ে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন মা’ মেয়েকে উদ্ধার করে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। পরদিন রবিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ সেলিনা বেগম ভাশুর আব্দুর রহিম (৫০) কে আসামী করে হাইমচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত সেলিনা বেগম জানান, অনেক আগে থেকেই আমার ভাশুর রাতে ঘরের দরজায় বাড়ি মারতেন। আমি প্রথমে বুঝতে পারি নাই। পরে একদিন তিনি আমাকে রাতে দরজা খোলা রাখতে বলে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি তার কথায় রাজি হলে সে আমাদের ভাগের জমিটুকু আমাদেরকে দিয়ে দিবেন বলে লোভ দেখায়। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীর ভাগের অংশের সব কিছুই তার ভোগ দখলে রাখেন। তবুও আমরা শান্তির লক্ষে নিরব থাকি। কিন্তু তিনি গায়েপড়ে এসে আমাদেরকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার মেয়েকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে। আমি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা আমাকে এবং আমার ছেলেকে কিছু জমি দিয়ে গেছেন। এই জমি কে কেন্দ্র করে আমারআমার ছোট ভাইয়ের বউ বিভিন্ন সময় গালমন্দ করেছেন। এবং আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছেন।

হাইমচর থানা এ এসআই ইয়াকুব জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাশুর কর্তৃক হামলার শিকার গৃহবধূ ও তার মেয়ে। এমন ঘটনায় সেলিনা বেগম হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। তবে তাদেরকে থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

Loading

শেয়ার করুন