ফরিদগঞ্জ আলিয়ার নিয়োগ অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি: ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফকিহ এবং মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। মেরাজ মুহাম্মদ বোখারী ও মোঃ মামুন সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এ হুমকি দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে ফকিহ এবং মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান ছিলো। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে নিয়োগ অনিয়মের বিষয়টি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে উঠে আসে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা অনিয়মের দাড় এড়াতে পারেননা বলে সাংবাদিকদের বলেন এবং চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণের কথা বলেন তিনি।
গত ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে অধ্যক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে চাঁদপুরের একাধিক স্থানীয় দৈনিকে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই জের ধরে অধ্যক্ষের ছেলে মেরাজ মোহাম্মদ বোখারী সাংবাদিক শাকিল হাসানকে ম্যাসেঞ্জারে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি ভালো হবেনা বলে থ্রেট করেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের মতো চুনোপুঁটি আমরা জুতার নিচেই রাখি”।
মোঃ মামুন নামে তার এক বন্ধু সাংবাদিক শাকিল হাসানকে মারধরের হুমকি দেন। বোখারী এবং মামুন দু’জনেই মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী।
সাংবাদিকদের চুনোপুঁটি এবং জুতার নিচেই রাখেন অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লার ছেলে!
সাংবাদিকদের হুমকি প্রদানের বিষয়টি কোন মাধ্যমে জানতে পেরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে তার সাথে কথা বলতে প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে সিনিয়র সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও মোঃ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি দল অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যায়।
সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বোখারীকে শায়েস্তা করতে অধ্যক্ষ মহোদয় উদ্যত হলে সাংবাদিকরা তাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে থাকা বোখারীর বন্ধু ও মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি প্রদান করে এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। এ সময় তাদেরকে নিবৃত্ত করতে অধ্যক্ষ মহোদয় উদ্যোগী হলেও তারা শোনেননি।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা সেখান থেকে চলে আসেন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লা ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে আসেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তার সম্মানে সাংবাদিকরা বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন। বিষয়টি এখানেই শেষ হওয়ার কথা থাকলে হঠাৎ করেই রাতে ফেসবুকে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান একদল শিক্ষার্থী। তারা নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইল ও বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রকাশিত সংবাদকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সাংবাদিকদের পরোক্ষ হুমকি দেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে ছাত্রদের সম্পর্ক নেই। এটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়। যারা ফেসবুকে লেখালেখি করছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?

