মতলব উত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা
সফিকুল ইসলাম রানা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও একি মিত্র চাকমা এর নেতৃত্বে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসিবুল ইসলাম, মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ রবিউল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।
এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ও ঘটনাবলী তুলে ধরেন ইউএনও। নতুন প্রজন্মের মাঝে প্রকৃত ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার অংশীদার হতে চাই : ডাঃ আনিসুল আউয়াল পিএইচডি
সফিকুল ইসলাম রানা : আগামী নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: আনিসুল আউয়াল পিএইচডি বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বাঙালি জাতির মধ্যে এখনো ধোঁয়াশা কাটে। প্রকৃত ইতিহাসটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অপরিষ্কার। আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার অংশীদার হতে চাই। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার এনায়েতনগর নিজ বাড়িতে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাঃ আনিসুল আউয়াল আরও বলেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলেই প্রত্যেকেই একেকজন মানুষ থেকে নাগরিক হয়ে ওঠবে। আর রাষ্ট্র উন্নয়নে নাগরিকে খুবই অভাব। যদি আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হই তাহলে আমরা বুজতে পারবো কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয়। ঠিক তখনই আমরা সকলে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে অংশীদার হতে পারবো।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য আনিসুল আউয়াল আরও বলেন, সামনে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে ওই নির্বাচনে আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবো। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে মনোনীত করবেন। আমি শতভাগ আশাবাদী বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিবেন। কারণ আমার বাবা চাঁদপুর জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম বিসিএস ধারী কর্মকর্তা ছিলেন। আমার পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত, আত্মীয় স্বজন সরকারের উচ্চ পদস্থ ছিলেন এবং আছেন। আমার কোন ব্লাক স্পষ্ট নেই। আমি সারাক্ষণ মানুষের জন্য ভালো কিছু চিন্তা করি। তাই আমি মনে করি দল আমাকেই মনোনয়ন দিবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা মিলে একটি সংসদীয় আসন। এই দুইটি উপজেলায় অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু মতলব উত্তর বেরীবাঁধ বেষ্টিত এলাকা, এখানে শিল্প ইন্ডাস্ট্রি করা সম্ভব। আই সেক্টরের বড় ফার্ম করা সম্ভব। এতে করে ইয়াং জেনারেশনের প্রায় কয়েক লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব। শুধু তাই নয় এই উপজেলায় সোলার প্লান্ট স্থাপন করে পুরো চাঁদপুর জেলার বিদ্যুৎ চাহিদা পুরণ করা সম্ভব। বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক নেই, যদিও অনেকই পার্ক হতে পারতো। এইসব উন্নয়ন গুলো আমি করতে চাই।
তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং নিজের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, আমি ডাঃ আনিসুল আউয়াল পিএইচডি। আমি মতলব ডক্টরস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, ডক্টরস ফোরাম বাংলাদেশ এর সদস্য। রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এনায়েতনগর সরকার বাড়ির সন্তান। ১৯৮১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক এবং স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবার লক্ষ্যে সেন্ট মার্টিনস আইল্যান্ড-এর প্রথম মেডিকেল অফিসার পদে পোস্টিং নেই। আমি ১৯৮৪ সালে এম.পি.এইচ, ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে মাস্টার্স (এম.সি.এন), ১৯৯৫ সাথে অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। ২০০৬-এ আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসেল (বাংলাদেশ ক্যাম্পাস) থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এম.বি.এ পাশ করায় আমাকে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। ২০০৭ সালে লন্ডন থেকে এফ.আর.এস.এইচ লাভ করি। ২০০৮ সালে এম.সি.জি.পি ডিগ্রি অর্জন করি।
উপসচিব এবং যুগ্মসচিব হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং কেন্দ্রীয় তহবিলে কাজের সুবাদে সরাসরি প্রান্তিক মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। যেহেতু আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এবং বিশ্বাসী, সেজন্য চাকুরিজীবনে আমাকে বারবার পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার পিতা মরহুম এ.কে.এম আব্দুল আউয়াল চাঁদপুর জেলার প্রথম বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর কর্মকর্তা ছিলেন এবং নানা চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসলিম এসডিও ছিলেন।
আওয়ামী লীগ-এর স্বৈরশাসন সহ সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্রে দেশবাসির প্রাণ যখন উষ্ঠাগত এবং দেশের সার্বোভৌমত্ত যখন হুমকির মধ্যে ছিলো তখন আমি আমার চাকুরি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে অনবরত লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি। হাসিনার স্বৈরশাসন-এর পতনে আমি একজন এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। আমি আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি এবং একইসাথে আপনাদের দোয়া প্রার্থী।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন