মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতরে আমন ধান কাটা শুরু, কৃষকের মূখে হাসি
গোলাম নবী খোকনঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ীবাঁধের ভিতর এবারের আমন মৌসুমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকের মূখে হাসি। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় প্রকল্পের ভিতরে এ বারের আমন মৌসুমে কৃষকের আশানরুপ ফলন হয়নি। এবার আমন মৌসুমে ফলন কম হয়েছে বলে সরজমিন রিপোর্টে জানা যায়। আবার কোন কোন জমিতে বাম্পার ফলন ও লক্ষ করা গেছে।
এ বছর আমন ধানের চারা রোপন করার পর পর-ই ঘূর্ণিঝড় রিমেল এর প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারনে জলাবদ্ধতা হয়ে প্রকল্পের ভিতরে অনেক নীচু জমির রোপা আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে যায়। সে কারনে নীচু জমি গুলোতে ধান আশানুরূপ হয় নাই এবং অনেক জমিতে বাম্পার ফলনের ও লক্ষ করা গেছে। এখন পাকা ধানের মৌসুম, কৃষকের মূখে হাসি, কৃষক কাটবে ধান, ভরবে গোলা, শুকাবে খের। যদি ও ধানের বাম্পার ফলন না কিন্তু ধানের ফলন মোটামুটি কমওনা। প্রকল্পের উচু জমিগুলোতে এবারের আমন মৌসুমে ধান কাটা প্রায় ৪০% শতাংশ শেষ হয়েছে আর নীচু জমি গুলোতে ধান কাটা শুরু হলেও ধান কাটা শেষ হতে পুরো ডিসেম্বর মাস লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা।
এবছর ধানের খেরের দাম অনেক বেশী। গো-খাদ্য হিসাবে গাভী-গরু পালন কারী খামারীরা দেদারছে অনেক দূরদূরান্ত থেকে খের ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এবছর খের বিক্রিতে কৃষক লাভবান হবে এমনটাই ঘুরে দেখা যায়। গেল ঘূর্ণিঝড় রিমেল হওয়ায় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয় সারা বাংলাদেশের ন্যায় এবছর মতলব উত্তরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে প্রনদোনা হিসাবে বিভিন্ন প্রজাতির ধান, বীজ, সার ও অনেক কৃষকদের নগদ অর্থ ও প্রদান করেন কৃষি অফিস। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আসছে বোরো মৌসুমের জন্য ব্যাপক হারে কৃষকদের মাঝে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
সামনে বোরো মৌসুমে উপসী বিড়ি-ধানের জাত ৯২,৭৪,৬৭,৫৬ ও ৮৯ এবং হাইব্রিড জাত S L -8 ধান কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরন করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, চলতি আমন মৌসুম যদিও বাম্বার ফলনের লক্ষ মাত্রা আশা করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় রিমেল এর প্রভাবে কৃষকের আশানুরূপ ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি। এর পরে ও কৃষকের মূখে হাসি। উপজেলা সিপাই কান্দি এলাকার মাঠ থেকে তোলা ছবি।
তবে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন তারা মনপ্রান দিয়ে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছেন বলে জানা যায়। কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায় যে, কৃষি অফিস তথা ইউনিয়ন ব্যাপী মাঠ পর্যায়ে যতজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/জনবল থাকার কথা আনুপাতিক হারে অনেক কম। সে জন্য তাদের কাজ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষি এবং কৃষক কৃষানিদের স্বার্থে কৃষি অফিসে জনবল বাড়ানোর জন্য এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায় কি?