চাঁদপুরের মতলবে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

নিউজ ডেস্ক :  চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার স্কুলছাত্রী শারমীন আক্তার কাকুলী (১৪) হত্যা মামলায় আসামি কিশোর মো. সাইফুদ্দিনকে (১৭) ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. আবদুল হান্নান এই রায় দেন।

হত্যার শিকার স্কুলছাত্রী মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ইসলামাবাদ গ্রামের বজলু বেপারীর মেয়ে। ঘটনার সময় সে স্থানীয় মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

আটকাদেশপ্রাপ্ত সাইফুদ্দিন একই উপজেলার সুজাতপুর (বর্তমান মমরুজকান্দি) গ্রামের মো. রাসেল পাটওয়ারীর ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলছাত্রী কাকুলী বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। নির্ধারিত সময় কাকুলী বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মোবাইলফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এরপর ২৯ মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। ২২ এপ্রিল স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বিদ্যালয়ের পাশে অক্সফোর্ড একাডেমির টিনের ঘরে মাথাবিহীন দেহ পাওয়া যায়। ওই দেহ কাকুলীর অভিভাবক সন্তান বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আইনী ব্যবস্থা নেয়।

এই ঘটনায় কাকুলীর মা রোকেয়া বেগম মতলব উত্তর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি ২৮ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় তাঁর মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ গুম এবং তার মাথা কেটে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখা হয় বলে উল্লেখ করেন।

মামলাটির তদন্ত করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হোসেন। তিনি আসামি মো. সাইফুদ্দিনকে নিজ এলাকা থেকে ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল গ্রেপ্তার করেন এবং আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর মামলাটির তদন্ত করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মামুন। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এছাড়া এই মামলায় ২০২২ সালের ২৬ জুলাই পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান পৃথক আরেকটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন।

মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ২১ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। স্বাক্ষ্য নেওয়া এবং আসামি তাঁর অপরাধ স্বীকার করায় মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে এই রায় দেন। রায়ে বলা হয়, আসামি রায়ের সময় বয়স ১৮ এর উপরে হওয়ায় তাকে জেলা করাগারে পাঠানো হোক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নাজিমুল্লাহ বাপ্পি।

প্রকাশিত :  মঙ্গলবার,  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

Loading

শেয়ার করুন