ডায়াবেটিস থেকে বাঁচাবে যে ১৫ খাবার

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। এ রোগের কারণে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা। শুধু বড়দেরই এ রোগ হয়,তা নয়। ছোটদেরও ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিসের ফলে রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এর ফলে দেহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়।

আমরা যদি নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে পারি তাহলে এই রোগকেও নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই সাথে প্রবন্ধের শেষে বর্ণিত ভেষজ ঔষধগুলো সেবন করলে এ রোগ থেকে নিশ্চিত মুক্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করা যাবে।
ডায়াবেটিস রোগের কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
২. খুব বেশি পিপাসা লাগা।
৩. বেশি ক্ষুধা লাগা।
৪. যথেষ্ট খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া।
৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
৬. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
৭. চোখে কম দেখা।
কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণ রাখবে
১. বাদাম
বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি নিয়মত খেলে বিভিন্ন রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। বাদামে প্রচুর আঁশ, পুষ্টিকর উপাদান ও হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি উপাদান আছে। বাদামে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। দৈনিক ১০ গ্রাম বাদাম গ্রহণ করলে মারণব্যাধি রোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে বলে দাবি গবেষকদের।
২. বীজ
বাদামের মত বীজ জাতীয় খাদ্য শস্যও আমাদের দেহের জন্য উপকারী। যেমন এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ আছে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ অনেক উপকারী। বীজ খেলে দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৩. মাছ
মাছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। একটি সুস্থ জীবনধারার জন্য প্রোটিন অতিব গুরুত্বপূর্ণ, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। মাছে ওমেগা-৩ আছে এবং যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়। মাছ বেশি করে ভেজে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৪. বেরি অর্থাৎ স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় এই ফলগুলো বিশ্বের অধিক পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। এসব ফলে অ্যানথোসায়োনেনস নামের উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের রক্তের ইনসুলিন ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডায়াবেটিস দুই টাইপের হয়, যেমন টাইপ-১ ও টাইপ- ২ । টাইপ- ১ রোগীদের জন্য বেরি ইনসুলিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ও টাইপ-২ রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ বারিয়ে তুলে। তারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
৫. মটরশুঁটি
ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক উপকারী। মটরশুঁটিতে আছে ভরপুর ফাইবার। মটরশুঁটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে সাধারণ মাত্রায় রাখে।
৬. ব্রোকলি
সবজি জিনিসটা সকল মানুষের জন্য উপকারী। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিব জরুরি একটি খাবার হল সবজি। ব্রোকলি একটি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এমন একটি বিশেষ যৌগ আছে যা ডায়াবেটিস এর সাথে যুদ্ধ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি হৃদরোগের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর।
৭. পাতা/বাঁধাকপি
শীতকালীন সবজি পাতাকপি বা বাঁধাকপি। আমাদের দেশে পাতাকপি ভাজি একটি জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে মাংসের সাথে পাতাকপির ঝোল বেশ উপাদেয় খাবার। সালাদে শশা, গাজর, টমেটোর সাথে পাতাকপি মেশালে অনেক মজা হয়। পাতাকপি অনেক কম কার্ব যুক্ত । এই সবজি টি টাইপ-২ রোগীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং টাইপ-১ রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৮. আ্যভোকাডো
মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল আ্যভোকাডো। তবে চাষ করলে আমাদের মাটিতেও ফলান যায় এই ফল। ভেষজ চিকিৎসায় অ্যাভোকাডো যেন সর্ব রোগের মহা ওষুধ। আ্যভোকাডো শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
৯. চা
চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি পানীয়। গ্রিন-টি বা সবুজ চা কিংবা রং চা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। তবে, চায়ে চিনি মেশানো যাবে না।
১০. আপেল
কথায় আছে ‘এন আপেল এভরিডে, কিপস দ্যা ডক্টর অ্যাওয়ে’ অর্থাৎ- প্রতিদিন একটি আপেল খান, আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। আপেল রোগ প্রতিরোধক ও পুষ্টিকর একটি ফল। আপেলে শর্করা প্রায় ৫০ শতাংশ। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও রক্তে কোলেস্টরল এর মাত্রা স্থির রাখে।
১১. রসুন
রসুনের উপকারিতা অনেক। রান্নার পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। রসুন কোলেস্টরল এর মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১২. পালং শাক
পালং শাক অনেক পুষ্টিকর। এতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাজা এবং অল্প সেদ্ধ করে খেলে বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে সুপরিচিত খাবার এর মধ্যে রয়েছে পালং শাক।
১৩. ডার্ক চকলেট
আপনারা ভাবছেন চকলেট তাও আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য? হ্যাঁ ডার্ক চকলেট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কেননা এতে মিষ্টির পরিমাণ অনেক কম থাকে। এটি শুধুমাত্র এন্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ নয়। এটি শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
১৪. দারুচিনি
দারুচিনিতে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন থাকে তাছাড়া এতে আছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন। এটি রক্তে কোলেস্টরল এর পরিমাণ ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এটি হৃদয় সুস্থ রাখে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১৫. মিষ্টি আলু
আলু আমরা সবাই কম বেশি খেতে পছন্দ করি। যেমন আলুর দম, আলু ভাজি, আলুর চিপস। আলু দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খেতেই দারুণ মজা লাগে। সাধারণত সাদা আলু দিয়ে এসব তৈরি করা হয়ে থাকে। কিন্তু মিষ্টি আলু নামক একটি আলু আছে যার অনেক গুণাবলি আছে।যেমন এটি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডায়াবেটিস একটি গুরুতর অবস্থা এবং দিন দিন এর ব্যাপক প্রকোপ সাধারণ জনগনের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই রোগ মানুষকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারনে সৃষ্ট অন্ধত্বের ঝুঁকিতে নিয়ে যায় এবং এর ফলে যে পরিমান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয় তা অনেক সময় কোন দুর্ঘটনা বা ট্রমার কারনেও করতে হয় না।
দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং আরো গুরুত্বর ক্ষতি এড়ানোর জন্য দিনের পর দিন একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রার মাঝে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে একটি অন্যতম শর্ত। তাই উল্লেখিত ভেষজ উপাদান গুলো প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বর্তমান যুগে ডায়াবেটিস নামের মধ্যেই যেনো এক প্রকার আতঙ্ক ও উদ্বেগ জড়িয়ে রয়েছে। আজকের যুগে বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। তবে এ রোগ প্রতিকারের রয়েছে অনেক সহজ পন্থা। যার সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। সেই সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরী।
গ্লুকো কেয়ার : গ্লুকো কেয়ার-এ রয়েছে সয়া প্রোটিন, আমলকী, করলা, জামবীজ, আলফালাফা পাতা, রসুন, মেথি, চিরতা ও কালো জিরাসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদান। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।
সেবন বিধি : সকাল : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর এক চামচ ভাত বা দুই টুকরো রুটি বা রুটি না খেয়ে সালাদ খাওয়া উত্তম। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (ঘরমবষষধ ঝধঃরাধ) পান করবেন।দুপুর : ১. বাড়িতে তৈরি খাবার খাবেন, যা তেলমুক্ত (সম্ভব না হলে যত কম তেল খাওয়া যায়)। এর সাথে সালাদ খাবেন। ২. আধা ঘণ্টা পর দুই চা চামচ টক দই খাবেন।রাত : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর শুধুমাত্র সালাদ খাবেন। এই ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ভাত বা রুটি খাওয়া চলবে না। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (Nigella Sativa) পান করবেন।
করণীয় :
সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট এবং রাতে খাবারের পর ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন।
দৈনিক চার গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানি পান করবেন।
ব্লাড প্রেসার থাকলে নিয়মিত চেক করবেন।
বর্জনীয় :
তেল-চর্বি জাতীয় খাদ্য এবং কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
ফার্স্টফুড এবং চিনি জাতীয় খাদ্য নিষেধ।
পরামর্শ :
১। প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খাবেন। যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। সঠিক সময়ে খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।
৩। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করতে সাহায্য করে।
৪। সর ছাড়া দুধ ও ডিম খান। তেল খেলে তা খুব অল্প পরিমাণে খাবেন।
৫। ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।
৬। সম্ভব হলে দিনে দুইবার আপেলের রস খান।
ডয়াবেটিস রুখতে বেশ কিছু ভেষজ প্রতিকারও রয়েছে। জেনে নিন সেসব প্রতিকার সম্পর্কে :
১। ডায়াবেটিস রোধে জাম খুব উপকারী। এটি শর্করাকে শ্বেতসারে রূপান্তরিত হতে বাধা দেয়।
২। রসুন এই রোগেরই একটি অন্যতম ভেষজ প্রতিকার। রসুনে অ্যালিসিন থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
৩। প্রতিদিন সকালে যদি ৫ থেকে ১০টি তাজা কারী পাতা খাওয়া যায়, তবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ।
৪। টাটকা আমের পাতাকে একগ্লাস পানিতে সেদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে পাতা ছেঁকে যদি সেই পানি পান করা যায়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দু’ধরনের ডায়াবেটিসে মানুষ ভুগছেন। ইনসুলিন ও ডায়ালাইসিস এক্ষেত্রে খুবই বিরক্তিকর এক অভিজ্ঞতা। অনেকে মনে করেন মিষ্টি খাওয়াই ডায়াবেটিসের একমাত্র কারণ। কিন্তু তা নয়। দুঃশ্চিন্তা ও জিন বা বংশগত প্রভাবও ডায়াবেটিস হবার জন্যে দায়ী। কিন্তু বংশগত কারণে আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কিছু আপনার করার থাকবে না।
ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন উপরোক্ত ঔষধ খেতে হবে আপনাকে। সেই সাথে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে আপনার জীবনে। বলা চলে, আপনার দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ভেতর।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্যে আপনি এই নিয়মগুলো মেনে চলুন, আশা করা যায়, অতি দ্রুতই আপনি দুঃশ্চিন্তামুক্ত, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।
খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।
১. প্রতিরাতে শোবার আগে পানিতে ক’টি মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্রাশ করার পর খালি পেটে ওই বীজগুলো খেয়ে ফেলুন।
২. জামরুল ফল ডায়াবেটিস সারানোর জন্যে একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। এর কিছু বীজ ধুয়ে শুকিয়ে, তারপর গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. পেয়ারা এমন একটি ফল, যেটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। সম্প্রতিক একটি গবেষণায় এটি স্পষ্ট যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটির খোসা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই আপনার জন্যে এর খোসা না খাওয়াই ভালো।
৪. আমলা জাতীয় ফল রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে থাকে।
৫. আপনার চা বা কফিতে চিনির পরিবর্তে মধু দিন।
৬. গবেষণায় প্রমাণিত, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করলে দু’ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না।
৭. এছাড়া গ্রিন চা শরীরের রক্তে চিনি ও ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস হলে দেহের রোগ নিরাময় ক্ষমতা কমে যায়। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চাপ দূর করতে মেডিটেশন : চাপ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। করটিসল, এপিনেফ্রিন এবং গ্লুক্যাজন এসব হরমোন বেড়ে যায় চাপের কারণে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে কমে যায়।
ভালোমতো ঘুম : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো করে ঘুমানো খুব জরুরি। ঘুমের সমস্যার কারণে ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘুম কেবল এসব সমস্যাই নয়, মস্কিষ্ক শিথিল করে মানুষকে কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়াম : প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। শারীরিক কার্যক্রম দেহে টিস্যুর সংবেদনশীলতা বাড়াতে কাজ করে এবং ওজন ঠিক রাখে। ব্যায়াম রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তাজা খাবার খান : চেষ্টা করুন তাজা খাবার খেতে। কারখানায় খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় অনেক খাবারের মান নষ্ট হয়ে যায় বা কমে যায়। বেশি করে ফল, সবজি, মাছ, মাংস এবং বাদাম খাওয়া ভালো। এসব খাবার কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং চর্বিকে পরিশোধিত করে। এসব খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
মনে রাখবেন, এটি জটিল কোনো রোগ না হলেও একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। তাই ‘গ্যারান্টি’ চিকিৎসার আকর্ষণে না ভুলে নিয়মিত চিকিৎসা নিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ পেতে পারেন।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
(সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ১টা এবং দুপুর ৪টা থেকে রাত ৮টা, নামাজের সময় ব্যতীত)
হাকীম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
মুঠোফোন : +88 01777988889 / +88 01762240650
ফেইসবুক পেজ : লাইক দিয়ে অ্যাক্টিভ থাকুন
অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন : IBN SINA HEALTH CARE, CHANDPUR.
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
শ্বেতী, যৌনরোগ, হার্পিস, পাইলস, লিকুরিয়া, ব্রেনস্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত বেদনা, গাউট, পক্ষাঘাত, চর্মরোগ, অ্যালার্জি, জন্ডিস, লিভার সমস্যা, হার্ট ও শিরার ব্লকেজ, স্ত্রী রোগ, স্বপ্নদোষ নিরাময়-সহ সর্বরোগের চিকিৎসা করা হয়।
সর্বশেষ আপডেট : বাংলাদেশ সময় : ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
- ধবল বা শ্বেতী রোগ কি? এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- যৌন রোগের লক্ষণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- অর্শ বা পাইলস: কারণ, লক্ষণ, করণীয়, খাদ্যাভ্যাস, চিকিৎসা
- ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির সহজ উপায়
- যৌন সমস্যার কারণ লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকার
- রং ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
- ৫ উপায়ে অর্শ বা পাইলস সারিয়ে তুলুন
- যৌনমিলনে সমস্যা ও মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু টিপস
- কালোজিরার অবাক করা ৭টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
- মানসিক রোগে করণীয়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৪ প্রাকৃতিক উপায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
- ক্যানসার চিকিৎসায় যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার
- অ্যালার্জি দূর করবে ৫টি খাবার
- সোরিয়াসিস : কারণ ও প্রতিকার
- নারী ও পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং তার চিকিৎসা
- যৌন মিলন দীর্ঘ সময় করার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি
- গ্লুকোমার আধুনিক চিকিৎসা
- ফিস্টুলার চিকিৎসা
- লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়
- অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ জটিলতা ও অপারেশন
- মানসিক রোগ থেকে বেঁচে থাকার ১০টি উপায়
- বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারণ ও করণীয়
- গর্ভধারনের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
- স্লিম ও সুন্দর থাকতে গড়ে তুলুন ৪টি সহজ অভ্যাস
- বিভিন্নপ্রকার যৌন সমস্যা ও চিকিৎসা
- মুখের কালো দাগ ও ত্বকের মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন
- শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির সহজ উপায়
- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার জন্য নাইট কিং
- নাকের পলিপাস : কারণ ও চিকিৎসা
- হার্টের ব্লকেজ নির্মূল করুন বিনা অপারেশনে
- মাথাব্যথা দূর করুন ১০ মিনিটেই
- গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা
- ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় শক্তিশালী ১৬টি ভেষজ
- নারী-পুরুষের যৌনবাহিত রোগ চিকিৎসা
- নারীর অতিরিক্ত সাদাস্রাবের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- পুরুষের গোপন সমস্যা, দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান
- পুরুষাঙ্গে ব্যথা ও যন্ত্রণা : কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
- নারীর যৌন শীতলতার অন্তরালে ৭টি কারণ ও সমাধান
- পায়ুপথে চুলকানির কারণ ও চিকিৎসা
- লিভার সিরোসিস : কারণ ও প্রতিকার
- লিউকেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
- কী কারণে ঠোঁটে সমস্যা হয়?
- বাংলাদেশ, কোলকাতা, আমেরিকার হাসপাতাল, ডাক্তারের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
- নারী পুরুষের ভয়ঙ্কর যৌনবাহিত রোগ ও চিকিৎসা
- ৫টি মারাত্মক যৌনরোগের উপসর্গ: সাবধান!
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন …

