`যারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী এবং রাজাকারের সন্তান’

মোঃ কামরুজ্জামান সেন্টু :
জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ে। গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সূচিপাড়া ব্রিজ এলাকায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওয়াকওয়ে উম্মুক্ত করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাটির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। এ মাটিকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মাটির আকর্ষণে আমরা এ মাটিকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলবো। এ মাটিতে আমার বাবা, মা, ভাই, বোনদের জন্ম। এ মাটিকে ও দেশকে সাজিয়ে তোলা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। ২০১০ সাল থেকে আমি চেষ্টা করেছি নদীর পাড় রক্ষা করার।

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী এবং রাজাকারের সন্তান।

আমরা স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে তুলছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ওয়াকওয়েতে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চিত্তবিনোদনের জন্য আসবে। এতে তাদের মন মানষিকতা ও শারীরিক বিকাশ ঘটবে। এ স্থানটিতে শাহরাস্তির মানুষ শুধু চিত্তবিনোদনের সুযোগ পাবে তা নয়, তা আরো আকর্ষিত করে তুললে দেশের দূরদুরান্ত হতে মানুষ দেখতে আসবে এবং চিত্তবিনোদনের সুবিধা ভোগ করবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সাহসিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়ন করেছে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমাদের কিছু লোক হিংসায় মরে, তারা বলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আসার কি দরকার আছে? তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো তোমাদের প্রয়োজন না হলে আসবে না। আগামী প্রজন্মের মাঝে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে এই আয়োজন। সারা বাংলাদেশে এটি যেন দর্শনীয় স্থান হয় সেই ভাবে গড়ে তোলা হবে। এ রকম একটি ওয়াকওয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর যে কোন দেশেই যাই এ মাটি আমাকে টেনে নিয়ে আসে। জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে এ মাটিকে গড়ে তুলবো।

তিনি আরো বলেন, যারা পরশ্রীকাতর, যাদের ভিতর হিংসা কাজ করে, তারাই এই মাটির বিরুদ্ধে কথা বলবে। আমার কাছে তথ্য ছিল ঐ পরশ্রীকাতর লোক গুলো আজকের অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ করছে ভবিষ্যতে আমি তাদের নাম তুলে ধরবো। আপনাদের জানা দরকার এই লোক গুলো মুক্তিযোদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করছে এদের পরিবার রাজাকারদের পরিবার মূলত তারাই এই কাজ গুলো করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আপনি কি উন্নয়ন দেখতে বিদেশে যাওয়ার দরকার আছে। সব উন্নয়ন এ দেশেই আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ওয়াকওয়ে দু জায়গায় হচ্ছে একটি ঢাকার চার পাশে আরেকটি হলো শাহরাস্তিতে। আমাদের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি যা বলেন তাই করেন। তিনি বলেছেন কিন্তু করেন নাই এমন তথ্য থাকলে জানাবেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা তার কর্মী আমরা তা করবোই। এই ওয়াকওয়ে দেখে অনেক এমপি এ কাজ করার জন্য এগিয়ে আসবে।

বিআইডব্লিউটি’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে ও বিআইডব্লিউটি’র সংস্থাপন পরিচালক মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবদুল লতিফ, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব আলম লিপন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী সাহাদাত, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিপুল সমাগম পরিলক্ষিত হয়।

Loading

শেয়ার করুন