কচুয়ায় যুব অধিকার পরিষদ নেতা সালাউদ্দিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন-শি এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের শাস্তিার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কচুয়া বিশ^রোড এলাকায় উপজেলা ছাত্র,যুব ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হামলার শিকার উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ নেতা সালাউদ্দিন শি,প্রবাসী সেলিম চৌধুরী, উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. নুরুল হুদা ভূঁইয়া,সাধারন সম্পাদক এসআই সাইদুল ইসলাম,প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু সাঈদ চৌধুরী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কচুয়া উপজেলার শিলাস্থান গ্রামের অধিবাসী মৃত আব্দুল কাদেরে পুত্র সালাউদ্দিন শি’এর পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল নিয়ে একই গ্রামের জসিম ওরফে খোকন গংরা ১ মার্চ জোরপূর্বক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কা-জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করলে,পথিমধ্যে ওইদিন রাতে বাতাপুকুরিয়া সংলগ্ন বটতলা এলাকায় পৌছলে ওৎপেতে থাকা জসীমউদ্দীন খোকনের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা সিএনজি গতিরোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় হামলা চালিয়ে ফুসফুস, হাত, মাথা ও বুকে গুরুতর জখম করা হয়। প্রচ- রক্তক্ষরণে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় পথচারীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলার শিকার সালাউদ্দিন-শি বলেন, মূলত আমি আশঙ্কাজন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় হামলাকারী ভূমি দস্যু জসীম উদ্দিন খোকন বিগত ৯ মার্চ শিলাস্তান জামালিয়া বাজারে প্রবাসীর জমি উদ্ধার ও নিরাপত্তার দাবিতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা লোক দেখানোর মানববন্ধন আয়োজন করে । ওই মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তা মূলত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকতৃ সত্য হচ্ছে,আমার পৈতৃক সম্পত্তি জসীম উদ্দীন খোকন জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এতে বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর একের পর এক হামলা ও মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে কতিপয় লোকজনের কু-পরামর্শে হয়রানি করে আসছে। মানববন্ধনে জসিম উদ্দিন খোকন তাকে মারধরের যে দাবি করা হয় তাও সত্য নয়। ওইদিন তাকে মারধর করা হয়নি,যদি মারধর করা হতো তাহলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি সার্টিফিকেট দেখাতে পেরেছেন কি।
অপর একটি অভিযোগে,তার স্ত্রী ধর্ষণের কারণে মারা গেছে দাবি করা হয়েছে। তাও মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তৎকালীন সময়ে জসীমউদ্দীন ওরফে খোকন ফরিদগঞ্জ এলাকায় পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়লে এলাকাবাসি তাহাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিয়ে পরিয়ে দেয়। এ খবর তার প্রথম স্ত্রী জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এক পর্যায়ে জসীমউদ্দীন ওরফে খোকন তার ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টা তাকে মানসিক টর্চার করলে সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিল জসীমউদ্দীন ওরফে খোকন । আমার উপর হামলা ও মারধরের কারণে আমি ন্যায় বিচার চেয়ে প্রতিপক্ষ গংদের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যার ফলে বর্তমানে সেই হামলাকারী সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর ও মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার জন্য আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে জীবন যাপন করতেছি । বর্তমানে দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার পরিবারের চেয়ে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে সকলের সহযোগিতা চাই।
প্রকাশ : বৃহস্পতি বার, ২০ মার্চ ২০২৫ খ্রি.
স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?
ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ
শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
চর্মরোগ দাউদ একজিমা বিখাউজের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

