মতলব উত্তরে ২০ বছর পর দেড় একর খাস জায়গা উদ্ধার

সফিকুল ইসলাম রানা।

মতলব উত্তর উপজেলার সহকারি কমিশনার ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আল ইমান খানের অনুমোতিক্রমে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ সহকারী ভূমি অফিসার মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পশ্চিম সুজাতপুর এলাকায় ২০ বছর পর প্রায় দেড় একর জায়গা (পুকুর); অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদে করে। মঙ্গলবার ২১ মার্চ সকালে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এসময় সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষর ব্যবসায়ীকে মাছ ধরা নিশেধ করা হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১সালে রেকর্ড জরিপের সময় যাচাই করে দেখা যায়, উপজেলার ৫০নং সুজাতপুর মৌজার ৩৯২ দাগের ১ একর ৪৯ শতাংশ পুকুরটি খাস খতিয়ান। ফলে জরিপকারক পুকুরটি খাস খতিয়ানে অন্তরভ‚ক্ত করে। ২০০৭ সালে বিএস খতিয়ানে পুকুরটি প্রিন্ট আকারে বের হয়। এরপর থেকে প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের পুকুর দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দেয়। নোটিশ পেয়ে পুকুরে মালিক দাবী করে পশ্চিম সুজাতপুরের েিরপন মিয়াসহ ২০ জন বাদী হয়ে নিন্ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ আদালত সেই মামলাটি খারিজ করে দেয়।

পরে তারা আবার সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগও ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে আগের রায় বলবত রাখে।অবৈধ দখলদারদের বাব বার দখল ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ২১ মার্চ প্রশাসন দকল করে নেয়।


ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ সহকারী ভ‚মি অফিসার মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আদলতের রায় ও বিএস ১নং খতিয়ানের ১ একর ৪৯ শতাংশ পুকুরটি সরকারি । সেই কারনেই উর্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশক্রমে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারীভাবে বুঝে নিয়েছি।তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় ব্যক্তি রিপন মিয়াসহ ২০ জন সরকারি খাস পুকুরটি দীর্ঘ বিশ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। সেখানে তারা লিজ দিতো।

এবিষয়ে মামলার বাদী রিপন মিয়া বলেন, ক্রয় সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে এই পুকুরে মালিক আমরা। আমাদের নামে দলিল, আরএস ও সিএস আছে।

Loading

শেয়ার করুন